মাহবুবুর রশিদ:
বিদায় নিলো ২০১৬ সাল। নতুন বছরের আগমনে ২০১৬ সাল কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। তবে, নানা কারণেই ২০১৬ সাল শুধু কানাইঘাট নয় পুরো ছিলেট জুড়েই ছিলো আলোচিত-সমালোচিত । বছরটিতে কয়েকটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বছরের কয়কেটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন ।
ইমরান হত্যাকান্ড:
শুধু কানাইঘাটে নয়,পুরো সিলেট জুড়েই বছরে আলোচিত ছিলো কানাইঘাটের ইমরান হত্যাকান্ড। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট সদর ইউপির সোনাপুর গ্রামের আবু বকরের পুত্র দর্জি দোকানি ইমরান হোসেনকে তার পরকীয়া প্রেমিকা সুহাদা বেগম ও সহযোগীরা সুহাদার স্বামীর বাড়ি উপজেলার দুর্গাপুর নয়াগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে গলা ও লিঙ্গ কর্তন করে হত্যা করে। হত্যার পর ইমরানের লাশ চটের বস্তায় ভরে বস্তার নীচ অংশে গাছের সাথে বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে ৪ দিন পর ইমরানের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
শিশু সুলতানাকে ধর্ষণের পর হত্যা:
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাটি পুরো উপজেলা জুড়ে ছিলো আলোচিত বিষয়। ধর্ষকরা পালাক্রমে ধর্ষণের পর সুলতানকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলার এরারিগুল গ্রামের তেরা মিয়ার মেয়ে,স্থানীয় ছোট ফৌউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা বেগম(১২) সকাল বেলা তার বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে গেলে নিখোঁজ হয়। পরদিন মঙ্গলবার সুলতানার বাবা তেরা মিয়া কানাইঘাট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ সুলতানার সহপাঠী ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়,সুলতানা বাড়ির পার্শ্ববর্তী টিলায় শ্রমিকদের জন্য পান-সুপারি নিয়ে গেলে আর ফিরে আসেনি। পরে পুলিশ টিলায় কর্মরত তিন শ্রমিক আবুল, সাদিক ও রাসেলকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নরপশুরা ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে টিলার ওপর মাটি খুঁড়ে শিশু সুলতানার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাবুর্চি জামাল হত্যাকান্ড:
বাবুর্চি জামাল হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনলে যে কারো গা শিউরে উঠবে। এমন ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড কানাইঘাটে আগে কখনো গঠেনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার নিখোঁজ হন কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে জামাল আহমদ(৪০)। পেশায় তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বাবুর্চি। নিখোঁজের পর তার স্বজন ও গ্রামের লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে । নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওর থেকে বাবুর্চি জামালের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকারীরা জামালকে হত্যা করে থেমে যায়নি,তাকে হত্যা করে চোখ ও নখ উপড়ে ফেলে, জিহবা, গলা ,হাত এমনকি কেটে ফেলে লিঙ্গও। লাশ যেন চিহ্নিত করা না যায়, সেজন্য এসিডে ঝলসে দেয়া হয় জামালের মুখ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তথন দুইজনকে আটকও করে।
ইনজেকশন পুশ করে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা:
চার সন্তানের জননী দিলারা বেগম(২৮)কে স্বামী কর্তৃক ইনজেকশন পুশ করে হত্যার ঘটনাটি ছিলো পুরো কানাইঘাট জুড়ে আলোচনার বিষয়। গত ২৮ নভেম্বর সোমবার উপজেলার সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে স্বামী মাওলানা সৈয়দ আহমদ কানাইঘাট বাজারের একটি ফার্মেসী থেকে ইনজেকশ কিনে নিয়ে স্ত্রী দিলারা বেগমের কোমরে নিজে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে সাথে সাথে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশ দিলারার স্বামী মাওলানা সৈয়দ আহমদকে আটক করে।
বিদ্যুতের তারে দুই হাত হারালো সাদিক:
পল্লী বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে দুই হাতই হারানো সাদিকের ঘটনা নিয়েও কম মাতামাতি হয়নি বছরজুড়ে। গত ১০ই জুলাই উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল জব্বারের ভাগ্নে স্থানীয় ফাগু সালাফিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিক আহমদ (১৩)তার মামা আব্দুর জব্বারের নির্মাণাধীন একতলা ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় সিঁড়ির পাশ ঘেঁষা কানাইঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ৬ হাজার বোল্টের একটি লাইনে জড়িয়ে পড়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সাদিককে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলেন।
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন কানাইঘাটের ৫ জন:
