নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলা জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। গত ২দিন ধরে কার্যত উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা ছিলো অন্ধকারে নিমজ্জিত। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এইচ.এস.সি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের সার্বিক লেখা-পড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে। কোন কোন এলাকায় গত কয়েকদিন থেকে নামমাত্র বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এতে করে বাড়ী ঘরের ফ্রিজের জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ফোন দিয়ে কানাইঘাট নিউজে তাদের ক্ষোভের কথা তোলে ধরে বলেন, লোডশেডিং এতই বাড়ছে যে তারা দিন-রাতে গত কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। পল্লীবিদ্যুৎ কানাইঘাট জোনাল অফিসে ফোন দিলে কোন কর্মকর্তা তাদের ফোন রিসিভ করেন না। গ্রাহকদের এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পল্লীবিদ্যুতের কয়েকজন কর্মকর্তা কে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে ফোন করলে কর্মকর্তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। কয়েকজনের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বৃহস্পতিবার রাতে একজন কর্মকর্তা ফোন রিসিভ করলে কানাইঘাট জুড়ে ভয়াভহ বিদ্যুৎ বির্পযয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সেই পূর্বের মতো সিলেট কুমারগাঁও গ্রীডে বিপর্যয় ও ফিডার নষ্ট হয়ে গেছে যার কারণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের এমন অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সামান্য বৃষ্টি ও ঝড় হলে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটলে সামনের দিনে আরো ভয়াভহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটবে বলে গ্রাহকরা জানিয়েছেন। সয়ং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লীবিদ্যুতের চরম বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চললে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হবে। মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটবে। সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতী না ঘটলে যেকোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়