কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল সংযোজনের পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা শুরু হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি এমনভাবে মোকাবেলা করা হবে যা বিশ্ব এর আগে কখনও দেখেনি।
উত্তর কোরিয়ার পাল্টা হুমকি, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালাবে, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। ফলে পুরো বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্রদের। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গুয়ামের বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা কতটা? বিবিসির এক বিশ্লেষণে তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
কোনো পক্ষই যুদ্ধ চায় না: যুক্তরাষ্ট্র বা উত্তর কোরিয়া কোনো পক্ষই যুদ্ধের দিকে হাঁটবে না। কারণ কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ কারও জন্যই কোনো সুবিধা আনবে না। উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বেধে গেলে ক্ষমতার আসন নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। তবে উত্তেজনাকর মুহূর্তে একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকেই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক।
বিবিসির যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে তা উত্তর কোরিয়ার জন্য হবে আত্মঘাতী। আবার ঠিক এই কারণেই তড়িঘড়ি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হতে চাইছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। কারণ আর যাই হোক, তিনি লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি বা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্য বরণ করতে চান না।
আবার যুক্তরাষ্ট্রও সহজে উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালাবে না। কারণ তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটবে, বিশেষ করে সাধারণ আমেরিকান আর সৈনিকদের।
শুধুই কি কথার লড়াই?
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, সেটা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যতিক্রম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র পুরোদমে যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, উত্তেজক কথাবার্তা বাড়ছে মানে এই নয় যে, আমাদের অবস্থানও বদলাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দুই দফা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর, জাতিসংঘের মাধ্যমে অবরোধ আরোপের সেই পুরনো পথেই হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতিকরা আশা করছেন, রাশিয়া আর চীনের সহায়তায় উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনা যাবে।
আগেও তৈরি হয়েছে এমন আতঙ্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজে ক্রাউলে বলেছেন, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার সশস্ত্র যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তখন পরমাণু কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল দেশটি। তবে কূটনীতি দিয়েই তা সমাধান করা হয়েছে।
এরপর বহুবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সেগুলো কখনও বাস্তব হয়নি। আর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছেন, তাও একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত নয়।
এটাই যা একটু আশঙ্কার যে, তিনি হঠাৎ করে কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন কিনা। তবে তার এ ধরনের কোনো কাজে নিশ্চয়ই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বাধা দেবেন। তাই ট্রাম্পের এরকম ব্যতিক্রমী আচরণের কারণে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই বলেই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াও আগাম একটি যুদ্ধের আশঙ্কায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও পরিস্থিতি সংকট সময়ে পড়েনি। আশা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে।
চীনের অবস্থান: উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র প্রতিবেশী চীন। অনেক কিছুর জন্যই দেশটি চীনের ওপর নির্ভরশীল। তাই বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে হলে চীনের মনোভাব বিবেচনা করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে।
ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার চীনবিষয়ক বিভাগের একজন ফেলো এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াবিষয়ক গবেষক ড. মাহমুদ আলী বলেন, যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য সহায়তাতেই পিয়ংইয়ং এতদিন ধরে টিকে রয়েছে। বতর্মানে দেশটির বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, চীন ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বেইজিং চায় না উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাক। তাহলে এমন একটি সংযুক্ত, অবিভক্ত কোরিয়া সৃষ্টি হবে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা একেবারে চীনের সীমানায় চলে আসবে। আবার উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত হলে কোটি কোটি মানুষ এসে চীনে আশ্রয় নেবে। তখন একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হবে। চীন সেটি চায় না বলে স্থিতিশীলতা তাদের কাম্য। তবে যুদ্ধ বাধার আগেই নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি এমনভাবে মোকাবেলা করা হবে যা বিশ্ব এর আগে কখনও দেখেনি।
উত্তর কোরিয়ার পাল্টা হুমকি, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালাবে, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। ফলে পুরো বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্রদের। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গুয়ামের বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা কতটা? বিবিসির এক বিশ্লেষণে তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
কোনো পক্ষই যুদ্ধ চায় না: যুক্তরাষ্ট্র বা উত্তর কোরিয়া কোনো পক্ষই যুদ্ধের দিকে হাঁটবে না। কারণ কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ কারও জন্যই কোনো সুবিধা আনবে না। উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বেধে গেলে ক্ষমতার আসন নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। তবে উত্তেজনাকর মুহূর্তে একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকেই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক।
বিবিসির যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে তা উত্তর কোরিয়ার জন্য হবে আত্মঘাতী। আবার ঠিক এই কারণেই তড়িঘড়ি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হতে চাইছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। কারণ আর যাই হোক, তিনি লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি বা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্য বরণ করতে চান না।
আবার যুক্তরাষ্ট্রও সহজে উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালাবে না। কারণ তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটবে, বিশেষ করে সাধারণ আমেরিকান আর সৈনিকদের।
শুধুই কি কথার লড়াই?
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, সেটা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যতিক্রম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র পুরোদমে যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, উত্তেজক কথাবার্তা বাড়ছে মানে এই নয় যে, আমাদের অবস্থানও বদলাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দুই দফা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর, জাতিসংঘের মাধ্যমে অবরোধ আরোপের সেই পুরনো পথেই হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনীতিকরা আশা করছেন, রাশিয়া আর চীনের সহায়তায় উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনা যাবে।
আগেও তৈরি হয়েছে এমন আতঙ্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজে ক্রাউলে বলেছেন, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার সশস্ত্র যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তখন পরমাণু কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল দেশটি। তবে কূটনীতি দিয়েই তা সমাধান করা হয়েছে।
এরপর বহুবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সেগুলো কখনও বাস্তব হয়নি। আর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছেন, তাও একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত নয়।
এটাই যা একটু আশঙ্কার যে, তিনি হঠাৎ করে কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন কিনা। তবে তার এ ধরনের কোনো কাজে নিশ্চয়ই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বাধা দেবেন। তাই ট্রাম্পের এরকম ব্যতিক্রমী আচরণের কারণে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই বলেই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াও আগাম একটি যুদ্ধের আশঙ্কায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও পরিস্থিতি সংকট সময়ে পড়েনি। আশা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে।
চীনের অবস্থান: উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র প্রতিবেশী চীন। অনেক কিছুর জন্যই দেশটি চীনের ওপর নির্ভরশীল। তাই বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে হলে চীনের মনোভাব বিবেচনা করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে।
ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার চীনবিষয়ক বিভাগের একজন ফেলো এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াবিষয়ক গবেষক ড. মাহমুদ আলী বলেন, যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য সহায়তাতেই পিয়ংইয়ং এতদিন ধরে টিকে রয়েছে। বতর্মানে দেশটির বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, চীন ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বেইজিং চায় না উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাক। তাহলে এমন একটি সংযুক্ত, অবিভক্ত কোরিয়া সৃষ্টি হবে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা একেবারে চীনের সীমানায় চলে আসবে। আবার উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত হলে কোটি কোটি মানুষ এসে চীনে আশ্রয় নেবে। তখন একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হবে। চীন সেটি চায় না বলে স্থিতিশীলতা তাদের কাম্য। তবে যুদ্ধ বাধার আগেই নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়