Saturday, February 17

কানাইঘাটে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ'পির সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে শনিবার স্বামীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুলিশ নিহতের শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে। জানা যায় সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের শফিকুল হকের পুত্র রিক্সা চালক ইব্রাহিম আলী উরফে ইমন (২৩) এর স্ত্রী জাহানারা বেগম (১৯) বাড়ির পাশে একটি ছড়ায় শনিবার সকাল অনুমান ১০টার দিকে গোসল করতে যায়। এ সময় জাহানারার স্বামী ইমনের চাচাতো ভাই সিরাজ উদ্দিন (২৫) তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে স্বামী ইমন টিলার উপর অবস্থিত বাড়িতে থেকে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সিরাজ উদ্দিনের উপর হামলার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী জাহানারাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের উরুতে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ঘাতক স্বামী ইমন। রক্তাক্ত জাহানারার আর্তচিৎকারে তার শ্বশুড় শফিকুল হক (৫৫) ও শ্বাশুড়ী রাহেনা খাতুন (৪৮) সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহানারাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে থানার ওসি(তদন্ত) নুনুমিয়া হাসপাতালে গিয়ে নিহত  জাহানারার শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ীকে আটক করে থানায় নিয়া আসেন। স্ত্রী হত্যাকারী ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন ইব্রাহিম আলী উরফে ইমন অনুমান ১ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে জৈন্তাপুর উপজেলার ছাত্তারখাই গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র জয়নালের স্ত্রী জাহানারা কে পালিয়ে এনে বিয়ে করে। তাদের কোন সন্তান নেই। ইমনের চরিত্র ভাল নয় সে একটি ডাকাতি মামলায় আড়াই মাস জেল খেটে ১ মাস পূর্বে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে শ্বশুড়ালয় থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়।  ধারণা করা হচ্ছে ইমনের আপন চাচাতো ভাই একই বাড়ির সিরাজ উদ্দিনের সাথে জাহানারা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক থাকতে পারে।  শনিবার বাড়ীর পাশের ছড়ায় গোসল করতে জাহানারা আসলে সিরাজ সাথে স্ত্রীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী ইমন এমন ধারনা করছেন প্রতিবেশিরা। থানায় আটক জাহানার শ্বশুড় শফিকুল হক ও শ্বাশুড়ী রাহেনা খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন সিরাজ উদ্দিন তাদের পুত্রবধু কে গোসল করার সময় ইজ্জত হরন করতে চাইলে আমাদের ছেলে ইমন নিজেকে সামলাতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে সে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করেনি। থানার ওসি (তদন্ত) নুনুমিয়া জানান জাহানারা কে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী ইমনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চালাচ্ছে। হত্যার তথ্য উদঘাটনের জন্য জাহানারার শ্বশুড় শ্বাশুড়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় অভিযোগ দেননি বলে তিনি জানান। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সিলেট সিওমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।  


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়