কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
তৃণভোজী নিরীহ প্রাণী হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত হরিণ। তারপরও হয়তো কখনো সখনো তাকে মাংস কিংবা হাড় খেতে দেখা গেছে। কিন্তু সেটা কখনোই এবারের মতো নয়। গভীরভাবে তাকালে ঠিকই টের পাওয়া এসব হাড় মানুষের। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে হলে, হরিণটিকে খেতে দেখা গেছে মানুষের পাঁজরের হাড়।
টেক্সাসের সান মার্কোসের ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজি রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রায়শই এই বনে মৃতদেহ রেখে যায়। ২৬ একরের এই ফ্যাসিলিটি বডি ফার্মসে বিজ্ঞানীরা দান পাওয়া মৃতদেহগুলো রেখে দেয়। এরপর তারা মানব শরীরের ধ্বংস ও পচনটা খেয়াল করে।
সাধারণত এসব মৃতদেহ কোনো এক খাঁচার মধ্যে রাখা হয় যেন কোনোভোবে সেটা হারিয়ে না যায়। আবার কখনো কখনো সেগুলো অরক্ষিতভাবেও রাখা হয়। দেখার জন্য যে কে কে সেটা খায়। নেকড়ে, শেয়াল সহ আরো নানান প্রাণীকে সেখানে প্রায়ই দেখা গেছে। কিন্তু এর আগে কখনোই হরিণ দেখা যায়নি।
জার্নাল অব ফরেনসিক সায়েন্সে প্রকাশিত খবরটি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে এই মৃতদেহটি ওখানে রেখেছিলো গবেষকরা। পরের বছরের জানুয়ারিতে দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরায় নতুন কারো মুখ দেখতে পায় বিজ্ঞানীরা। আর সেটি ছিলো সাদা লেজের একটি হরিণ। দেখে মনে হচ্ছিলো তার কাছে খাবারটা খুবই সুস্বাদু। পাঁজরের হাড় তার মুখে একটি সিগারেটের মতো একপাশ দিয়ে বের হয়ে ছিলো।
এর আটদিন পরে ওই একই জায়গায় এবং হতে পারে ওই একই হরিণকে আবারও আরেকটি পাঁজরের হাড় খেতে দেখা যায়।
এই গবেষণার প্রধান লেখক টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটির গ্যাজুয়েট স্টুডেন্ট লরেন মেককেল বলেন, ক্যামেরায় দেখা হরিণটি মাংস নয় হাড় খাচ্ছিলো। সাধারণত যারা মাংসাশী তারা অবশিষ্ট মাংসগুলো খায় এবং ভেঙে যাওয়া হাড় ফেলে রেখে যায় আর অন্যরা শুকিয়ে যাওয়া হাড়ই বেশি পছন্দ করে।
এভাবে হরিণের হাড় খাওয়ার দৃশ্য গবেষকদের রহস্য উদঘাটনে আরো বেশি সহায়তা করবে বলেই মনে করছে গবেষকদল।
খবর বিভাগঃ
অন্যরকম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়