Friday, May 12

কানাইঘাটে সুরমা ও লোভা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বাড়িঘর


নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও লোভা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে প্রতিদিন ফসলি জমি ও মানুষের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। অনেকে ভিটাবাড়ি হারিয়ে অনত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। সুরমা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ডাইকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কানাইঘাট পৌরসভার ডালাইচর গ্রাম সংলগ্ন কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় সব ধরনের ছোটবড় যানবাহন চলাচল উক্ত রাস্তা দিয়ে বন্ধ রয়েছে। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ডাইকটি একেবারে ভেঙে কানাইঘাট পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। গত ১৮ এপ্রিল সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকের ভয়াবহ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেও অদ্যবধি পর্যন্ত ভাঙন রোধের জন্য কোন কাজ শুরু হয়নি। বাকিতে কোন ঠিকাদার কাজ করছেন না বলে জানা গেছে। এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন- দ্রুত ডালাইচর কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকের ভাঙন রোধে কাজ শুরু না-হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। এতে করে উপজেলা সদর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। সুরমা ও লোভা নদীর ভাঙন সম্প্রতি সময়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে। মাইলের পর মাইল নদীর তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় শংকিত হয়ে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী বসবাসরত মানুষজন। সম্প্রতি ছোটদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সুরমা ডাইকে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। অর্ধ শতাধিক গ্রাম লোভা ও সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন ফসলি জমি থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়