কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:অতিরিক্ত প্রশংসা করে কিছু কথা রয়েছে, যেগুলো
শিশুকে কখনোই বাবা-মার বলা উচিত নয়। কিন্তু কাজের চাপে হয়তো আপনি আপনার
সন্তানকে এমন ভুল কিছু কথা বলেন যা শুনে সে কষ্ট পায়, রেগে যায়। আপনি হয়তো
বাচ্চার ভালোর জন্য বকা দিচ্ছেন, ভাবছেন একটু বকা দিলে তো কোনো ক্ষতি নেই।
এই একটু বকা তার ব্যক্তিত্বে বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু ব্যক্তিত্বে
নয় এটি আপনাদের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আজ দেয়া হলো এমনই কিছু
ভুলের কথা যা আপনার সন্তানকে বলা উচিত নয়।
এটা এভাবে নয়, এভাবে করতে হয় :
নতুন কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে শিশুরা কয়েকবার ব্যর্থ হবেই। কিন্তু আপনি যদি শুরু থেকেই তাদের ব্যর্থতার মধ্যে বারবার নিজের নির্দেশনা দিতে থাকেন, তাহলে তাদের অনুভূতি হবে তারা কাজটিতে কোনোভাবেই সক্ষম হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্নাড সেন্টার ফর টডলার ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ক্লেইন বলেন, এটা শিশুকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, ‘আমি এটা করতে পারবো না, শুধুমাত্র বড়রা জানে কিভাবে এটা করতে হবে।’ যা আসলে শিশুর আস্থা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে।
দিনে দিনে বোকা হচ্ছো :
হতে পারে শিশু কাউকে সালাম বা শুভেচ্ছা জানায়নি, কিন্তু তাই বলে তাকে সামনাসামনি ‘দিনে দিনে বোকা হচ্ছো’ বলে বকা দিলে তা শিশুকে বিব্রতকর ও অস্বস্থিকর অবস্থায় ফেলবে, কারণ এটা তার জন্য একটা নতুন পরিস্থিতি। বকাঝকা না করে, আবেগের লেভেল উন্নয়নে বুঝিয়ে তাকে সাহায্য করুন।
কাঁন্নার মতো তো কিছু হয়নি :
শিশু যখন মন খারাপ করে কোনো কিছু নিয়ে কান্না করে কিংবা তুচ্ছ কারণে কান্না করে বা আপাতদৃষ্টিতে কোনো কারণ নেই বলে মনে হলেও, কান্না থামাতে বলাটা শিশুকে বিব্রত করে। ক্লেইন বলেন, ‘শিশুকে যখন কান্না করে তখন ধমক নয় বরং তারা সহানুভূতির প্রত্যাশা করে।’
বড় ছেলেরা কাঁদে নাকি :
কিশোর বয়সে পা দেয়ার আগে ছেলে শিশুদের প্রায় বলা হয়ে থাকে, ‘বড় ছেলেরা কাঁদে নাকি?’ যা কঠিনভাবে তাদের আবেগ দমন করার জন্য নির্দেশনা। এই বাক্য তাদেরকে এমন বার্তা পৌঁছে দেয় যে, বড় ছেলে শিশুদের আবেগের কোনো মূল্য নেই, তারা আবেগ-অনূভুতি শুন্য।
দেখ তুমি কত সুন্দর :
তুমি খুবই সুন্দর, দেখ তুমি কত সুন্দর- এই ধরনের বাক্য শোনার মাধ্যমে মেয়ে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই ভাবতে শেখে পৃথিবী তাদের কাছ থেকে কেমন থাকাটা আশা করে। ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের সৌন্দর্যের প্রতি বেশি নজর দেয়া শুরু করে।
এটা সুন্দর নয়, তোমার সঙ্গে একদমই মানায় না :
মেয়ে শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রেও এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। ‘এটা তোমার সঙ্গে একদমই মানায় না, এটা কেন পরেছ?’- এর ফলে মেয়ে শিশুরা শিশুকাল হতেই ভাবতে শিখে তাদের একটা নির্দিষ্টভাবে থাকতে হবে এবং তারা সৌন্দর্যমান বিবেচনায় একটা নির্দিষ্ট পথেই থাকে।
তুমি এটা খেলে তো মোটা হয়ে যাবে :
ক্লেইন বলেন, ‘এই কথাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক হয়, বিশেষত মেয়ে শিশুদের বেশি বলা হয়ে থাকে, কিন্তু এটা সব বয়সের শিশুদেরই বলা হয়ে থাকে।’ তিনি আরো জানান, বিশেষ করে আমাদের সমাজে মেয়েদের শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রে এ ধরনের অনেক বার্তা দেয়া হয়ে থাকে। বাবা-মাকে তাদের নিজেদের খ্যাদ্যভাস এবং শরীরের গঠনের কি বলে সেটাও দেখা উচিত। শিশুরা যখন চর্বি ও ওজন নিয়ে অভিভাবকের উদ্বিগ্নতার কথা শোনে, তখন তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
