কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বনানীর
রেইনট্রির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন হোটেলটির চেয়ারম্যান
নাহিয়ান হারুনের বাবা বজলুল হক হারুন (বিএইচ হারুন) এমপি। তিনি বলেছেন,
‘আমি হোটেলটির চেয়ারম্যান নই। আমি পরিচালক নই, পরিচালকের বাবা। আই অ্যাম
দ্য ফাদার অব দ্য ওয়ান ডিরেক্টর। হোটেলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই
হোটেল সম্পর্কিত কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই
শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল হিসেবে সমালোচিত হতে থাকে বনানীর এই অভিজাত
হোটেলটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে
এসব কথা বলেন তিনি।
রেইনট্রি হোটেলের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা বিএইচ হারুন অস্বীকার করলেও হোটেলটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোটেলের মালিক বজলুল হক হারুন, চেয়ারম্যান তার বড় ছেলে নাহিয়ান হারুন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেঝ ছেলে আদনান হারুন ও পরিচালক ছোট ছেলে মাহির হারুন।
গত ২৮ মার্চ রাতে রেইনট্রি হোটেলের ভূমিকা কী ছিল—জানতে চাইলে বজলুল হক হারুন প্রথমে বলেন, ‘আমি হোটেলটির চেয়ারম্যান, পরিচালক কিছুই নই, হোটেলটির সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি কিছুই বলতে পারব না।’ তাহলে গণমাধ্যমে হোটেল মালিক হিসেবে আপনার নাম কেন এসেছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমারও প্রশ্ন।’
গণমাধ্যমে কেন তার প্রতিবাদ করেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএইচ হারুন বলেন, ‘আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি গতকাল। সেটি সব গণমাধ্যমে পৌঁছে গেছে।’ আইনজীবীর নাম কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আইনজীবীর নাম জানি না, এটা হোটেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে।’ হোটেল মালিক হিসেবে নাম এসেছে আর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়েছে—বিষয়টি উল্লেখ করে আবারও আইনজীবীর নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি আমাকে এত প্রশ্ন করছেন কেন?’
এক সংবাদকর্মী নিজের পরিচয় উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, সৌদি আরবের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিটিং আছেন, পরে বলেন, ‘আমি নামাজে যাব।’ এর কিছুক্ষণ পর বলেন, ‘আমি হোটেলের সঙ্গে সামান্যতম জড়িত নই। আই অ্যাম দ্য ফাদার অব দ্য ওয়ান ডিরেক্টর।’ কোন পরিচালকের বাবা আপনি?—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নামাজের সময় হয়েছে, নামাজে যাব।’ রেইনট্রি হোটেলের পরিচালক ছেলের নাম বার বার জানতে চাইলে তিনি জানান, স্পিকারের সঙ্গে মিটিংয়ে আছেন।
এদিকে, গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদের জন্মদিনের কেক নিয়ে আসেন মাহির হারুন, যিনি সাফাতের বন্ধু বলে জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘জন্মদিনের কেক নিয়ে মাহির হারুন এসে বেশিক্ষণ থাকেননি। তিনি সাফাতের বন্ধু। সে কারণেই সাফাতরা এতকিছু করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সে রাতে একবারের জন্যও এসে খোঁজ নেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই তাদের আচরণ ছিল রহস্যজনক। তারা পুলিশের কাছে বলেছে, আমরা নাকি হাসতে হাসতে হোটেল থেকে বেরিয়েছি। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে, আমরা হেসেছিলাম নাকি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়েছিলাম!’
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বেসকারকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তাদের বনানীর ‘কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
সূত্র:বাংলাট্রিবিউন
রেইনট্রি হোটেলের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা বিএইচ হারুন অস্বীকার করলেও হোটেলটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোটেলের মালিক বজলুল হক হারুন, চেয়ারম্যান তার বড় ছেলে নাহিয়ান হারুন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেঝ ছেলে আদনান হারুন ও পরিচালক ছোট ছেলে মাহির হারুন।
গত ২৮ মার্চ রাতে রেইনট্রি হোটেলের ভূমিকা কী ছিল—জানতে চাইলে বজলুল হক হারুন প্রথমে বলেন, ‘আমি হোটেলটির চেয়ারম্যান, পরিচালক কিছুই নই, হোটেলটির সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি কিছুই বলতে পারব না।’ তাহলে গণমাধ্যমে হোটেল মালিক হিসেবে আপনার নাম কেন এসেছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমারও প্রশ্ন।’
গণমাধ্যমে কেন তার প্রতিবাদ করেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএইচ হারুন বলেন, ‘আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি গতকাল। সেটি সব গণমাধ্যমে পৌঁছে গেছে।’ আইনজীবীর নাম কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আইনজীবীর নাম জানি না, এটা হোটেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে।’ হোটেল মালিক হিসেবে নাম এসেছে আর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়েছে—বিষয়টি উল্লেখ করে আবারও আইনজীবীর নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি আমাকে এত প্রশ্ন করছেন কেন?’
এক সংবাদকর্মী নিজের পরিচয় উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, সৌদি আরবের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিটিং আছেন, পরে বলেন, ‘আমি নামাজে যাব।’ এর কিছুক্ষণ পর বলেন, ‘আমি হোটেলের সঙ্গে সামান্যতম জড়িত নই। আই অ্যাম দ্য ফাদার অব দ্য ওয়ান ডিরেক্টর।’ কোন পরিচালকের বাবা আপনি?—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নামাজের সময় হয়েছে, নামাজে যাব।’ রেইনট্রি হোটেলের পরিচালক ছেলের নাম বার বার জানতে চাইলে তিনি জানান, স্পিকারের সঙ্গে মিটিংয়ে আছেন।
এদিকে, গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদের জন্মদিনের কেক নিয়ে আসেন মাহির হারুন, যিনি সাফাতের বন্ধু বলে জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘জন্মদিনের কেক নিয়ে মাহির হারুন এসে বেশিক্ষণ থাকেননি। তিনি সাফাতের বন্ধু। সে কারণেই সাফাতরা এতকিছু করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সে রাতে একবারের জন্যও এসে খোঁজ নেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই তাদের আচরণ ছিল রহস্যজনক। তারা পুলিশের কাছে বলেছে, আমরা নাকি হাসতে হাসতে হোটেল থেকে বেরিয়েছি। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে, আমরা হেসেছিলাম নাকি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়েছিলাম!’
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বেসকারকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তাদের বনানীর ‘কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
সূত্র:বাংলাট্রিবিউন
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়