নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে ইজারার শর্ত অমান্য করে পরিবেশ বিধ্বংসী তৎপরতা কোয়ারীতে অব্যাহত থাকায় সীমান্তবর্তী কোয়ারি এলাকায় যে কোন সময় বড় ধরণের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি কোয়ারীর বাংলাটিলা থেকে পাথর উত্তোলনকালে ৪ শিক্ষার্থী সহ ৬ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটে। কিন্তু তারপরও কোয়ারি এলাকায় বন্ধ হচ্ছে না পরিবেশ বিধ্বংসী তৎপরতা। স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাথর কোয়ারী এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন তৎপরতা নেই। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে কোয়ারিতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও অদ্যবধি পর্যন্ত কোয়ারিতে অসংখ্য বড় বড় গর্ত করে যারা পাথর উত্তোলন করছেন সেইসব পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কোয়ারিতে ইজারার শর্ত অমান্য করে নির্বিচারে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার জাফলং পাথর কোয়ারীতে টিলা ধ্বসে পড়ে ৪ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পরদিন আজ বুধবার লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা। এ সময় তার সাথে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ উপস্থিত ছিলেন। কোয়ারি এলাকা পরিদর্শনকালে বড় বড় গর্ত তৈরি করে যারা সেখান থেকে পাথর উত্তোলন করছেন সেই সব পাথর ব্যবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য তিনি লোভাছড়া পাথর ব্যবসায়ী সমিতির দু’টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে তাদের নামের তালিকা দেওয়ার জন্য বলেন। পরিদর্শনকালে নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা কোয়ারি এলাকায় পরিবেশ বিধ্বংসী তৎপরতা বন্ধ, গর্ত ধ্বসে পড়ে যাতে করে কোন ধরনের প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে এজন্য সবাইকে সাবধান করে দেন। কিন্তু প্রশাসনের এসব আদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে প্রভাবশালী পাথর খেকো চক্র গর্ত তৈরি করে পাথর উত্তোলন ও যান্ত্রিক চালিত শেলো মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে পাথর ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা ইতিমধ্যে আদায় করে প্রশাসনের মাঝে বিলিবন্টন করে দিয়েছেন। কোয়ারি থেকে গর্ত তৈরি করে পাথর উত্তোলনে কোন ধরনের অসুবিধা হবে না বলে গর্ত তৈরি করে যারা পাথর উত্তোলন করছেন তাদের সে ধরণের আশ্বাস দিচ্ছেন তারা। এতে কোয়ারি এলাকায় যে কোন সময় বড় ধরণের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে সচেতন মহল জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বুধবার কোয়ারি এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং সেখানকার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে যারা গর্ত তৈরি করে পাথর উত্তোলন করছেন সেইসব ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। যে কোন সময় কোয়ারিতে বেআইনী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ট্রাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়