নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউ.পির ৬নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন কর্তৃক ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সরকারি বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তার এসব অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিকার পেতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের অতি দরিদ্র কর্মসূচীর আওতায় ওয়ার্ডের সিছরাউলী কালভার্ট হইতে আটলারপাহাড় জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় রাতের আধারে কোন ধরনের মাটি কাজের শ্রমিক না লাগিয়ে স্কেভেটর দিয়ে নামমাত্র কাজ করে প্রকল্পের ২লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা একই অর্থ বছরে টি.আর প্রকল্পের আওতায় ভেখভেখি হইতে সরিষার খাল পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নে আরো ২লক্ষ ৮৮হাজার টাকা এল.জি.এস.পির আওয়তায় খালপার গ্রামের সুরমা ডাইকের পিছের মুখের বক্করের বাড়ীর পাশ হইতে তরিক হাজির বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার ইটসলিং এর বরাদ্ধকৃত ১লক্ষ ৭২ হাজার টাকা, টি.আর. ক্রমিক নং-৪২, প্রকল্পের খালোপার পূর্ব মসজিদ পর্যন্ত ঈদগাহ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নে ৪০ হাজার টাকা, টি.আর ক্রমিক নং-৪৩, প্রকল্পের আওতায় খালোপার গ্রামের সুরমা ডাইক হইতে দারুস সুন্নাহ সুলতানিয়া মাদ্রাসার রাস্তা উন্নয়নে ৩৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন কর্তৃক ওয়ার্ডের বিজিএফ কার্ডধারীদের কাছ থেকে নগদ ৫শত টাকা করে আদায় এবং সরকার প্রদত্ব ভিজিএফ কার্ডধারীদের অনেকের কাছ থেকে বরাদ্বকৃত জনপ্রতি ৫শত টাকা আত্মসাৎ এবং ওয়ার্ডের খালোপার গ্রামের মৃত রেহমান আলীর পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী সেলিম উদ্দিনের পঙ্গুভাতার ৮হাজার ২শত টাকা আত্মসাৎ একই গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর পুত্র হাবিবুর রহমানের ৮হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ইউ.পি সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকরা এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকায় সরেজমিনে গেলে ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আংশিক কাজ করে আত্মসাৎ ওয়ার্ডের বয়স্ক ভাতা, পঙ্গুভাতা, ভিজিএফ, বিজিটি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে একটি পুরাতন ইটসলিংয়ের রাস্তায় মাটি কাজের প্রকল্প গ্রহণ করে পুরো টাকা আত্মসাৎ এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি রাস্তায় কয়েকদিন পূর্বে ৪/৫ হাজার টাকা মাটির কাজ করান এই ইউ.পি সদস্য। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্ত এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত চলছে। কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। টি.আর. কাবিকা ও কর্মসৃজনের কাজে অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। ইউ.পি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো সত্য নয়। তার প্রতিপক্ষ লোকজন মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়