কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে পরিবেশ ধ্বংসকারী বোমা মেশিন কখনও ব্যবহার করা হয় না বলে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ও মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এবং পাথর শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, লোভাছড়া পাথর মহালটি খুবই প্রাচীণ। সরকারী নিয়ম কানুন মেনে এ পাথর মহালে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে লক্ষাধিক পরিবারের ভরন পোষন করে থাকেন। কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন ছাড়া অন্য কোন রোজগারের ব্যবস্থা নেই ঐ এলাকার মানুষের। প্রতিবছর এ মহাল থেকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজশ্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু একটি মহল লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে পরিবেশ ধ্বংসকারী বোমা মেশিন দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে মর্মে মিথ্যা অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে। ১৪২৩-১৪২৪ বাংলার জন্য পাথর মহালটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে টেন্ডারের মাধ্যমে সোহাদা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মস্তাক আহমদ পলাশ চেয়ারম্যান চার কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নেন। ইজারার নিয়ম মেনে পাথর মহাল থেকে শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করে থাকেন। সিলেটের গোটাটিকর নিবাসী মৃত আসাদ আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম উক্ত পাথর মহালের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করেন। সম্প্রতি তিনি সীমান্তের পাথর মহালের নোম্যান্সলেন্ডের এলাকায় বড় ধরনের কয়েকটি গর্ত করে পাথর উত্তোলনের চেষ্টা করলে স্থানীয় বিজিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে পাথর উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাথর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দিবেন মর্মে এলাকার অনেক মানুষের সাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্র নেন। উক্ত কাগজপত্র নিয়ে পাথর মহালে পরিবেশ ধ্বংসকারী বোমা মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়ে নিজেকে মানবাধিকার ও পরিবেশ বাদী কর্মী উল্লেখ করে পাথর মহাল এলাকায় পরিবেশ বিধ্বংসী তৎপরতা ও বোমা মেশিন ব্যবহার হচ্ছে এ অভিযোগ এনে মহামান্য হাই কোর্টে রিট পিটিশন নং- ১৬৩০৪/২০১৬ইং দায়ের করেন। তার আনীত রিট পিটিশনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ লিখিত বক্তব্যে বলেন। ফখরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, লোভাছড়া পাথর মহালে কোন ধরনের বোমা মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে না। বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে এখানকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সব সময় সোচ্চার। বেশ কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া পাথর মহালে অভিযান চালিয়ে পরিবেশ ধ্বংসকারী কোন বোমা মেশিন ও যন্ত্রপাতি পান নাই। ইতিমধ্যে আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, পাথর মহালটি পরিদর্শন করে এখানে বোমা মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখার জন্য। এমতাবস্থায় পাথর মহাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচার বন্ধ এবং হাজার হাজার শ্রমিকের কাজের চাকা সচল রাখতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে কেউ পাথর উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। পাথর কোয়ারীর সৌন্দর্য বর্ধন এবং পরিবেশ রক্ষা করতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ, পাথর ব্যবসায়ী, পাথর শ্রমিক অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সহ পাথর সমিতির নেতৃবৃন্দ।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়