Friday, January 19

হাথুরুর লঙ্কাকে বিশাল ব্যবধানে হারাল টাইগাররা

13.jpg

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
শঙ্কা ছিল সদ্য সাবেক হওয়া প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে টাইগারদের সব নাড়ি নক্ষত্র লঙ্কান ক্রিকেটারদের কাছে ফাঁস করে দিয়েছেন।

কিন্তু হাথুরুর একসময়ের সহকারী রিচার্ড হ্যালসল রেগেমেগে আসল সত্যটা বলেছিলেন, মাঠে তো আর হাথুরু গিয়ে খেলে আসবেন না। সেই সত্যই বাস্তবে রচিত হল আজ।

জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে লঙ্কানদের পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। ১৬৩ রানের ব্যবধানে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল মাশরাফীর দল। নিজেদের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে পাওয়া জয়।

বাংলাদেশ এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬০ রানে হারিয়েছিল। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৯২ তুলে উইন্ডিজকে ১৩২ রানে অলআউট করে টাইগাররা।

ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বাকি থাকবে দুটি। ওই দুটির একটি জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত। হারলে রানরেটের হিসাবে এগিয়ে থেকে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

বাংলাদেশ এদিন আগে ব্যাট করে ৩২০ রান সংগ্রহ করে। তামিম ইকবাল ৮৪, মুশফিক ৬২ এবং সাকিব ৬৭ করেন। এরপর বোলিংয়ে দারুণ ধারাবাহিক ছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ১৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার তিন উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন মাশরাফীরা। এই সময়ে মাশরাফীর কৌশলী স্লোয়ার আর রুবেলের মাপা বাউন্সার নজর কাড়ে বেশি।

অবাক করার বিষয় হল শুরুর ১২ ওভারে সাকিব কিংবা মোস্তাফিজকে ব্যবহার করেননি মাশরাফী। কিংবা বোলিংয়ে টানেননি সানজামুলের পরিবর্তে একাদশে ঢোকা পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে।

মোস্তাফিজ আক্রমণে আসেন ১৩তম ওভারে। পরে ১৯তম ওভারে প্রথম সাফল্য পান। নাসিরকে দিয়ে ওপেনিং করানোর পর রুবেল আর অধিনায়ক নিজে আক্রমণে থাকেন।

নাসির বোলিংয়ের শুরু করেন। তৃতীয় ওভারে কুশল পেরেরাকে (১) ফেরান। এরপর থারাঙ্গাকে (২৫) ফেরান মাশরাফী।

অধিনায়ক চান্দিমাল মিডলঅর্ডারে ৩৯ বলে ২৮ করে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। সাকিব তাকে রানআউট বানিয়ে পথ দেখান। ম্যাচের অনেকটা সময় বোলিংয়ে আসার পর ২৬তম ওভারে পরপর দুই বলে গুনারত্নে (১৬) এবং হাসারাঙ্গাকে (২৯) ফিরিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেটা না হলেও শ্রীলঙ্কাকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। এই অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হাথুরুর ছেলেরা।

সাকিব ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফী ৩০ রান দিয়ে দুটি। একটি করে শিকার নাসির, মোস্তাফিজ এবং রুবেলের।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়