কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
ছোটরা আর আগের
মতো বড়দের শ্রদ্ধা করে না, এরকম কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়৷ কিন্ডার
গার্টেন বা শিশুদের স্কুলের শিক্ষকরাও শিশুদের আচরণে খুব সন্তুষ্ট নন৷ কেন
এমনটা হচ্ছে এবং কিভাবে এর সমাধান সম্ভব? এনিয়ে ডয়েচে ভেলে একটি প্রতিবেদন
তৈরি করেছে-
কিন্ডার গার্টেন:
কিন্ডার গার্টেনে তিন বছরের শিশুদের যা করতে বলা হয় তাই করার কথা, কিন্তু না, ওরা নিজের ইচ্ছা মতোই খেলছে, অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক যা বলছেন শিশুরা ঠিক তার উল্টোটা করছে৷ অথচ শিক্ষক তেমন কিছুই বলতে পারছেন না৷ এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে জানিয়েছেন কিন্ডার গার্টেনের একজন শিক্ষক৷
প্রাইমারি স্কুল:
প্রাইমারি স্কুলেও প্রায় একই অবস্থা৷ শিক্ষকের কথা শুনতে পাচ্ছে না এমন ভাব আজকাল অনেক শিশুর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়৷
সমীক্ষা যা বলছে:
শিক্ষক এবং শিশু লালন-পালন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফোর্সা-র করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, আজকের শিশুদের মধ্যে অমনোযোগিতা, ‘অভদ্র’ আচরণ এবং সামাজিকভাবে মিশতে অক্ষমতা লক্ষ্য করা যায়৷
অনেক মা-বাবার যা ধারণা:
অনেক বাড়িতেই সেরকম কোনো নিয়ম কানুন নেই৷ কারণ, তারা মনে করেন, বাড়িতে বেশি শাসন করলে শিশুরা মুক্তভাবে বড় হতে পারবে না, কিংবা ‘শাসন’ শিশুদের স্বাধীন চিন্তার মানুষ হওয়া কঠিন করবে৷
শিশুদের ভিন্ন ধারণা:
সন্তানকে আগের দিনের মতো শাসন করা উচিত, সন্তানের সব ইচ্ছা মেনে নেওয়া সন্তান মানুষ করার সঠিক পন্থা নয়- এমনটি অনেক শিশুও মনে করে৷ সমীক্ষাটি করা হয়েছে ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে৷ সেখানে অনেক শিশুই বলেছে এ কথা৷
‘না’ কে মেনে নেয়া:
এ বিষয়ে পরিবার বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন, বড়দের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের শ্রদ্ধা করা শৈশব থেকেই শিখতে হয়৷ শিখতে হয় শাসন মেনে নেয়া৷ তাছাড়া শাসন করতে গিয়ে যখন ‘না’ করা হয়, সেই ‘না’ মেনে নেয়াও শিখতে হয়৷ যদিও এই ‘না’ করার কারণে মা, বাবা অনেক সময় সন্তানের কাছে সাময়িকভাবে অপ্রিয়ও হতে পারেন৷
মা-বাবাকেই উদ্যোগী হতে হবে:
শিশুরা হোমওয়ার্ক থেকে শুরু করে সারাদিন আর কী কী করবে তার একটা তালিকা করে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এবং রাতের খাবার একসাথে খাওয়া উচিত, যাতে সারাদিন কে কী করেছে তা নিয়ে আলোচনা করা যায়৷ নিয়ম তৈরি করে দেওয়া মানে নিজের সন্তানকে নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা দেওয়া৷
ক্লিয়ার রুলস:
নিয়মের মধ্যে থেকেও মানুষ মুক্তচিন্তার, উদার মানসিকতার হতে পারে৷ বাড়িতে কিছু নিয়ম-কানুন আর শাসন থাকলে সন্তানরা যে কোনো জায়গায় সহজে খাপ খাওয়াতে পারে৷ যাদের বাড়িতে নিয়মের কোনো বালাই নেই, তাদের সন্তানদের কর্মজীবনেও নিয়ম মেনে চলতে অসুবিধা হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ হতে শিশুদের প্রয়োজন ‘ক্লিয়ার রুলস’৷
