কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
মাস দুয়েক আগেও গরুর মাংসের দাম ৪০০ টাকা কেজি থাকলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়! মাংস ব্যবসায়ীরা এবার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন শবে বরাতকে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে গাবতলীর পশুহাটে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করায় মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তাদের যুক্তি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মাংস কেনার জন্য দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। তাই আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গরু জবাই হয়েছে। তবে এলাকাভেদে মাংসের দামেরও পার্থক্য ছিল অনেক। মিরপুর অঞ্চলে এক কেজি মাংস ৫০০ টাকা রাখা হলেও মোহাম্মদপুরে বিক্রি হয় ৫৫০ টাকায়। কোনো কোনো স্থানে সংকট দেখিয়ে ৬০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে শোনা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ করেই ধর্মঘট ডেকে ৪০০ টাকা কেজি গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০০ টাকায় নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। সেই মাংসের মূল্য আরও এক ধাপ বাড়িয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৬০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। মোহাম্মদপুরের মাংস ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, শবে বরাতের কারণে একটা গরুতে কয়েক হাজার টাকা বেশি খাজনা দিতে হয়েছে গাবতলীর হাটে। তাই আজ সাড়ে ৫শ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরও দেখেন সকাল সকালই মাংস শেষ, অনেকে না পেয়ে ক্ষোভও দেখিয়েছেন। তবে কাল থেকে আবার আগের দামেই মাংস বিক্রি করা হবে।
উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা খোকন আহমেদ বাজরে এসেছিলেন গরুর মাংস কিনতে। কিন্তু দাম দেখে ব্যবসায়ীদের উপর বেজায় ক্ষেপেছেন। তিনি বলেন, কিছু হলেই এ দেশে সবাই ধর্মঘট ডাকে, আর তাদের চাওয়া-পাওয়া পুষিয়ে নেয়। গরুর মাংস ব্যবসায়ীরাও কিছুদিন আগে ধর্মঘট ডেকে ৪০০ টাকা কেজির গরুর মাংস ৫০০ টাকায় নিয়ে গেছে। আর কোনো উৎসব থাকলে তো কথাই নেই। দেখবেন, কয়েক মাসের মধ্যে এরা গরুর মাংস হাজারে নিয়ে ফেলবে। জবাবদিহি করার কেউ নেই এ দেশে। এদের অজুহাত চলতেই থাকবে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়