কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মাঠে দর্শক
নেই। টিভিতে খেলা থাকলে সেদিকে কারো চোখ নেই। জাতীয় দল ম্যাচের পর ম্যাচ
হারছে। ঢাকার লিগগুলোতেও যাচ্ছেতাই অবস্থা। দায় কার?
রক্ষণশীল সমালোচকরা সরাসরি বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনকে দোষ দিতে চান না। সাবেক এই ‘মহাতারকা’র ফুটবলপ্রেম নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। তিনি ফেডারেশনে আসার পরে জাতীয় দল যত ম্যাচ খেলেছে, তা আগে খেলতে পারতো না। তাহলে সমস্যা কোথায়?
কৌশলী সমর্থকদের অভিযোগ, বাফুফে সভাপতি জাতীয় দলকে বেশি গুরুত্ব দিতে যেয়ে তৃণমূল ফুটবলকে গ্রাহ্য করেননি। গড়ে ওঠেনি ভালো মানের ফুটবলার। কিন্তু কথা হলো এই ৯ বছরেই কি তিনি সব পাল্টে দিতে পারতেন?
অবশ্যই না। সালাউদ্দিন যখন দায়িত্ব নেন, তখনো ফুটবলের অবস্থা ভালো ছিল না। দায়িত্ব হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ২০২১ সালে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। ঢাকার ফুটবলে নতুনত্ব আনার বেশ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ক্লাব কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় পেরে ওঠেননি।
যে সব দেশ ফুটবলে ভালো করে তাদের ক্লাবগুলোর কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী। ক্লাবগুলোই মূলত ভালো ফুটবলার তৈরি করে। আর বাংলাদেশে ক্লাবগুলোর নামের দিকে খেয়াল করলে, দেখতে পাবেন অদ্ভুত এক বৈসাদৃশ্য। প্রতিটি ক্লাবের নামের শেষাংশে লেখা SC (Sporting Club), KC (Krira Chakra), KS (Krira Sangha). আর অন্যদেশের ক্লাবগুলোর নাম শেষ হয় FCs (Football Clubs) দিয়ে। এর মানে হলো আমাদের ক্লাবগুলোতে শুধু ফুটবল নয়, আরও একাধিক খেলার ব্যাপার আছে। সেটা কাবাডি থেকে শুরু করে টেনিস পর্যন্ত। আর অন্যদেশগুলোতে ফুটবলের ক্লাবে শুধু ফুটবল।
ঢাকার ভালো ক্লাবের নাম বলতে গেলে আবাহনী-মোহামেডানের কথা সবার আগে বলতে হয়। এই দুটি ক্লাবের জৌলুসের কথা প্রায় লোকগাঁথা হয়ে আছে। ম্যাচের আগেরদিন ক্লাব থেকে কাতারে কাতারে মানুষ মিছিলে অংশ নিত। উৎসব লেগে থাকতো। এখন সেখানে মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। কোনো অভিভাবক যদি এই ক্লাব দুটিতে তার সন্তানকে ফুটবলের কোচিং করাতে চান, তবে হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন। আবাহনীর মাঠে নাম সর্বস্ব বেশ কয়েকটি ক্লাব নিজেরা ফুটবলের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করায়। কেউ ফুটবল শিখতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে। আবাহনী-মোহামেডানে হবে না।
ফুটবলের মতো ক্রিকেট অতটা ক্লাব ভিত্তিক খেলা নয়। ফুটবলে ভালো করতে হলে একটা দেশকে ক্লাবের অবকাঠামো ভাল করতেই হবে। বার্সা-রিয়ালের দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা একজন খেলোয়াড়কে ছেলেবেলা থেকে গড়ে তোলে। ক্লাবে থেকেই সে লেখাপড়া করে। খেলাধুলা করে। তার জগত-সংসার ওই ক্লাব ঘিরেই গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের পরিবেশ এর ধারে কাছেও নেই।
ক্লাবগুলোর নিজস্ব কোনো আয় নেই। ডোনেশনের প্রত্যাশায় পথচেয়ে থাকে সবাই। খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা নিয়ে প্রায়ই হট্টগোল শোনা যায়। বাফুফেসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে টাকা আসে, তার বড় একটা অংশ আবার গায়েব হয়ে যায়।
এভাবে চলছে বছরের পর বছর। পর্দার আড়ালে ভেঙে পড়ছে অবকাঠামো। জরাজীর্ণ ফুটবল এখন মুক্তি চায়। দেখতে চায় আলোর দিশা। সেই আলো কতদূর?
