Saturday, March 31

কানাইঘাটে যে কারণে আপন ভাগ্নের হাতে খুন হলেন মামা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাটে আপন মামাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আপন মামাকে হত্যাকারী ভাগ্নে আলমাছ উদ্দিন গত কয়েকদিন থেকে তার বাড়ির পাশে কবরে পীরের লাশ আছে বলে সেখানে রাতের বেলা মোমবাতি প্রজ্জলন ও গোলাপজল সিটাত। এতে তার আপন মামা নাজিম উদ্দিন তাকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বললে সে মামার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

আবার অনেকে বলেছেন, আলমাছ উদ্দিন কয়েক মাস থেকে নানা ধরনের আচরন করত। সম্প্রতি সে তার এক শিশু ছেলেকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী প্রাণের ভয়ে তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। কয়েক দিন পূর্বে ঘাতক আলমাছ তার এক খালাতো ভাইকে ধারালো দা দিয়ে আঘাতের চেষ্ঠা করে।

নাজিমের পরিবারের লোকজন জানান, সে মানসিক সমস্যায় ভোগছিল তাকে ডাক্তার ও দেখিয়েছেন কিন্তু তার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।

অপর দিকে তার মামার বাড়ীর লোকজন জানিয়েছেন, আলমাছ উদ্দিন পাগল নয় সে একজন সুস্থ মানুষ। তার নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মামা নাজিম উদ্দিনকে ক্ষিপ্ত হয়ে সে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।

থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্না আলমাছ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেননি। লাশের ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত যে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কানাইঘাট চতুল বাজারে নাজিম উদ্দিন (৩৫) কে তারই আপন ভাগ্না একই গ্রামের মৃত রফিকুল হকের পুত্র চতুল বাজারের হরেকমাল ব্যবসায়ী আলমাছ উদ্দিন (৩০) বাজারে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরী আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় বাজারে ব্যবসায়ীরা নাজিম উদ্দিন কে উদ্ধার করে সিলেট সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়