কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিয়ের
সব কেনাকাটাও প্রায় শেষ। বিতরণ করা হচ্ছিল বিয়ের কার্ড। আমার কাছেও একটি
কার্ড আছে। এখানে মোমুন সেন্টারে বিয়ের জন্য হল বুকিং দেওয়া হয়েছে। ২৯
জুলাই বিয়ে।
ভেঙে পড়া কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন লন্ডনপ্রবাসী আজিজুল হক। লন্ডনে যে বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে থাকেন তার খালা। আগুন লাগার পর থেকেই খালার পুরো পরিবার নিখোঁজ। খালাতো বোন হোসনা বেগমের (২২) বিয়ের দিন নির্ধারণ করা রয়েছে আগামী ২৯ জুলাই। খালার পরিবারের কারও লাশ উদ্ধার হয়নি বলে তাদের মৃত বলা যাচ্ছে না নিশ্চিতভাবে। কিন্তু তারা কি জীবিত আছেন? এমন সব ভাবনায় অজানা আশঙ্কায় বুক কাঁপছে আজিজুল হকের।
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে ২৪ তলা এক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ৬০০ থেকে ৮০০ লোকের আবাস গ্রেনফেল টাওয়ার নামের ওই আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অন্তত ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
লন্ডন ফায়ার সার্ভিস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ অগ্নিকাণ্ডকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজিজুল হক জানান, আগুন লাগার পর থেকে তিনি প্রায় সারাক্ষণই সেখানে অবস্থান করছেন। তার বাড়ি ওই ভবনের কাছাকাছি। পুলিশের কাছ থেকে ক্ষণে ক্ষণে তথ্য নিচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আশার বার্তা পাননি। বাড়িটির ১৭ তলার ১৪৪ নম্বর ফ্ল্যাটে খালা রাজিয়া বেগম (৬৫), তার স্বামী কমরু মিয়া (৮২) এবং তিন সন্তান আবদুল হানিফ (২৯), আবদুল হামিদ (২৬) ও হোসনা বেগমকে (২২) নিয়ে বাস করতেন। খালাতো বোন হোসনা বেগমের বিয়ের তারিখ আগামী ২৯ জুলাই।
আজিজুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ওদের (খালার পরিবার) সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওরা কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। বাসার বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর আর ফোন করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কেউ ফোন ধরেনি।’ আজিজুল হক জানান, খালাতো বোন হোসনা লন্ডনে স্কুল পাস করে কাজ শুরু করেছিলেন।
লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী এবং একসময়ে দেশে সাংবাদিকতা করতেন, এখন লন্ডনপ্রবাসী আবদুল মান্নান আজ সকালে বলেন, তারা এই পরিবারটির খোঁজ পেতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন। তারা জানান, কমরু মিয়ার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার একাটুনার ইউনিয়নের বিরইমাবাদ গ্রামে। সূত্র: প্রথম আলো
ভেঙে পড়া কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন লন্ডনপ্রবাসী আজিজুল হক। লন্ডনে যে বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে থাকেন তার খালা। আগুন লাগার পর থেকেই খালার পুরো পরিবার নিখোঁজ। খালাতো বোন হোসনা বেগমের (২২) বিয়ের দিন নির্ধারণ করা রয়েছে আগামী ২৯ জুলাই। খালার পরিবারের কারও লাশ উদ্ধার হয়নি বলে তাদের মৃত বলা যাচ্ছে না নিশ্চিতভাবে। কিন্তু তারা কি জীবিত আছেন? এমন সব ভাবনায় অজানা আশঙ্কায় বুক কাঁপছে আজিজুল হকের।
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে ২৪ তলা এক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ৬০০ থেকে ৮০০ লোকের আবাস গ্রেনফেল টাওয়ার নামের ওই আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অন্তত ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
লন্ডন ফায়ার সার্ভিস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ অগ্নিকাণ্ডকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজিজুল হক জানান, আগুন লাগার পর থেকে তিনি প্রায় সারাক্ষণই সেখানে অবস্থান করছেন। তার বাড়ি ওই ভবনের কাছাকাছি। পুলিশের কাছ থেকে ক্ষণে ক্ষণে তথ্য নিচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আশার বার্তা পাননি। বাড়িটির ১৭ তলার ১৪৪ নম্বর ফ্ল্যাটে খালা রাজিয়া বেগম (৬৫), তার স্বামী কমরু মিয়া (৮২) এবং তিন সন্তান আবদুল হানিফ (২৯), আবদুল হামিদ (২৬) ও হোসনা বেগমকে (২২) নিয়ে বাস করতেন। খালাতো বোন হোসনা বেগমের বিয়ের তারিখ আগামী ২৯ জুলাই।
আজিজুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ওদের (খালার পরিবার) সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওরা কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। বাসার বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর আর ফোন করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কেউ ফোন ধরেনি।’ আজিজুল হক জানান, খালাতো বোন হোসনা লন্ডনে স্কুল পাস করে কাজ শুরু করেছিলেন।
লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী এবং একসময়ে দেশে সাংবাদিকতা করতেন, এখন লন্ডনপ্রবাসী আবদুল মান্নান আজ সকালে বলেন, তারা এই পরিবারটির খোঁজ পেতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন। তারা জানান, কমরু মিয়ার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার একাটুনার ইউনিয়নের বিরইমাবাদ গ্রামে। সূত্র: প্রথম আলো
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়