তুমি খুব স্মার্ট :
তুমি খুব স্মার্ট- এ জাতীয় প্রশংসা শিশুকে কোনো কিছু করতে উৎসাহিত করেনা বরং তাদের কোনো কিছু শেখা থেকে বিরত রাখে। কারণ তারা মনে করে ‘আমি খুব স্মার্ট এবং আমি সবই জানি।’
আমি তোমার ওপর খুব বিরক্ত :
একটি শিশু যদি জানে সে ভুল করেছে, তাহলে তাকে অপরাধবোধে ভোগানোর কোনো প্রয়োজন নেই। ‘হাউ টু টডলার থ্রাইভ’ বইয়ের লেখক তোবাহ ক্লেইন বলেন, ‘একটি শিশু যদি ইতিমধ্যে জানে সে কোনো ভুল করেছে বা এর জন্য মনে কষ্ট পেতে থাকে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে তাকে লজ্জায় ফেললে শিশু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এর পরিবর্তে সন্তানের সঙ্গে কি ঘটেছে বা কেন ঘটেছে অভিভাবক হিসেবে তা প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তারপর তাকে বোঝান যে এরকম যেন আর না ঘটে ও অবস্থার উন্নতিতে তাকে সহায়তা করুন।’
তাড়াতাড়ি কর :
আপনার সন্তান হয়তো নাশতা খেতে খুব দেরি করে বা তার কেডস পরতে দেরি হয়, এ জন্য তার স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। এতে আপনি যদি তাকে শাস্তি দেন বা তাড়াতাড়ি কর কথাটি বারবার বলেন। এতে সে খুব বাড়তি চাপ অনুভব করবে, 'বেবি মাইন্ডস' বইটির সহ লেখিকা লিন্ডা অ্যাক্রিডোলো এমনটাই বলেন।
আস্তে করে বলুন, 'চলো তাড়াতাড়ি করি'। এতে সে বুঝতে পারবে যে আপনিও তার দলেই আছেন। কিংবা কোথাও যাওয়ার সময় দুজনে এক সঙ্গে রেডি হোন এবং বলুন 'চলো দেখি কে আগে তৈরি হতে পারে'। এতে সে জলদি কাজ শেষ করা শিখবে কোনো রকম মানসিক চাপ ছাড়াই।
প্রতিটি বাবা মা তার সন্তানকে ভালোবাসে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু অনেক সময় আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করে এই ধরণের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
এটা এভাবে নয়, এভাবে করতে হয় :
নতুন কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে শিশুরা কয়েকবার ব্যর্থ হবেই। কিন্তু আপনি যদি শুরু থেকেই তাদের ব্যর্থতার মধ্যে বারবার নিজের নির্দেশনা দিতে থাকেন, তাহলে তাদের অনুভূতি হবে তারা কাজটিতে কোনোভাবেই সক্ষম হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্নাড সেন্টার ফর টডলার ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ক্লেইন বলেন, এটা শিশুকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, ‘আমি এটা করতে পারবো না, শুধুমাত্র বড়রা জানে কিভাবে এটা করতে হবে।’ যা আসলে শিশুর আস্থা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে।
দিনে দিনে বোকা হচ্ছো :
হতে পারে শিশু কাউকে সালাম বা শুভেচ্ছা জানায়নি, কিন্তু তাই বলে তাকে সামনাসামনি ‘দিনে দিনে বোকা হচ্ছো’ বলে বকা দিলে তা শিশুকে বিব্রতকর ও অস্বস্থিকর অবস্থায় ফেলবে, কারণ এটা তার জন্য একটা নতুন পরিস্থিতি। বকাঝকা না করে, আবেগের লেভেল উন্নয়নে বুঝিয়ে তাকে সাহায্য করুন।
কাঁন্নার মতো তো কিছু হয়নি :
শিশু যখন মন খারাপ করে কোনো কিছু নিয়ে কান্না করে কিংবা তুচ্ছ কারণে কান্না করে বা আপাতদৃষ্টিতে কোনো কারণ নেই বলে মনে হলেও, কান্না থামাতে বলাটা শিশুকে বিব্রত করে। ক্লেইন বলেন, ‘শিশুকে যখন কান্না করে তখন ধমক নয় বরং তারা সহানুভূতির প্রত্যাশা করে।’