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুই সহোদরসহ ৫জন নিহতের ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের মাতম বইছিলো। গত ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ট্যাক্সিযোগে কাতারের রাজধানী দোহায় স্থানীয় সবজি মার্কেট থেকে সোমাল নামক স্থানে যাওয়ার পথে কাতার-সৌদি হাইওয়েতে মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনায় নিহত হন কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের আমরপুর গ্রামের হাছই মিয়ার ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৩২) ও তার ছোট ভাই মঈনুদ্দিন (৩০), গর্দনাকান্দি গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে আওলাদ হোসেন (৩৫) এবং কাপ্তানপুর গ্রামের মুহিব উদ্দিন (২৮)।
শিশু সুলতানাকে ধর্ষণের পর হত্যা:
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাটি পুরো উপজেলা জুড়ে ছিলো আলোচিত বিষয়। ধর্ষকরা পালাক্রমে ধর্ষণের পর সুলতানকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলার এরারিগুল গ্রামের তেরা মিয়ার মেয়ে,স্থানীয় ছোট ফৌউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা বেগম(১২) সকাল বেলা তার বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে গেলে নিখোঁজ হয়। পরদিন মঙ্গলবার সুলতানার বাবা তেরা মিয়া কানাইঘাট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ সুলতানার সহপাঠী ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়,সুলতানা বাড়ির পার্শ্ববর্তী টিলায় শ্রমিকদের জন্য পান-সুপারি নিয়ে গেলে আর ফিরে আসেনি। পরে পুলিশ টিলায় কর্মরত তিন শ্রমিক আবুল, সাদিক ও রাসেলকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নরপশুরা ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে টিলার ওপর মাটি খুঁড়ে শিশু সুলতানার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাবুর্চি জামাল হত্যাকান্ড:
বাবুর্চি জামাল হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনলে যে কারো গা শিউরে উঠবে। এমন ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড কানাইঘাটে আগে কখনো গঠেনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার নিখোঁজ হন কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে জামাল আহমদ(৪০)। পেশায় তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বাবুর্চি। নিখোঁজের পর তার স্বজন ও গ্রামের লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে । নিখোঁজের ৬ দিন পর হাওর থেকে বাবুর্চি জামালের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকারীরা জামালকে হত্যা করে থেমে যায়নি,তাকে হত্যা করে চোখ ও নখ উপড়ে ফেলে, জিহবা, গলা ,হাত এমনকি কেটে ফেলে লিঙ্গও। লাশ যেন চিহ্নিত করা না যায়, সেজন্য এসিডে ঝলসে দেয়া হয় জামালের মুখ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তথন দুইজনকে আটকও করে।
ইনজেকশন পুশ করে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা:
চার সন্তানের জননী দিলারা বেগম(২৮)কে স্বামী কর্তৃক ইনজেকশন পুশ করে হত্যার ঘটনাটি ছিলো পুরো কানাইঘাট জুড়ে আলোচনার বিষয়। গত ২৮ নভেম্বর সোমবার উপজেলার সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে স্বামী মাওলানা সৈয়দ আহমদ কানাইঘাট বাজারের একটি ফার্মেসী থেকে ইনজেকশ কিনে নিয়ে স্ত্রী দিলারা বেগমের কোমরে নিজে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে সাথে সাথে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশ দিলারার স্বামী মাওলানা সৈয়দ আহমদকে আটক করে।
বিদ্যুতের তারে দুই হাত হারালো সাদিক:
পল্লী বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে দুই হাতই হারানো সাদিকের ঘটনা নিয়েও কম মাতামাতি হয়নি বছরজুড়ে। গত ১০ই জুলাই উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল জব্বারের ভাগ্নে স্থানীয় ফাগু সালাফিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিক আহমদ (১৩)তার মামা আব্দুর জব্বারের নির্মাণাধীন একতলা ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় সিঁড়ির পাশ ঘেঁষা কানাইঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ৬ হাজার বোল্টের একটি লাইনে জড়িয়ে পড়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সাদিককে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলেন।
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন কানাইঘাটের ৫ জন:
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুই সহোদরসহ ৫জন নিহতের ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের মাতম বইছিলো। গত ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ট্যাক্সিযোগে কাতারের রাজধানী দোহায় স্থানীয় সবজি মার্কেট থেকে সোমাল নামক স্থানে যাওয়ার পথে কাতার-সৌদি হাইওয়েতে মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনায় নিহত হন কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের আমরপুর গ্রামের হাছই মিয়ার ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৩২) ও তার ছোট ভাই মঈনুদ্দিন (৩০), গর্দনাকান্দি গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে আওলাদ হোসেন (৩৫) এবং কাপ্তানপুর গ্রামের মুহিব উদ্দিন (২৮)।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়