নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লোভাছড়া কোয়ারির প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ী হাজী কামাল উদ্দিন কর্তৃক কোয়ারির অপর এক পাথর ব্যবসায়ীর ভাড়ায় চালিত পাথর বুঝাই ষ্টীল ইঞ্জিন নৌকা জোরপূর্বক ভাবে আটকের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক পাথর বুঝাই নৌকার মালিক ব্যবসায়ী স্থানীয় ডাউকেরগুল গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে হাজী কামাল সহ ৫জনের বিরুদ্ধে রবিবার কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ভাবে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার পাথর বুঝাই ইঞ্জিন নৌকার মালিক আব্দুল কুদ্দুছের ষ্টীল নৌকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩২ হাজার ৫শ ঘন ফুট পাথর সরিয়ে ফেলে অন্য ৩টি নৌকায় আনলোড করায় নৌকাগুলো কানাইঘাট বায়মপুর সুরমা নদীর খেয়াঘাট থেকে আটক করে পাথর ব্যবসায়ী মানিক উদ্দিনের জিম্মায় রাখেন। অভিযোগে জানা যায় আব্দুল কুদ্দুছের পাথর বুঝাই ষ্টীল নৌকাটি গত শনিবার অনুমান দুপুর ১২ টার দিকে কোয়ারির ভাল্লুকমারা লোভা নদীর ঘাট থেকে প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ী কামাল হাজীর লোকজন জোরপূর্বক ভাবে ছাড়িয়ে এনে তার বাড়ীর লোভা নদীর পাশে রাখে। পাথর বুঝাই ষ্টীল নৌকা আটকের খবর পেয়ে আব্দুল কুদ্দুছ মূলাগুল বাজারস্থ হাজী কামাল আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে কামাল হাজী তাকে বলে কেন তর নৌকা আটক করেছি আগে সাদা ৫টি কার্টিজ পেপারে স্বাক্ষর দে এবং বিচার বাবত ১লক্ষ টাকা নগদ দে বলে আব্দুল কুদ্দুছ কে মারধর করে কার্টিজ পেপারে জোর পূর্বক ভাবে স্বাক্ষর ও নগদ ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আব্দুল কুদ্দুছের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩টি পাথরবাহী নৌকা প্রাথমিক ভাবে আটক করা হয়েছে। বিয়ষটি তদন্ত পূর্বক আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হাজী কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার পাথর চুরি হয়েছে, তাই নৌকাটি আটক করেছি অন্য কিছু নয়।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১০জুন ২০১৮ ইং
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়