কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
সাধারণত
রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করার সময় হোঁচট খেলে পায়ের হোড়ালি মচকে যায়। পড়ে গেলে
কিংবা মোটর গাড়ি দুর্ঘটনায় কিংবা যারা নিয়মিত খেলাধুলা করে, তাদের পায়ের
গোড়ালি মচকে যাওয়া কিংবা ভেঙ্গে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
গর্তে পড়ে গিয়ে, রিকশা বা বাস থেকে নামতে গিয়ে, সিঁড়ি থেকে নামার সময় ধাপে ঠিকমতো পা না পড়লে, খেলাধুলার সময় জুতার সমস্যার কারণে এমনকি বিছানা থেকে উঠতে গিয়েও গোড়ালি মচকাতে পারে।
দ্রুত কী করবেন
. পায়ে জুতো বা কেডস থাকলে খুলে ফেলুন। রোগীকে শুইয়ে দিয়ে তার আহত পায়ের নিচে বালিশ বা কম্বল দিয়ে পা এমন উঁচুতে রাখতে হবে যেন তা হৃদপিণ্ডের লেভেল থেকে ওপরে থাকে।
. গোড়ালি জয়েন্টে একখণ্ড বরফ কিংবা ঠান্ডা ভেজা কাপড় কিছুটা সময় চেপে রাখুন। তবে বরফ সরাসরি না দেওয়াই ভালো। একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে সেটা দিয়ে স্যাক দেওয়াটা সঠিক পদ্ধতি। আঘাত পাওয়ার প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অথবা ফোলা না কমা পর্যন্ত প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে আইস প্যাক লাগান।
. কোনো ধরনের তেল কিংবা হাত দিয়ে জায়গাটি মালিশ করবেন না।
. মোটা কাপড় দিয়ে গোড়ালির কিছুটা ওপর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পেঁচিয়ে কিংবা মোটা কাপড়ের মধ্যে পা ঢুকিয়ে তারপর ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে ফেলুন।
. মোটা কাপড় থাকলে তুলোর প্যাড ব্যবহার করে তারপর ব্যান্ডেজ বাঁধুন।
. বাঁধনটি যেন খুব শক্ত না হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
. রোগীকে পায়ের ওপর দাঁড় করানো কিংবা হাঁটতে বলা যাবে না।
. যদি হাড় সরে যায়, তাহলে তা টেনে ঠিক করার চেষ্টা করবেন না।
. এরপর রোগীকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে পাঠানোর সময় খেয়াল রাখবেন যেন গোড়ালিতে চাপ না পড়ে।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
গর্তে পড়ে গিয়ে, রিকশা বা বাস থেকে নামতে গিয়ে, সিঁড়ি থেকে নামার সময় ধাপে ঠিকমতো পা না পড়লে, খেলাধুলার সময় জুতার সমস্যার কারণে এমনকি বিছানা থেকে উঠতে গিয়েও গোড়ালি মচকাতে পারে।
দ্রুত কী করবেন
. পায়ে জুতো বা কেডস থাকলে খুলে ফেলুন। রোগীকে শুইয়ে দিয়ে তার আহত পায়ের নিচে বালিশ বা কম্বল দিয়ে পা এমন উঁচুতে রাখতে হবে যেন তা হৃদপিণ্ডের লেভেল থেকে ওপরে থাকে।
. গোড়ালি জয়েন্টে একখণ্ড বরফ কিংবা ঠান্ডা ভেজা কাপড় কিছুটা সময় চেপে রাখুন। তবে বরফ সরাসরি না দেওয়াই ভালো। একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে সেটা দিয়ে স্যাক দেওয়াটা সঠিক পদ্ধতি। আঘাত পাওয়ার প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অথবা ফোলা না কমা পর্যন্ত প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে আইস প্যাক লাগান।
. কোনো ধরনের তেল কিংবা হাত দিয়ে জায়গাটি মালিশ করবেন না।
. মোটা কাপড় দিয়ে গোড়ালির কিছুটা ওপর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পেঁচিয়ে কিংবা মোটা কাপড়ের মধ্যে পা ঢুকিয়ে তারপর ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে ফেলুন।
. মোটা কাপড় থাকলে তুলোর প্যাড ব্যবহার করে তারপর ব্যান্ডেজ বাঁধুন।
. বাঁধনটি যেন খুব শক্ত না হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
. রোগীকে পায়ের ওপর দাঁড় করানো কিংবা হাঁটতে বলা যাবে না।
. যদি হাড় সরে যায়, তাহলে তা টেনে ঠিক করার চেষ্টা করবেন না।
. এরপর রোগীকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে পাঠানোর সময় খেয়াল রাখবেন যেন গোড়ালিতে চাপ না পড়ে।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়