Thursday, March 9

কানাইঘাটের কালা ডাকাত গণপিঠুনিতে নিহত হওয়ায় এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস


নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুর্ধর্ষ সদস্য কানাইঘাটের কুখ্যাত ডাকাত একাধিক মামলার আসামী কালা ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছেন। নিহত কালা ডাকাতের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির তালবাড়ী পূর্ব দাওয়াদারী গ্রামে মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র কুখ্যাত ডাকাত কালা মিয়া (৪৬) গত বুধবার রাত ২টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন কালিরগাঁও গ্রামের স্পেন প্রবাসী সুরুজ মিয়ার বাড়ীতে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী জোরকুড়ির হাওর এলাকা থেকে কালা ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় গত বুধবার সকালে সিওমেক হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। কালা ডাকাতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের পর গত বুধবার বিকেলে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ঐদিন বাদ এশা তার লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কানাইঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দুধর্ষ কালা ডাকাত সিলেট জুড়ে ডাকাতি সহ বড় ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি, ওসমানী নগর থানায় একটি ডাকাতি একটি অস্ত্র মামলা, কানাইঘাট থানায় ২টি ডাকাতি একটি অস্ত্র মামলা এবং একটি পুলিশ এসল্ট মামলা রয়েছে। সে পূর্বে একাধিকবার ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। কয়েক মাস পূর্বে কানাইঘাট থানা পুলিশ কালা ডাকাতকে রাজাগঞ্জ ইউপির নয়াবাজার থেকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে সে পুলিশের উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। কানাইঘাট থানার একটি মামলায় মাস খানেক পূর্বে সে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে ডাকাতি করতে গিয়ে কালা ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হওয়ায় এলাকার মানুষ স্বস্থির নিশ্বাস এবং মিষ্টি বিতরণ করেছেন। জানা গেছে কালা ডাকাতের ৬টি সন্তান রয়েছে। এদিকে গণপিটুনিতে নিহত কালা ডাকাতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত সে কানাইঘাট রাজাগঞ্জ নয়াবাজারে ছিল। পূর্বে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকলেও কয়েক বছর ধরে ডাকাতি সে করত না। তারপর সিলেটের সদর উপজেলায় ডাকাতি করতে গিয়ে তার মৃত্যুতে আত্মীয় স্বজনরা হতবাক হয়েছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়