Thursday, January 5

অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর অবশেষে পাড়লেন সোনা!

অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর অবশেষে পাড়লেন সোনা!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার গভীর রাতে এক যাত্রীর কাছ থেকে অভিনব উপায়ে আনা ১২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, এসব সোনার দাম আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা।

অদ্ভুতভাবে হাঁটছিলেন ওই যাত্রী। সন্দেহ হওয়ায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু তিনি সোনা থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। এরপর করা হয় এক্স-রে। পায়ুপথে অস্বাভাবিক তিনটি পুঁটলি দেখা যায়। এরপরও যাত্রী স্বীকার না করায় অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর নরম হন তিনি। এরপর বিশেষ কায়দায় বের করে আনেন লুকোনো সোনা।

যাত্রীর নাম শরীফ আহমেদ। বাড়ি কুমিল্লায়। মালিন্দ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তাকে ঘিরে শুরু হয় নাটক।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, তাদের কাছে আগেই ওই যাত্রীর ব্যাপারে তথ্য ছিল। হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ায় কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বারবার জিজ্ঞেস করার পরও সোনা আনার কথা স্বীকার করেননি ওই যাত্রী। দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাকে নেওয়া হয় বেসরকারি একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। করা হয় এক্স-রে। এতে পায়ুপথে তিনটি অস্বাভাবিক পুঁটলি দেখা যায়।

যাত্রী শরীফকে এগুলোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সোনা আনার কথা অস্বীকার করে শরীফ তার আত্মীয় বড় কর্মকর্তার কথা বলে হুমকি দেন। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ‘দেখে নেব’ বলেও হুমকি দেন। পরে অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর নরম হন শরীফ। জানান, বিশেষ কায়দায় বের করে দেবেন সোনা।

শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লুঙ্গি নিয়ে পরেন শরীফ। এরপর কাস্টমসের টয়লেটে যান। শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে পায়ুপথে বিশেষ কায়দায় লুকানো তিনটি কনডম বের করেন। এগুলোর ভেতরে চারটি করে মোট ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়।

শরীফ জানান, চারটি সোনার বার স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে একটি কনডমের ভেতরে ঢোকান। এরপর আবার টেপ দিয়ে প্যাঁচান। এ রকম তিনটি কনডম বিশেষ কায়দায় পায়ুপথে ঢোকান। মালয়েশিয়াতে এর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়