Thursday, June 8

প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছি: খালেদা

প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছি: খালেদা
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে ইচ্ছাকৃতভাবে এয়ার কন্ডিশন (এসি) বন্ধ রাখা হয়েছে অভিযোগ করে  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে আমরা আদালতে ছিলাম। সেখানে এতো গরম, ওখানে অনেক এসি ছিল কিন্তু তারা এসিগুলো  চালায় না। তার পর বলে বলে, চিল্লাচিল্লি করার পর তারা এসি চালু করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-১ এ একটি হোটেলে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।

খালেদা জিয়া বলেন, এসির রিমোট লুকিয়ে রাখে কত কি যে করে। কত নাটক ওখানেও হতে থাকে। এরকম করে করে গরমে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমরা। তার পরেও এতো গুলো এসি থাকা সত্ত্বেও চালায় না। আমি তো গরমের মধ্যে অস্থির। অনেক চিল্লাচিল্লি করার পর শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে।

গলা বন্ধ হয়ে গেছে, কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার পক্ষে মহাসচিব বক্তব্য দিবেন। এর পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

বিএনিপর মহাসচিব বলেন, অনেকেই প্রত্যাশা করেছেন দেশনেত্রী বক্তব্য রাখবেন। তার পক্ষ থেকে আমাকে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। দেশনেত্রীর দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও কিছু কথা বলতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এই রোজার মাসেও শান্তিতে নেই। এই রোজার মাসে আমরা আশা করেছিলাম, সরকার তার যে নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে কিছুটা বিরত থাকবে। কিন্তু গতকালই আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যকে তার বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। এটা সারা দেশেই চলছে। দখল, নিপীড়ন, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। খালেদা জিয়াকেও আজ আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে এবং আগামী ৭ দিন পর আবার হাজিরা দিতে হবে। এর থেকেই বোঝা যায় তারা কি রকম নির্যাতন নিপীড়ন করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য একটাই যে বিরোধী দল, বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে দুরে সরে রেখে একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু একতরফা নির্বাচন এদেশের মানুষ হতে দিবে না। এদেশের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, সকল দল মতের ঐক্যবদ্ধতায় গণতন্ত্র অধিকার রক্ষায় লড়াই করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশকে আজকে একটা ভয়ংকর অবস্থার দিকে নিয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশের রাজনীতিকে ক্রমশ্যই প্রতিহিংসার দিকে নিয়ে বিভক্ত সমাজে পরিণত করছে। এই অবস্থার পরিপেক্ষিতে যদি আমরা দেশকে, মানুষকে বাঁচাতে চাই, তাহলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, একটি সহায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। তাহলে অবশ্যই এদেশের মানুষ, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু যদি সরকার এটা না করে তাহলে কখনই সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ অংশ গ্রহণ করবে না। সেই নির্বাচন দেশের মানুষ হতে দিবে না। আশা করছি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা জনগণের কথা মাথায় রেখে অবশ্যই একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।

এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তুজার সভাপতিত্ত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, এলডিটির প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অব) অলি আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতিক, জাগপার সভাপতি রেহেনা প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ। 
সূত্র: বিডি লাইভ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়