কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
কিছুদিন আগে কামলা খাটতে সপ্তাহের জন্য শ্বেত গৃহের পাশে গিয়েছিলাম। কাজ
শেষ করে ঘুরছি। ক্ষুধাও বেশ পেয়েছে। ফ্রি ওয়াই ফাই লেখা দেখে একটা খাবার
দোকানে ঢুকলাম। ইচ্ছে খানাও হবে আবার মুখবইয়ে আনাগোনাও হবে। ওয়াই ফাইয়ের
পাসওয়ার্ড চাইলাম। খাবার পরিচারক সাদা ছেলেটি বললো- Please eat first.
লজ্জা লাগলো। আসলেইতো খাবার না খেয়ে ওয়াইফাই ব্যবহার করাতো অভদ্রতা। একটা
বার্গার নিয়ে এসে খেতে বসলাম।
মনে করলাম- সাদাছেলে মনে হয় ভুলে গেছে। অন্যান্য কাস্টমারের অর্ডার শেষ হলে পাসওয়ার্ড দিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর- আবার পাসওয়ার্ড চাইলাম। পরিচারক- আবারো বললো- Please eat first.। মনে হয় আন্ধা, না হয় বেয়াকুব। এই বেয়াকুবরাইতো সাদা ঘরে এবার গাঁধামানবকে ঢুকিয়েছে। দুটো চকলেক কুকি নিয়ে এসে টেবিলে বসলাম। রাগ হচ্ছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আছে।
অর্ডার লাইন শেষ হতেই -একটু বিরক্ত স্বরে আবারো পাসওয়ার্ড চাইলাম। ছেলেটি আবারো বললো- Please eat first...
এবার আর সহ্য হলোনা- বলেই ফেললাম। একটা পাসওয়ার্ডের জন্য তোদের দোকানে কয়বার খাবার খেতে হবে? আন্ধা নাকি। দেখছিস না খাবার খাচ্ছি। ছেলেটি এবার হেসে দোকানের এক কর্ণারে সাঁটা ছোট একটা সাইন দেখিয়ে দিলো। সেখানে খুব ছোট কিন্তু স্পষ্ট অক্ষরে লেখা Wi-Fi password: pleaseeatfirst। খুব হাসি আসলো। মনে হলো দিনের সব পেরেশানি হাওয়া হয়ে গেলো।
কৌতুহল বশতঃ জানতে চাইলাম-এমন স্মার্ট আইডিয়া। দোকানের মালিক ঐ সাদা ছেলে কিনা? ছেলেটি বললো- না, সে শুধু বিকেল পাঁচটার পর কাজ করে। তার মালিক ভিতরে আছে। কথা বলতে না বলতেই মালিক বাইরে আসলেন। চেহারা দেখতে ভারতীয়। বললেন-এক পাসওয়ার্ডেই ব্যবসা বেড়ে গেছে তিনগুন। আজাইরা গুলতানিও হয়না। পাসওয়ার্ড জানার পর ক্রেতারাও খুশী হয়, রাগও করেনা, বরং মুচকি মুচকি হাসে।
ভদ্রলোক আরেকটি কথা বললেন- যা শুণে আমি রীতিমত চমকে গেলাম। একমাত্র শিশুরাই ২য়বার পাসওয়ার্ড চায়না। একবার বললেই বুঝে ফেলে। কারণ-ওরা আমাদের মতো অতো জটিল লাভ-ক্ষতি চিন্তা করেনা। চমকের পর চমক। ভদ্রলোক খাঁটি বাংলাদেশি। আর বাংলাদেশে এমন স্মার্ট লোক কোন এলাকার হয়ে থাকেন?
ভদ্রলোক হ্যান্ডশেক করতে চাইলেন। আমি করলাম না। বললাম, আপনি দয়া করে দুই হাত দূরে যান। এই লোকের সাথে হ্যান্ডশেক করা বেয়াদবি। ভাইরে শুধু একটা স্যালুট দিলাম।
আরিফ মাহমুদ, ছোট গল্পকার, অাটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র।
মনে করলাম- সাদাছেলে মনে হয় ভুলে গেছে। অন্যান্য কাস্টমারের অর্ডার শেষ হলে পাসওয়ার্ড দিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর- আবার পাসওয়ার্ড চাইলাম। পরিচারক- আবারো বললো- Please eat first.। মনে হয় আন্ধা, না হয় বেয়াকুব। এই বেয়াকুবরাইতো সাদা ঘরে এবার গাঁধামানবকে ঢুকিয়েছে। দুটো চকলেক কুকি নিয়ে এসে টেবিলে বসলাম। রাগ হচ্ছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আছে।
অর্ডার লাইন শেষ হতেই -একটু বিরক্ত স্বরে আবারো পাসওয়ার্ড চাইলাম। ছেলেটি আবারো বললো- Please eat first...
এবার আর সহ্য হলোনা- বলেই ফেললাম। একটা পাসওয়ার্ডের জন্য তোদের দোকানে কয়বার খাবার খেতে হবে? আন্ধা নাকি। দেখছিস না খাবার খাচ্ছি। ছেলেটি এবার হেসে দোকানের এক কর্ণারে সাঁটা ছোট একটা সাইন দেখিয়ে দিলো। সেখানে খুব ছোট কিন্তু স্পষ্ট অক্ষরে লেখা Wi-Fi password: pleaseeatfirst। খুব হাসি আসলো। মনে হলো দিনের সব পেরেশানি হাওয়া হয়ে গেলো।
কৌতুহল বশতঃ জানতে চাইলাম-এমন স্মার্ট আইডিয়া। দোকানের মালিক ঐ সাদা ছেলে কিনা? ছেলেটি বললো- না, সে শুধু বিকেল পাঁচটার পর কাজ করে। তার মালিক ভিতরে আছে। কথা বলতে না বলতেই মালিক বাইরে আসলেন। চেহারা দেখতে ভারতীয়। বললেন-এক পাসওয়ার্ডেই ব্যবসা বেড়ে গেছে তিনগুন। আজাইরা গুলতানিও হয়না। পাসওয়ার্ড জানার পর ক্রেতারাও খুশী হয়, রাগও করেনা, বরং মুচকি মুচকি হাসে।
ভদ্রলোক আরেকটি কথা বললেন- যা শুণে আমি রীতিমত চমকে গেলাম। একমাত্র শিশুরাই ২য়বার পাসওয়ার্ড চায়না। একবার বললেই বুঝে ফেলে। কারণ-ওরা আমাদের মতো অতো জটিল লাভ-ক্ষতি চিন্তা করেনা। চমকের পর চমক। ভদ্রলোক খাঁটি বাংলাদেশি। আর বাংলাদেশে এমন স্মার্ট লোক কোন এলাকার হয়ে থাকেন?
ভদ্রলোক হ্যান্ডশেক করতে চাইলেন। আমি করলাম না। বললাম, আপনি দয়া করে দুই হাত দূরে যান। এই লোকের সাথে হ্যান্ডশেক করা বেয়াদবি। ভাইরে শুধু একটা স্যালুট দিলাম।
আরিফ মাহমুদ, ছোট গল্পকার, অাটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়