কিন্ডার গার্টেন:
কিন্ডার গার্টেনে তিন বছরের শিশুদের যা করতে বলা হয় তাই করার কথা, কিন্তু না, ওরা নিজের ইচ্ছা মতোই খেলছে, অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক যা বলছেন শিশুরা ঠিক তার উল্টোটা করছে৷ অথচ শিক্ষক তেমন কিছুই বলতে পারছেন না৷ এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে জানিয়েছেন কিন্ডার গার্টেনের একজন শিক্ষক৷
প্রাইমারি স্কুল:
প্রাইমারি স্কুলেও প্রায় একই অবস্থা৷ শিক্ষকের কথা শুনতে পাচ্ছে না এমন ভাব আজকাল অনেক শিশুর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়৷
সমীক্ষা যা বলছে:
শিক্ষক এবং শিশু লালন-পালন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফোর্সা-র করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, আজকের শিশুদের মধ্যে অমনোযোগিতা, ‘অভদ্র’ আচরণ এবং সামাজিকভাবে মিশতে অক্ষমতা লক্ষ্য করা যায়৷
অনেক মা-বাবার যা ধারণা:
অনেক বাড়িতেই সেরকম কোনো নিয়ম কানুন নেই৷ কারণ, তারা মনে করেন, বাড়িতে বেশি শাসন করলে শিশুরা মুক্তভাবে বড় হতে পারবে না, কিংবা ‘শাসন’ শিশুদের স্বাধীন চিন্তার মানুষ হওয়া কঠিন করবে৷
শিশুদের ভিন্ন ধারণা:
সন্তানকে আগের দিনের মতো শাসন করা উচিত, সন্তানের সব ইচ্ছা মেনে নেওয়া সন্তান মানুষ করার সঠিক পন্থা নয়- এমনটি অনেক শিশুও মনে করে৷ সমীক্ষাটি করা হয়েছে ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে৷ সেখানে অনেক শিশুই বলেছে এ কথা৷
‘না’ কে মেনে নেয়া:
এ বিষয়ে পরিবার বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ বেশ স্পষ্ট করেই বলেছেন, বড়দের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদের শ্রদ্ধা করা শৈশব থেকেই শিখতে হয়৷ শিখতে হয় শাসন মেনে নেয়া৷ তাছাড়া শাসন করতে গিয়ে যখন ‘না’ করা হয়, সেই ‘না’ মেনে নেয়াও শিখতে হয়৷ যদিও এই ‘না’ করার কারণে মা, বাবা অনেক সময় সন্তানের কাছে সাময়িকভাবে অপ্রিয়ও হতে পারেন৷
মা-বাবাকেই উদ্যোগী হতে হবে:
শিশুরা হোমওয়ার্ক থেকে শুরু করে সারাদিন আর কী কী করবে তার একটা তালিকা করে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এবং রাতের খাবার একসাথে খাওয়া উচিত, যাতে সারাদিন কে কী করেছে তা নিয়ে আলোচনা করা যায়৷ নিয়ম তৈরি করে দেওয়া মানে নিজের সন্তানকে নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা দেওয়া৷
ক্লিয়ার রুলস:
নিয়মের মধ্যে থেকেও মানুষ মুক্তচিন্তার, উদার মানসিকতার হতে পারে৷ বাড়িতে কিছু নিয়ম-কানুন আর শাসন থাকলে সন্তানরা যে কোনো জায়গায় সহজে খাপ খাওয়াতে পারে৷ যাদের বাড়িতে নিয়মের কোনো বালাই নেই, তাদের সন্তানদের কর্মজীবনেও নিয়ম মেনে চলতে অসুবিধা হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ হতে শিশুদের প্রয়োজন ‘ক্লিয়ার রুলস’৷
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়