মো: শাহের উদ্দীন শিব্বির::
দেশে শ্রমের মূল্যায়ন তেমন নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রে শ্রমকে চরম অপমান করা হয়। যদিও মুখে বলা হয় কাজ কাজই, সকল কাজই সমান। কিন্তু আমাদের দেশে কাজকে ছোট বড় বিবেচনায় মূল্যায়ন করা হয়। অথচ আমরা জানি মানুষ জীবন ধারণের জন্য যেসকল কাজ করে তাই হলো শ্রম। বেঁচে থাকার তাগিদে, পরিবারকে ভরণ-পোষণের জন্যই সবাই কাজ করে। ধনি-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, নর-নারী নির্বিশেষে সব মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে। সেই সূত্রে পৃথিবীর সব মানুষই শ্রমিক। দিনমজুরের শ্রম, কৃষকের শ্রম, শিক্ষকের শ্রম, অফিসারের শ্রম, পিওনের শ্রম, ব্যবসায়ীর শ্রম,পাইলটের শ্রম,ডাক্তারের শ্রম,ইঞ্জিনিয়ারের শ্রম,আইনজীবীর শ্রম সবই সমান মর্যাদার অধিকারী। মুচির জুতা সেলাই , নাপিতের চুল কাটা, ধোপার কাপড় পরিষ্কার করা, ডাক্তারের চিকিৎসা, পাইলটের বিমান চালানো, রিক্সা চালকের রিক্সা চালানো সব কাজ এতই জরুরি যে, কাউকে না কাউকে এই কাজগুলো করতেই হবে। উন্নত দেশে কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা পড়ালেখার পাশাপাশি হোটেলে কাজ করে, অফিস আদালতে পিওনের কাজ করে, কেউ কেউ আবার
টেক্সি চালায়। আমাদের দেশে সেটা সম্ভবপর নয় যার একমাত্র কারণ অসম্মানের ভয়। আমাদের দেশে হোটেল বয়কে যেকেউ থাপ্পড় মেরে দেয়। অফিসের পিওনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। টেক্সি ড্রাইভারকে তুই বলে সম্বোধন করা হয়। বেকারত্ব রোধে মানসিক পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সমাজের অনেক কিছুই মানসিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে সৃষ্টি হয়। তাই আমরা সবাই শ্রমকে ছোট না বেভে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশকে উণ্ণয়নশীল দেশ গড়া সম্ভব ।
লেখক: দুবাই প্রবাসী
খবর বিভাগঃ
মতামত
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়