কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
গত ১৫ মে জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ এর কয়েক বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া সংগঠক ইউনিয়নের গণমানুষের জননন্দিত নিষ্ঠাবান চেয়ারমান্য শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল কে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। এক বিবৃতিতে এলাকাবাসী জানিয়েছেন ভিজিএফ এর চাল পাচারের সাথে কোন ভাবে চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরী জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ইউনিয়নের চলমান উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড স্তব্ধ করার জন্য হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে একটি চক্র সিলেট ৬ আসনের সংসদ সদস্য জৈন্তাপুর উপজেলার উন্নয়নের রূপকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বৃহত্তর জৈন্তিয়ার রত্নগর্ভ সন্তান ইমরান আহমদ ও স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতির বিবেক সাংবাদিকদের নানা ভাবে ভুল বুঝিয়ে চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে মূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার করা হচ্ছে।
আমরা ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দ অবগত রয়েছি উক্ত চাল পাচারের সাথে চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরী নিম্নতম কোন সম্পৃক্ত নেই। চাল বিতরণের দিন চেয়ারম্যান তোফায়েল ইউনিয়নের তুবাং এলাকায় একটি জরুরী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠকে যোগদান পরবর্তী আল-আমীন সবুজ সংঘের একটি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়নের ভিজিএফ এর কয়েক বস্তা চাল পাচারের সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তের সময় তিনি উপস্থিত থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ববস্থা গ্রহণের দাবী ও জানান। চাল বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দু’টি সভায় উপস্থিত থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানানোর পরও সম্পূর্ণ রহস্যজনক ভাবে ভিজিএফ এর চাল বিক্রির মামলায় চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরীকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আসামী করায় আমরা এলাকাবাসী হতবাক হয়েছি। চারিকাটা ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডকে ব্যাহত করার জন্য এবং চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েলের পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে তাকে মামলায় আসামী করায় আমরা এলাকাবাসী তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এলাকাবাসী বিবৃতিতে আরো বলেন চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরীর সুযোগ্য দাদা প্রয়াত মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও তার সুযোগ্য পিতা চারিকাটা ইউনিয়নের রূপকার হাবিবুর রহমান চৌধুরী দীর্ঘদিন চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইউনিয়নের মানুষ সবসময় তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকেন। এলাকায় এ পরিবারের ঐতিহ্য রয়েছে। জনগণের ভোটে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকাবাসীর সমর্থন নিয়ে সতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে চারিকাটা ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তোফায়েল চৌধুরী। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ইউনিয়নবাসীর খেদমত তিনি করে যাচ্ছেন। যার কারণে একটি কুচক্রী মহল তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বর্তমানে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এসব মিথ্যা বিভ্রান্তমূলক অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য ইউনিয়নবাসীর প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে চেয়ারম্যান তোফায়েল চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। (বিজ্ঞপ্তি)
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়