কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা
থেকে মতলবগামী ‘মতলব এক্সপ্রেস’ বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী
ডোবায় পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন যখন দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনাটি
ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত, ঠিক তখন দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার কনস্টেবল
পারভেজ মিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়লা ডোবায় লাফিয়ে পড়েন।
বাসটি যে ডোবায় পড়েছিল, তা ছিল ময়লায় ভর্তি, পচা গন্ধের। দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ শুনে অনেকে সেখানে এলেও শুরুতে পানিতে নামার সাহস দেখাননি অনেকেই।
পারভেজ মিয়া লাফিয়ে নেমে পড়েন। হাতে ইট নিয়ে প্রথমে বাসটির জানালার কাচ ভাঙেন। এরপর ভেতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করেন। ডোবার পানিতে ডুবে থাকা বাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাখরপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়া ও রিনা আক্তারের ছেলে রাইয়ান (৩ মাস), রাইয়ানের ভাই রিহাব (৪), বোন ফারজানা (৭), সুমাইয়া (৮) ও সোনিয়াকে (১০) উদ্ধার করেন।
পারভেজ মিয়ার সাহসিকতা দেখে স্থানীয় অনেকেই যাত্রীদের উদ্ধার করতে ডোবার পানিতে নেমে পড়েন। শেষে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করেন।
পারভেজ মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপর বিপদে পড়া লোকদের বাঁচাতে এগিয়ে যাই। নিজের কথা চিন্তা করিনি। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। বাসের ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ২৬ জনকে একা বের করে এনেছি। বাসের কাচে হাত কেটেছে। তবে নিজের যাই হোক যাত্রীদের বাঁচাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।’
দুর্ঘটনার শিকার বাসের যাত্রী মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘বাসটি পানিতে পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছে এই বুঝি শেষ। বাঁচতে পারব না। ঠিক সেই মুহূর্তে পুলিশ কনস্টেবল আমাদের উদ্ধার করেন। তার কথা জীবনেও ভুলতে পারব না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাসটি ডোবায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া ডোবার ময়লা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে লাফিয়ে নেমে পড়েন। প্রথমে বাসের জানালার গ্লাসগুলো ভেঙে ফেলেন। তিন মাসের এক শিশুসহ পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করেন শুরুতেই। তাঁর সাহসিকতার জন্যই বাসের ৪০ যাত্রী মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
স্থানীয় অনেকেই বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারভেজ যেভাবে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দুর্ঘটনার সময় অনেকেই মুঠোফোনে পারভেজসহ দুর্ঘটনাস্থলের ছবি তোলেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পারভেজ মিয়ার কর্তব্যপরায়ণতা হাইওয়ে পুলিশকে গর্বিত করেছে। তার সাহসিকতায় কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ১০ হাজার টাকা ও পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মো. পারভেজ মিয়ার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেনদী গ্রামে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসব যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন কনস্টেবল পারভেজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটি ময়লা নর্দমায় পড়ে যাওয়া পর সবাইকে উদ্ধার করতে পেরেছি সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে দুঃখজনক হলো এমন বিপদের সময়ও সাধারণ মানুষ ব্যস্ত বা দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ছবি ও ভিডিও করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখলাম কেউ এগিয়ে আসছেন না। তখনই আমি ওই নর্দমায় লাফিয়ে পড়ি। গাড়ির ভেতর আটকা পড়া ২৫-২৬ যাত্রীকে গ্লাস ভেঙে উদ্ধার করি। উদ্ধারের শেষ পর্যায়ে ৫ বছরের একটি শিশু সন্তাকেও পানির নিচ থেকে দ্রুত উদ্ধার করতে পেরেছি। এরপর ওই নর্দমায় ডুব দিয়ে খুঁজে দেখেছি আর কোনও যাত্রী আছে কিনা।’
স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে কনস্টেবল পারভেজ ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেছেন তা অবিশ্বাস্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়লা পানিতে নেমে তাৎক্ষণিক যাত্রীদের উদ্ধারের ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বাসটি যে ডোবায় পড়েছিল, তা ছিল ময়লায় ভর্তি, পচা গন্ধের। দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ শুনে অনেকে সেখানে এলেও শুরুতে পানিতে নামার সাহস দেখাননি অনেকেই।
