Friday, March 24

কানাইঘাটের মমতাজগঞ্জ বাজারে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আরো ১টি করাতকল স্থাপন


নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমান্তবর্তী কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপি’র মমতাজগঞ্জ বাজারে আদালত ও থানা পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিরোধপুর্ণ জায়গায় আরো একটি করাতকল বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। বনবিভাগের আইন অনুযায়ী সীমান্তবর্তী এলাকায় করাতকল স্থাপন করা বেআইনী হলেও মমতাজগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কোন ধরনের বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ২টি করাতকল চলায় সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকার বনাঞ্চল উজাড় হচ্ছে। মাঝে মধ্যে উপজেলা বিট অফিস স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় লাইসেন্স বিহীন করাতকল সীলগালার চেষ্ঠা করলে করাতকলের মালিকরা কয়েক বছর আগের হাইকোর্টের আদেশের কপি দেখিয়ে অবৈধভাবে করাতকল চালিয়ে যাচ্ছে। মমতাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন মমতাজগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ২টি করাতকল থাকলেও সম্প্রতি বাজারের নিকটবর্তী সুরতুন্নেছা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আদালতের ১৪৪ ধারা বিদ্ধমান থাকা অবস্থায় নারাইনপুর মৌজার দাগনং- ১৪, পরিমান ৮ শতক জমির উপর স্থানীয় ছোটফৌদ গ্রামের মৃত হাজী ফয়জুর রহমানের পুত্র হারিছ উদ্দিন (৩২) খোলা আকাশের নিচে একটি করাত স্থাপন করেন। সেখানে তিনি ঘর নির্মান ও করাতকল বসালে উক্ত ৮ শতক জমির বৈধ মালিক দাবী করে একই গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র শফিকুল হক (৫৫) করাতকল স্থাপনকারী হারিছ উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে সিলেটের কানাইঘাট আদালতে মোকদ্দমা নং- ০৬/২০১৭, ধারা- ১৪৪ কার্যবিধি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির উপর সব ধরনের স্থাপনা নির্মান বন্ধ করার জন্য কানাইঘাট থানার অফিসার ইন্চার্জকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে উক্ত জমির উপর সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং শান্তি শৃংখলা রার্থে উক্ত জায়গার উপর কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ ১৪৪ জারীর আদালতের নির্দেশে নোটিশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এএসআই আব্দুল মন্নান গত ১৪ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে করাতকল স্থাপনকারী হারিছ উদ্দিনসহ উভয় পক্ষকে আগামী ৫/৪/২০১৭ইং তারিখ উভয়ের বৈধ কাগজপত্র সহ বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেন। কিন্তু আদালত ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে হারিছ উদ্দিন করাতকল স্থাপন ও বেআইনী ভাবে উক্ত জায়গার উপর ঘর নির্মান করে যাচ্ছেন বলে মামলার বাদী শফিকুল হক জানিয়েছেন। অপরদিকে হারিছ উদ্দিন জানিয়েছেন তিনি ভুমি খন্ডটির বৈধ মালিক বিধায় সেখানে বন বিভাগে আবেদন করে করাতকল স্থাপনসহ ঘর নির্মান করছেন। অযতা শফিকুল হক গংরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। তবে উপজেলা বিট কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, হারিছ উদ্দিন করাতকল স্থাপনের জন্য বনবিভাগ বা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেননি। বেআইনী ভাবে কেউ করাতকল স্থাপন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কানাইঘাট থানার এএসআই আব্দুল মন্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কোন পক্ষ যদি করাতকল কিংবা কোন ধরনের স্থাপনা নির্মান করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসী বিরোধপুর্ণ উক্ত জায়গা থেকে করাতকল অপসারনের জোর দাবী জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়