নিজস্ব প্রতিবেদক: বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কানাইঘাটে দুই বখাটের ধারালো চাকুর আঘাতে জুবের আহমদ (৩০) নামে এক যুবক গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট সিওমেক হাসপাতালের আই.সি.ইউ.তে ভর্তি করা হয়েছে। তার জ্ঞান এখনো ফিরেনি বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ভালুকমারা গ্রামে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় আহতের স্ত্রী রোকশানা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু কাউছার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় মামলার আসামী একই গ্রামের বখাটে মৃত সালেক আহমদের পুত্র ঘটনার হোতা আমিন উদ্দিন (২৬), তার সহযোগী একই গ্রামের শরীফ উদ্দিনের পুত্র এখলাছ উদ্দিন (২৩) কে পার্শ্ববর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ.পির বাউরভাগ ৪থ খন্ড গ্রামের আব্দুল মতিনের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন।
জানা যায়- ভালুকমারা গ্রামের ফয়জুল হকের কিশোরী মেয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে একই গ্রামের গ্রেপ্তারকৃত এখলাছ ও আমিন মাদ্রাসায় যাওয়া আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েটিকে নানা ধরনের বাজে প্রস্তাব দিত এ দুই বখাটে। মেয়েটির ভাই জুবের আহমদ তার বোনকে উত্যক্ত না করার জন্য বাধা নিষেধ দিলেও বখাটেরা এর কোন কর্ণপাত করেনি। এক পর্যায়ে অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত মেয়েটি ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে বাধ্য হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। তারপরও মেয়েটির বাড়ীতে গিয়ে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত গ্রেপ্তারকৃত বখাটেরা। গত বুধবার রাত অনুমান ১০টার দিকে বখাটে যুবক আমিন ও এখলাছ সহ তাদের এক সহযোগী মেয়েটির বাড়ীতে হানা দিয়ে তাকে জোরপূর্বক বসতঘর থেকে তোলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বড় ভাই জুবের আহমদ বোনকে বখাটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে বখাটেরা তাকে ধারালো চাকু দিয়ে পেটের বাম পাশে উপর্যপুরী আঘাত করলে তার নাড়ি ভুড়ি বেরিয়ে যায়।
আশংকাজনক অবস্থায় জুবের আহমদকে ঐ দিন রাতে সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে তার স্বজনরা জানান।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়