কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভিনগ্রহে প্রাণ খুঁজতে সূর্য আর আইনস্টাইনকে একই সঙ্গে কাজে লাগানো হবে।
নতুন টেলিস্কোপ বানাতে এ বার একই সঙ্গে দু’জনকে কাজে লাগাতে চায় নাসা। যাতে তড়িঘড়ি প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায় এই সৌরমণ্ডলের বাইরে ছড়িয়ে, ছিটিয়ে থাকা ভিনগ্রহে (এক্সট্রা-সোলার প্ল্যানেটস বা এক্সোপ্ল্যানেটস)।
গত সপ্তাহে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বৈঠকে নাসার তরফে ‘প্ল্যানেটারি সায়েন্স ভিশন ২০৫০’ শীর্ষক রিপোর্টে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা তৈরি করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিওন অ্যালকালাইয়ের নেতৃত্বে নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) একটি গবেষকদল।
আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সদস্য প্রফেসর বিষ্ণু রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘‘নাসার ওই রিপোর্টে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পৃথিবী থেকে প্লুটো যতটা দূরে রয়েছে, তার ১৪ গুণেরও বেশি দূরত্বে বসানো হোক ওই টেলিস্কোপ। ৫০ বছর আগে মহাকাশে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ‘ভয়েজার-১’ আজ থেকে ৪০ বছর পর গিয়ে পৌঁছবে যে-দূরত্বে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্কেলে ৫৫০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট বা, এইউ (পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বকে ধরা হয় এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট)। আর সেই অসম্ভব রকমের শক্তিশালী টেলিস্কোপের ম্যাগনিফাইং লেন্সটা হবে সূর্য। ওই সূর্যের ‘চোখ’ দিয়েই মহাকাশের একটা অংশে খোঁজা হবে ভিনগ্রহ। বহু দিন আগে সূর্যকে দিয়ে ভিনগ্রহ খোঁজার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইতালিয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লদিয়ো ম্যাকোনে।’’
ঘটনা হল, এই অভিনব টেলিস্কোপ বানাতে আবার আইনস্টাইনের কাছেই ফিরে যেত হচ্ছে নাসাকে! আজ থেকে ১০০ বছর আগে সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে আইনস্টাইন বলেছিলেন, মহাকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ানো আলোর ‘রুট’টাকে বাঁকিয়ে-চুরিয়ে দিতে পারে যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুর অভিকর্ষ ক্ষেত্র। যত ভারী হবে সেই মহাজাগতিক বস্তু, তত বেশি করে তা বাঁকিয়ে-চুরিয়ে দেবে মহাকাশে ছুটে বেড়ানো আলোকে। আর সেই কাজটা করার জন্য সূর্যের চেয়ে বড় ‘প্লেয়ার’ আর কেই-বা আছে আমাদের হাতের কাছে!
সূর্য আর আইনস্টাইনকে একই সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ওই অভিনব টেলিস্কোপ দিয়ে নতুন নতুন ভিনগ্রহের জন্য জোর তল্লাশি চালানো হবে যে-পদ্ধতিতে, তার নাম- ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’।
নতুন টেলিস্কোপ বানাতে এ বার একই সঙ্গে দু’জনকে কাজে লাগাতে চায় নাসা। যাতে তড়িঘড়ি প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায় এই সৌরমণ্ডলের বাইরে ছড়িয়ে, ছিটিয়ে থাকা ভিনগ্রহে (এক্সট্রা-সোলার প্ল্যানেটস বা এক্সোপ্ল্যানেটস)।
গত সপ্তাহে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বৈঠকে নাসার তরফে ‘প্ল্যানেটারি সায়েন্স ভিশন ২০৫০’ শীর্ষক রিপোর্টে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা তৈরি করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিওন অ্যালকালাইয়ের নেতৃত্বে নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) একটি গবেষকদল।
আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সদস্য প্রফেসর বিষ্ণু রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘‘নাসার ওই রিপোর্টে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পৃথিবী থেকে প্লুটো যতটা দূরে রয়েছে, তার ১৪ গুণেরও বেশি দূরত্বে বসানো হোক ওই টেলিস্কোপ। ৫০ বছর আগে মহাকাশে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ‘ভয়েজার-১’ আজ থেকে ৪০ বছর পর গিয়ে পৌঁছবে যে-দূরত্বে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্কেলে ৫৫০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট বা, এইউ (পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বকে ধরা হয় এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট)। আর সেই অসম্ভব রকমের শক্তিশালী টেলিস্কোপের ম্যাগনিফাইং লেন্সটা হবে সূর্য। ওই সূর্যের ‘চোখ’ দিয়েই মহাকাশের একটা অংশে খোঁজা হবে ভিনগ্রহ। বহু দিন আগে সূর্যকে দিয়ে ভিনগ্রহ খোঁজার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইতালিয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লদিয়ো ম্যাকোনে।’’
ঘটনা হল, এই অভিনব টেলিস্কোপ বানাতে আবার আইনস্টাইনের কাছেই ফিরে যেত হচ্ছে নাসাকে! আজ থেকে ১০০ বছর আগে সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে আইনস্টাইন বলেছিলেন, মহাকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ানো আলোর ‘রুট’টাকে বাঁকিয়ে-চুরিয়ে দিতে পারে যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুর অভিকর্ষ ক্ষেত্র। যত ভারী হবে সেই মহাজাগতিক বস্তু, তত বেশি করে তা বাঁকিয়ে-চুরিয়ে দেবে মহাকাশে ছুটে বেড়ানো আলোকে। আর সেই কাজটা করার জন্য সূর্যের চেয়ে বড় ‘প্লেয়ার’ আর কেই-বা আছে আমাদের হাতের কাছে!
সূর্য আর আইনস্টাইনকে একই সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ওই অভিনব টেলিস্কোপ দিয়ে নতুন নতুন ভিনগ্রহের জন্য জোর তল্লাশি চালানো হবে যে-পদ্ধতিতে, তার নাম- ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’।
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়