পারভেজ মিয়া লাফিয়ে নেমে পড়েন। হাতে ইট নিয়ে প্রথমে বাসটির জানালার কাচ ভাঙেন। এরপর ভেতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করেন। ডোবার পানিতে ডুবে থাকা বাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাখরপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়া ও রিনা আক্তারের ছেলে রাইয়ান (৩ মাস), রাইয়ানের ভাই রিহাব (৪), বোন ফারজানা (৭), সুমাইয়া (৮) ও সোনিয়াকে (১০) উদ্ধার করেন।
পারভেজ মিয়ার সাহসিকতা দেখে স্থানীয় অনেকেই যাত্রীদের উদ্ধার করতে ডোবার পানিতে নেমে পড়েন। শেষে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করেন।
পারভেজ মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপর বিপদে পড়া লোকদের বাঁচাতে এগিয়ে যাই। নিজের কথা চিন্তা করিনি। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। বাসের ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ২৬ জনকে একা বের করে এনেছি। বাসের কাচে হাত কেটেছে। তবে নিজের যাই হোক যাত্রীদের বাঁচাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।’
দুর্ঘটনার শিকার বাসের যাত্রী মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘বাসটি পানিতে পড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছে এই বুঝি শেষ। বাঁচতে পারব না। ঠিক সেই মুহূর্তে পুলিশ কনস্টেবল আমাদের উদ্ধার করেন। তার কথা জীবনেও ভুলতে পারব না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাসটি ডোবায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া ডোবার ময়লা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে লাফিয়ে নেমে পড়েন। প্রথমে বাসের জানালার গ্লাসগুলো ভেঙে ফেলেন। তিন মাসের এক শিশুসহ পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করেন শুরুতেই। তাঁর সাহসিকতার জন্যই বাসের ৪০ যাত্রী মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
স্থানীয় অনেকেই বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারভেজ যেভাবে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দুর্ঘটনার সময় অনেকেই মুঠোফোনে পারভেজসহ দুর্ঘটনাস্থলের ছবি তোলেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পারভেজ মিয়ার কর্তব্যপরায়ণতা হাইওয়ে পুলিশকে গর্বিত করেছে। তার সাহসিকতায় কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ১০ হাজার টাকা ও পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মো. পারভেজ মিয়ার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেনদী গ্রামে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসব যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন কনস্টেবল পারভেজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটি ময়লা নর্দমায় পড়ে যাওয়া পর সবাইকে উদ্ধার করতে পেরেছি সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে দুঃখজনক হলো এমন বিপদের সময়ও সাধারণ মানুষ ব্যস্ত বা দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ছবি ও ভিডিও করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখলাম কেউ এগিয়ে আসছেন না। তখনই আমি ওই নর্দমায় লাফিয়ে পড়ি। গাড়ির ভেতর আটকা পড়া ২৫-২৬ যাত্রীকে গ্লাস ভেঙে উদ্ধার করি। উদ্ধারের শেষ পর্যায়ে ৫ বছরের একটি শিশু সন্তাকেও পানির নিচ থেকে দ্রুত উদ্ধার করতে পেরেছি। এরপর ওই নর্দমায় ডুব দিয়ে খুঁজে দেখেছি আর কোনও যাত্রী আছে কিনা।’
স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে কনস্টেবল পারভেজ ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেছেন তা অবিশ্বাস্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়লা পানিতে নেমে তাৎক্ষণিক যাত্রীদের উদ্ধারের ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
পাশ্ববর্তী পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘কনস্টেবল পারভেজের বুদ্ধিবলে রক্ষা পায় বাসে থাকা যাত্রীরা। গাড়িটি ডোবায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া দ্রুত লাফিয়ে পড়েন। তিনি প্রথমে গাড়ির জানালার গ্লাসগুলো ভেঙে দেন যাতে করে ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীরা সহজে বের হতে পারে। তাতে তিনি থেমে থাকেননি। পানির নিচে গাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনেন সাত মাসের একটি শিশুকেও।’
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পারভেজের এ কর্মতৎপরতায় গর্বিত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা। তার সাহসিকতায় কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ১০ হাজার টাকা, স্থানীয় পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন।’
সূত্র: বিডি লাইভ।
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়