কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শততম টেস্টের মাহেন্দ্রক্ষণে অসাধারণ এক জয়! বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের বিরল স্বাদই নয় ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা।
অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের পর ইতিহাসের চতুর্থ দেশ হিসেবে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়, যেটি এল ১৮তম বারের চেষ্টায়।
টেস্টে বাংলাদেশ এর আগে রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুবার। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্যটা অবশ্য তাড়া করতে নেমে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বাংলাদেশের, জিতেছিল ৩ উইকেটে। এ জয়ের মাহাত্ম্য নিঃসন্দেহে আগের দুটিকে ছাড়িয়ে গেছে।
১৯১ রান তাড়ায় ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় টাইগাররা। শেষ মুহূর্তে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও মোসাদ্দেকের বেঁচে যাওয়া, দু-তিনটি সাহসী শট, কাছে গিয়েও আউট হওয়া, শেষ পর্যন্ত মিরাজের ব্যাটে জয় এনে দেওয়া রান!
২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, ২ রানে মিরাজ। পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ ড্র করল সিরিজ। ১০০ টেস্টে নবমতম জয়।
এর আগে পঞ্চম দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার শেষ দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে তার আগেই যোগ হয়েছে আরও ৫১ রান। প্রতিপক্ষের দুই উইকেট নিতে দেরি, নিজেদের দুই উইকেট হারাতে দেরি হয়নি শ্রীলঙ্কার।
১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পরপর দুই বলে বাংলাদেশ হারিয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। ৩৯তম জন্মদিনে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের আশা দেখান রঙ্গনা হেরাথ। ফ্লাইট দিয়ে বড় টার্ন করিয়েছিলেন হেরাথ। সেটিই বুঝতে পারেননি সৌম্য। ফিরলেন ১০ রানে।
পরের বলেই আরেকটি উইকেট। সেই টার্নের ভয়। প্রথম বলটিতেই ব্যাট বাইরে বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ভেবেছিলেন টার্ন করবে। কিন্তু টার্ন করল না। ব্যাটের কানা নিয়ে স্লিপের হাতে।
জোড়া ধাক্কার পর লাঞ্চের আগে আর বিপদ হয়নি। তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান পার করে দিয়েছেন সময়টুকু। লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৮। জিততে তখনও চাই ১৫৩ রান। দিনের বাকি এখনও ৫৯ ওভার।
লাঞ্চের পর তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে দেখা গেছে অনেক বেশি নির্ভরতা। দুজনই খেলছেন ইতিবাচক। জুটির রান পেরিয়েছে অর্ধশতক। দুজনই চার মেরেছেন রিভার্স সুইপে। দুজনই খেলেছেন দারুণ কয়েকটি ড্রাইভ। হেরাথকে সাব্বিরের দারুণ এক অন ড্রাইভে বাউন্ডারিতেই জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। ডিফেন্সও করছেন তারা আত্মবিশ্বাসে।
দলকে জয়ের পথে তুলে দিয়ে বিদায় নেন তামিম। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ৮২ রানে পেরেরাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্যাবিলিয়নের পথ ধরেন বাহাতি এই ব্যাটসম্যান। তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১০৯ রানের জুটি। তামিমের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকতে পারলেন না বড় জুটিতে তার সঙ্গী সাব্বির রহমানও। এলবিডব্লিউ দিলরুয়ান পেরেরার বলে।
সুইপ শটটা ইনিংস জুড়েই ভালো খেলেছেন সাব্বির। আউট হলেন সুইপ খেলেই। এলিবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার এস রবি সাড়া দেননি। শ্রীলঙ্কা জিতেছে রিভিউ নিয়ে। ৪১ রানে ফিরলেন সাব্বির। বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ১৪৩। জিততে চাই আরো ৪৮ রান। দ্বিতীয় সেশনে হারাতে হয়েছে দুটি উইকেট। তবে এই সেশনই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে জয়ের লক্ষ্যে। চা-বিরতির আগের সময়টুকু কাটিয়ে দিয়েছেন সাকিব ও মুশফিক।
চা-বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে রান ১৫৬। শেষ সেশনে চাই আর মাত্র ৩৫ রান। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান উইকেটে। চতুর্থ ইনিংসে দুজনের রেকর্ডও বেশ ভালো। জয়টা নাগালে ভাবতেই পারে বাংলাদেশ।
চা বিরতির পরপরই সাকিবকে হারানোর ধাক্কা। একটু শঙ্কার মেঘ। চা-বিরতির পর নিস্তরঙ্গ দুটি ওভার। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই পেরেরাকে কাট করতে গিয়ে সাকিব বল টেনে আনলেন স্টাম্পে। আবারো চাপে বাংলাদেশ। এরপর মোসাদ্দেককে নিয়ে এগোতে থাকেন মুশফিক। শেষ মুহূর্তে ১৩ রান করে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন। জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন দরকার আর মাত্র ২ রান।
এরপর ব্যাট হাতে নেমে হেরাথের বলে মিরাজের সুইপ। স্কয়ার লেগে মিসফিল্ড। দুটি রান। মুশফিকের ডানা মেলে দেওয়া। উড়ে এসে আলিঙ্গনে আবদ্ধ মিরাজ। ড্রেসিং রুম থেকে দৌড়ে এসেছেন তাসকিন-রুবেলরা। এভাবে ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করে টাইগাররা।
অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের পর ইতিহাসের চতুর্থ দেশ হিসেবে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়, যেটি এল ১৮তম বারের চেষ্টায়।
টেস্টে বাংলাদেশ এর আগে রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুবার। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্যটা অবশ্য তাড়া করতে নেমে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বাংলাদেশের, জিতেছিল ৩ উইকেটে। এ জয়ের মাহাত্ম্য নিঃসন্দেহে আগের দুটিকে ছাড়িয়ে গেছে।
১৯১ রান তাড়ায় ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় টাইগাররা। শেষ মুহূর্তে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও মোসাদ্দেকের বেঁচে যাওয়া, দু-তিনটি সাহসী শট, কাছে গিয়েও আউট হওয়া, শেষ পর্যন্ত মিরাজের ব্যাটে জয় এনে দেওয়া রান!