রক্ষণশীল সমালোচকরা সরাসরি বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনকে দোষ দিতে চান না। সাবেক এই ‘মহাতারকা’র ফুটবলপ্রেম নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। তিনি ফেডারেশনে আসার পরে জাতীয় দল যত ম্যাচ খেলেছে, তা আগে খেলতে পারতো না। তাহলে সমস্যা কোথায়?
কৌশলী সমর্থকদের অভিযোগ, বাফুফে সভাপতি জাতীয় দলকে বেশি গুরুত্ব দিতে যেয়ে তৃণমূল ফুটবলকে গ্রাহ্য করেননি। গড়ে ওঠেনি ভালো মানের ফুটবলার। কিন্তু কথা হলো এই ৯ বছরেই কি তিনি সব পাল্টে দিতে পারতেন?
অবশ্যই না। সালাউদ্দিন যখন দায়িত্ব নেন, তখনো ফুটবলের অবস্থা ভালো ছিল না। দায়িত্ব হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ২০২১ সালে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। ঢাকার ফুটবলে নতুনত্ব আনার বেশ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ক্লাব কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় পেরে ওঠেননি।
যে সব দেশ ফুটবলে ভালো করে তাদের ক্লাবগুলোর কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী। ক্লাবগুলোই মূলত ভালো ফুটবলার তৈরি করে। আর বাংলাদেশে ক্লাবগুলোর নামের দিকে খেয়াল করলে, দেখতে পাবেন অদ্ভুত এক বৈসাদৃশ্য। প্রতিটি ক্লাবের নামের শেষাংশে লেখা SC (Sporting Club), KC (Krira Chakra), KS (Krira Sangha). আর অন্যদেশের ক্লাবগুলোর নাম শেষ হয় FCs (Football Clubs) দিয়ে। এর মানে হলো আমাদের ক্লাবগুলোতে শুধু ফুটবল নয়, আরও একাধিক খেলার ব্যাপার আছে। সেটা কাবাডি থেকে শুরু করে টেনিস পর্যন্ত। আর অন্যদেশগুলোতে ফুটবলের ক্লাবে শুধু ফুটবল।
ঢাকার ভালো ক্লাবের নাম বলতে গেলে আবাহনী-মোহামেডানের কথা সবার আগে বলতে হয়। এই দুটি ক্লাবের জৌলুসের কথা প্রায় লোকগাঁথা হয়ে আছে। ম্যাচের আগেরদিন ক্লাব থেকে কাতারে কাতারে মানুষ মিছিলে অংশ নিত। উৎসব লেগে থাকতো। এখন সেখানে মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। কোনো অভিভাবক যদি এই ক্লাব দুটিতে তার সন্তানকে ফুটবলের কোচিং করাতে চান, তবে হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন। আবাহনীর মাঠে নাম সর্বস্ব বেশ কয়েকটি ক্লাব নিজেরা ফুটবলের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করায়। কেউ ফুটবল শিখতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে। আবাহনী-মোহামেডানে হবে না।
ফুটবলের মতো ক্রিকেট অতটা ক্লাব ভিত্তিক খেলা নয়। ফুটবলে ভালো করতে হলে একটা দেশকে ক্লাবের অবকাঠামো ভাল করতেই হবে। বার্সা-রিয়ালের দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা একজন খেলোয়াড়কে ছেলেবেলা থেকে গড়ে তোলে। ক্লাবে থেকেই সে লেখাপড়া করে। খেলাধুলা করে। তার জগত-সংসার ওই ক্লাব ঘিরেই গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের পরিবেশ এর ধারে কাছেও নেই।
ক্লাবগুলোর নিজস্ব কোনো আয় নেই। ডোনেশনের প্রত্যাশায় পথচেয়ে থাকে সবাই। খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা নিয়ে প্রায়ই হট্টগোল শোনা যায়। বাফুফেসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে টাকা আসে, তার বড় একটা অংশ আবার গায়েব হয়ে যায়।
এভাবে চলছে বছরের পর বছর। পর্দার আড়ালে ভেঙে পড়ছে অবকাঠামো। জরাজীর্ণ ফুটবল এখন মুক্তি চায়। দেখতে চায় আলোর দিশা। সেই আলো কতদূর?
সূত্র: বিডি লাইভ।
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়