Sunday, September 3

মেজবানি ভোজে শেষ ক্রিকেটারদের ঈদ

মেজবানি ভোজে শেষ ক্রিকেটারদের ঈদ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল চট্টগ্রামে গড়াবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। তাই টাইগার ক্রিকেটাররা অনেকেই ঈদ কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে।

দেশের হয়ে খেলতে কতসময় বিদেশে কাটাতে হয়, সেটার মাঝে ঈদও পড়ে। কিন্তু দেশের মাটিতে থেকেও যখন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হয়ে ওঠে না, তখন পেশাদারিত্বের আড়ালে খানিকটা মন খচখচানি তো থাকেই।

নাসির-সাব্বিররা যখন সেই নিয়তিটা মেনে নিয়েই ঈদের দিনেও ব্যাট-বল হাতে অনুশীলনে, তামিম তখন ব্যস্ত সতীর্থদের ঈদে আরেকটু ভিন্ন আমেজ জড়িয়ে দিতে। তাইতো মেজবানি ভোজের মধ্য দিয়েই ক্রিকেটারদের ঈদের শেষটা এল।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে তামিম ইকবালের পরিবার চট্টগ্রামে থাকা ক্রিকেটারদের আতিথেয়তা দেবেন, তা ঠিক করা ছিল আগেই। ক্রিকেটাররা দুই ভাগে চট্টগ্রামে আসায় আয়োজনটা কখন হবে সেটি নিয়েই যতটুকু ছিল সিদ্ধান্তহীনতা।

শেষপর্যন্ত মেজবানি ভোজ রাতে করায় সব ক্রিকেটারই নিতে পারলেন সতীর্থের পরিবারের দেওয়া আতিথেয়তা। বাদ যাননি কোচিং স্টাফরাও। চট্টগ্রামে টিম হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে তামিমের বাড়ির দূরত্বও খুব বেশি নয়।

সন্ধ্যায় তামিমের কাজীর দেউড়ির বাসায় যান শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে আসা কোচিং স্টাফ ও ছয় ক্রিকেটার- নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক। তামিম এবং তার চাচা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান ক্রিকেটার-কোচিং স্টাফদের অভ্যর্থনা জানান।

ঢাকা থেকে বিমানপথে মুশফিক-সাকিব-মিরাজ-তাইজুল-তাসকিনসহ ৮ ক্রিকেটার যখন চট্টগ্রামে পৌঁছালেন, ঘড়ির কাটায় রাত সাড়ে ৯টা। টিম হোটেলে ব্যাগ রেখে ১০টার কিছুপর তারাও ছুটে গেলেন তামিমের বাসায়। শেষপর্যন্ত ঈদ মিলনমেলা বসল মিরপুর টেস্টের জয়ী দলের। যার শেষ মেজবানি ভোজের মধ্যদিয়ে।

এদিকে ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় সাড়ে তিনদিনে পরাজিত করার পর মুশফিক বাহিনীর মনে 'বাংলাওয়াশের' স্বপ্ন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হারাতে পারলেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে টাইগারদের।

উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৪ থেকে ৮ আগস্ট চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। 
সূত্র: বিডি লাইভ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়