বড় ছেলেরা কাঁদে নাকি :
কিশোর বয়সে পা দেয়ার আগে ছেলে শিশুদের প্রায় বলা হয়ে থাকে, ‘বড় ছেলেরা কাঁদে নাকি?’ যা কঠিনভাবে তাদের আবেগ দমন করার জন্য নির্দেশনা। এই বাক্য তাদেরকে এমন বার্তা পৌঁছে দেয় যে, বড় ছেলে শিশুদের আবেগের কোনো মূল্য নেই, তারা আবেগ-অনূভুতি শুন্য।
দেখ তুমি কত সুন্দর :
তুমি খুবই সুন্দর, দেখ তুমি কত সুন্দর- এই ধরনের বাক্য শোনার মাধ্যমে মেয়ে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই ভাবতে শেখে পৃথিবী তাদের কাছ থেকে কেমন থাকাটা আশা করে। ফলে তারা কেবলমাত্র নিজেদের সৌন্দর্যের প্রতি বেশি নজর দেয়া শুরু করে।
এটা সুন্দর নয়, তোমার সঙ্গে একদমই মানায় না :
মেয়ে শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রেও এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। ‘এটা তোমার সঙ্গে একদমই মানায় না, এটা কেন পরেছ?’- এর ফলে মেয়ে শিশুরা শিশুকাল হতেই ভাবতে শিখে তাদের একটা নির্দিষ্টভাবে থাকতে হবে এবং তারা সৌন্দর্যমান বিবেচনায় একটা নির্দিষ্ট পথেই থাকে।
তুমি এটা খেলে তো মোটা হয়ে যাবে :
ক্লেইন বলেন, ‘এই কথাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক হয়, বিশেষত মেয়ে শিশুদের বেশি বলা হয়ে থাকে, কিন্তু এটা সব বয়সের শিশুদেরই বলা হয়ে থাকে।’ তিনি আরো জানান, বিশেষ করে আমাদের সমাজে মেয়েদের শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রে এ ধরনের অনেক বার্তা দেয়া হয়ে থাকে। বাবা-মাকে তাদের নিজেদের খ্যাদ্যভাস এবং শরীরের গঠনের কি বলে সেটাও দেখা উচিত। শিশুরা যখন চর্বি ও ওজন নিয়ে অভিভাবকের উদ্বিগ্নতার কথা শোনে, তখন তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
তুমি খুব স্মার্ট :
তুমি খুব স্মার্ট- এ জাতীয় প্রশংসা শিশুকে কোনো কিছু করতে উৎসাহিত করেনা বরং তাদের কোনো কিছু শেখা থেকে বিরত রাখে। কারণ তারা মনে করে ‘আমি খুব স্মার্ট এবং আমি সবই জানি।’
আমি তোমার ওপর খুব বিরক্ত :
একটি শিশু যদি জানে সে ভুল করেছে, তাহলে তাকে অপরাধবোধে ভোগানোর কোনো প্রয়োজন নেই। ‘হাউ টু টডলার থ্রাইভ’ বইয়ের লেখক তোবাহ ক্লেইন বলেন, ‘একটি শিশু যদি ইতিমধ্যে জানে সে কোনো ভুল করেছে বা এর জন্য মনে কষ্ট পেতে থাকে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে তাকে লজ্জায় ফেললে শিশু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এর পরিবর্তে সন্তানের সঙ্গে কি ঘটেছে বা কেন ঘটেছে অভিভাবক হিসেবে তা প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তারপর তাকে বোঝান যে এরকম যেন আর না ঘটে ও অবস্থার উন্নতিতে তাকে সহায়তা করুন।’
তাড়াতাড়ি কর :
আপনার সন্তান হয়তো নাশতা খেতে খুব দেরি করে বা তার কেডস পরতে দেরি হয়, এ জন্য তার স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। এতে আপনি যদি তাকে শাস্তি দেন বা তাড়াতাড়ি কর কথাটি বারবার বলেন। এতে সে খুব বাড়তি চাপ অনুভব করবে, 'বেবি মাইন্ডস' বইটির সহ লেখিকা লিন্ডা অ্যাক্রিডোলো এমনটাই বলেন।
আস্তে করে বলুন, 'চলো তাড়াতাড়ি করি'। এতে সে বুঝতে পারবে যে আপনিও তার দলেই আছেন। কিংবা কোথাও যাওয়ার সময় দুজনে এক সঙ্গে রেডি হোন এবং বলুন 'চলো দেখি কে আগে তৈরি হতে পারে'। এতে সে জলদি কাজ শেষ করা শিখবে কোনো রকম মানসিক চাপ ছাড়াই।
প্রতিটি বাবা মা তার সন্তানকে ভালোবাসে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু অনেক সময় আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করে এই ধরণের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়