২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, ২ রানে মিরাজ। পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ ড্র করল সিরিজ। ১০০ টেস্টে নবমতম জয়।
এর আগে পঞ্চম দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার শেষ দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে তার আগেই যোগ হয়েছে আরও ৫১ রান। প্রতিপক্ষের দুই উইকেট নিতে দেরি, নিজেদের দুই উইকেট হারাতে দেরি হয়নি শ্রীলঙ্কার।
১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পরপর দুই বলে বাংলাদেশ হারিয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। ৩৯তম জন্মদিনে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের আশা দেখান রঙ্গনা হেরাথ। ফ্লাইট দিয়ে বড় টার্ন করিয়েছিলেন হেরাথ। সেটিই বুঝতে পারেননি সৌম্য। ফিরলেন ১০ রানে।
পরের বলেই আরেকটি উইকেট। সেই টার্নের ভয়। প্রথম বলটিতেই ব্যাট বাইরে বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ভেবেছিলেন টার্ন করবে। কিন্তু টার্ন করল না। ব্যাটের কানা নিয়ে স্লিপের হাতে।
জোড়া ধাক্কার পর লাঞ্চের আগে আর বিপদ হয়নি। তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান পার করে দিয়েছেন সময়টুকু। লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৮। জিততে তখনও চাই ১৫৩ রান। দিনের বাকি এখনও ৫৯ ওভার।
লাঞ্চের পর তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে দেখা গেছে অনেক বেশি নির্ভরতা। দুজনই খেলছেন ইতিবাচক। জুটির রান পেরিয়েছে অর্ধশতক। দুজনই চার মেরেছেন রিভার্স সুইপে। দুজনই খেলেছেন দারুণ কয়েকটি ড্রাইভ। হেরাথকে সাব্বিরের দারুণ এক অন ড্রাইভে বাউন্ডারিতেই জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। ডিফেন্সও করছেন তারা আত্মবিশ্বাসে।
দলকে জয়ের পথে তুলে দিয়ে বিদায় নেন তামিম। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ৮২ রানে পেরেরাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্যাবিলিয়নের পথ ধরেন বাহাতি এই ব্যাটসম্যান। তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১০৯ রানের জুটি। তামিমের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকতে পারলেন না বড় জুটিতে তার সঙ্গী সাব্বির রহমানও। এলবিডব্লিউ দিলরুয়ান পেরেরার বলে।
সুইপ শটটা ইনিংস জুড়েই ভালো খেলেছেন সাব্বির। আউট হলেন সুইপ খেলেই। এলিবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার এস রবি সাড়া দেননি। শ্রীলঙ্কা জিতেছে রিভিউ নিয়ে। ৪১ রানে ফিরলেন সাব্বির। বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ১৪৩। জিততে চাই আরো ৪৮ রান। দ্বিতীয় সেশনে হারাতে হয়েছে দুটি উইকেট। তবে এই সেশনই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে জয়ের লক্ষ্যে। চা-বিরতির আগের সময়টুকু কাটিয়ে দিয়েছেন সাকিব ও মুশফিক।
চা-বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে রান ১৫৬। শেষ সেশনে চাই আর মাত্র ৩৫ রান। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান উইকেটে। চতুর্থ ইনিংসে দুজনের রেকর্ডও বেশ ভালো। জয়টা নাগালে ভাবতেই পারে বাংলাদেশ।
চা বিরতির পরপরই সাকিবকে হারানোর ধাক্কা। একটু শঙ্কার মেঘ। চা-বিরতির পর নিস্তরঙ্গ দুটি ওভার। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই পেরেরাকে কাট করতে গিয়ে সাকিব বল টেনে আনলেন স্টাম্পে। আবারো চাপে বাংলাদেশ। এরপর মোসাদ্দেককে নিয়ে এগোতে থাকেন মুশফিক। শেষ মুহূর্তে ১৩ রান করে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন। জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন দরকার আর মাত্র ২ রান।
এরপর ব্যাট হাতে নেমে হেরাথের বলে মিরাজের সুইপ। স্কয়ার লেগে মিসফিল্ড। দুটি রান। মুশফিকের ডানা মেলে দেওয়া। উড়ে এসে আলিঙ্গনে আবদ্ধ মিরাজ। ড্রেসিং রুম থেকে দৌড়ে এসেছেন তাসকিন-রুবেলরা। এভাবে ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করে টাইগাররা।
সূত্র: বিডিলাইভ ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়