কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নারীদের সাজগোজের অন্যতম উপকরণ হচ্ছে গহনা। শাড়ি থেকে শুরু করে যে কোনো
পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই গহনা। একসময় গহনা মানে ছিল সোনা বা রূপা। কিন্তু
চলতি ফ্যাশনে গহনা শুধু দামি ধাতু বা ডিজাইনে সীমাবদ্ধ নেই। গহনার উপকরণ
এবং নকশায় পরিবর্তন এসেছে অনেক।
হাল ফ্যাশনে স্বর্ণের পাশাপাশি গোল্ড প্লেটেড, মেটাল, স্টোন, পুঁতির তৈরি বিভিন্ন ধরনের গহনার জনপ্রিয়তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ট্রেন্ড।
ভারী, লম্বা ও গোলাকার রঙিন নেকলেস এখনকার ফ্যাশন ট্রেন্ডে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গোল্ড প্লেটেড, তামা, অ্যান্টিক, পিতল, পার্ল, ব্রাসো নানা উপাদানে তৈরি করা হচ্ছে এ সময়ের গলার গহনাগুলো। বোল্ড, চাংকি, চোকার, বিব, কলার, এথনিক, লহরি চিক, বোহেমিয়ান বা হিপ্পি ধাঁচের দু-তিন ছড়ার নেকলেস নানা নামে ও ডিজাইনে গলার গহনাগুলো এখন ফুটিয়ে তুলছে স্টাইলিশ লুক।
রঙের ক্ষেত্রে তামা, গোল্ডেন, অক্সিডাইজড, সাদা, অফ হোয়াইট, বটল গ্রিন, মেরিগোল্ডসহ বিভিন্ন রঙের পাওয়া যাচ্ছে।
মেটাল ও অ্যান্টিকের লম্বা গহনাগুলোর ডিজাইনে ফুটে উঠেছে নান্দনিকতা। ফুল, পাতা, কলকা, পয়সা, জ্যামিতিকসহ নানা নকশা ব্যবহার হয়েছে। এগুলো চাইলে সোনা দিয়েও তৈরি করতে পারেন। এথনিক গহনাগুলো অক্সিডাইজড রঙের। ছড়ানো এবং ভারী এক থেকে তিন ছড়ায় তৈরি হচ্ছে এই গহনাগুলো। এগুলো দেখতে ভারী, তবে ওজনে হালকা। ভারী গলার হার আর নেকলেসগুলোর কোনোটিতে ফুটে উঠছে ট্রাইবাল লুকও।
বিশেষ করে তরুণীদের প্রিয় টপস কিংবা গাউনের সঙ্গী এখন রঙবেরঙের, আকৃতিতে বড় ও বাহারি নকশার নেকলেস। ছিমছাম পোশাকের সঙ্গে কিংবা সাদামাটা পোশাকের সঙ্গে একটি নেকলস কিংবা দুই-তিন ছড়ার চিকই আপনাকে করে তুলবে রঙিন। একসময় কানে বড় গহনা পরলে গলার গহনা হতো তার উল্টোটি। এখনকার গলার গহনাগুলো বদলে দিয়েছে এই ফ্যাশন ট্রেন্ড। এখন শুধু একটি গলার গহনাই যথেষ্ট। এর সঙ্গে কানে দুল না পরলেও ভালো লাগে।
চোকারে নানা ধরন
চোকারের জনপ্রিয় কয়েকটি ধরনই এসেছে বর্তমান ট্রেন্ডে। যার মধ্যে নানা রঙের তামা, পিতল আর ব্রাসের মতো মেটালে তৈরি বেসিক পেল্গইন চোকারগুলো বেশি চলছে। মূলত মেটালের সিঙ্গেল ব্যান্ড, ট্যাটু কিংবা সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয় এবং কোনোটা ভেলভেটের চিকন স্ট্রিং কিংবা রিবনে তৈরি করা হয় ফ্যাব্রিকের পেল্গইন চোকার। এ জন্য যে কোনো ধরনের গলায় খুব সহজেই তা বসে যায়। দেখতে সাধারণ হলেও সাজকে অভিজাত করে তুলে এ গহনাটি। এ ছাড়া মিক্সড আপ চোকারে থাকে কাপড়, লেদার অথবা মেটালের মিশ্রণ। কখনও সিঙ্গেল স্ট্যান্ড ফ্যাব্রিকের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় মেটালের চেইন, সঙ্গে থাকে পার্ল কিংবা টারসেলের এমবেলিশমেন্ট। কখনও লেদার স্ট্র্যাপে জুড়ে দেওয়া হয় মেটাল কিংবা স্টোন। সনাতনী ভাবনার সঙ্গে আধুনিকতার জুতসই ফুটে ওঠে ভিনটেজ স্টাইল চোকারগুলোতে। ফেদার, পার্ল, শামুকের সঙ্গে লেস দিয়ে তৈরি চোকারগুলো বেশ জনপ্রিয়। আবার নিউএজ বোহেমিয়ান স্টাইল চোকারের কদর রয়েছে ফ্যাশন-সচেতনদের কাছে। গথ স্টাইলের চোকারগুলোতে কালোর প্রাধান্য বেশি সেটা কাপড়, মেটাল কিংবা স্টোন, যা দিয়েই তৈরি হোক না কেন। হাতের বুননে তৈরি এসব চোকার ডেস্ক টু ডিনার-যে কোনো সময়ের জন্য মানানসই। ওজনে পলকা নেকপিসগুলো মিনিম্যালিস্টিক লুকের জন্য পারফেক্ট অপশন এবং আভিজাত্য প্রকাশে অনবদ্য।
চোকার বাছাইয়ের সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেই বিশেষ কয়টি বিষয়, স্ট্যান্ডার্ড সাইজের চোকার ১৪ থেকে ১৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে কেনার আগে গলার মাপ নিলে ফিটিংয়ের ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়তে হয় না। লম্বা ও সরু গলায় অনেক ডিটেইল ডিজাইন এবং স্টোন দেওয়া চোকার ভালো মানায়। গলা চওড়া হলে সিম্পল চোকারই বেশি মানানসই। ওভাল আর হার্ট শেপের চেহারায় এ নেকপিসগুলো সুন্দর দেখায়। তবে চেহারা গোলগাল হলে চোকার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। পোশাকের সঙ্গেও এটি মানানসই থাকা জরুরি। হার্ট, স্কুপ, স্কয়ার, ভি-নেক, স্ট্র্যাপলেস আর অফ শোল্ডার গলার পোশাকের সঙ্গে চোকারের জম্পেশ জুটি হয়। ক্যাজুয়াল আর ফরমাল ওয়্যারের সঙ্গে সিম্পল স্ট্র্যান্ডের চোকার জুঁতসই। তবে গাউন বা পার্টিওয়্যারের সঙ্গে গল্গাস বিডস ক্রিস্টাল আর রত্নখচিত চোকার দারুণ লাগে দেখতে।
কোথায় ও কেমন দাম
বিভিন্ন শফিংমলে এখন সোনালি রঙা ব্রাসো, মেটাল, অ্যান্টিকের ছড়ানো লম্বা ও চোকার গহনা পাওয়া যাবে। জেমস, লা বেলা স্টুডিও, আরবান ট্রুথ এবং জেড গ্যালারিতেও পাবেন পাথর ও ধাতুর তৈরি ভারী নেকলেস। গাউসিয়া, চাঁদনীচক, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার, বেইলি স্টার শপিংমল থেকেও কিনতে পারেন সোনা, মেটাল, ব্রাসো, এথনিকসহ বিভিন্ন ধরনের চোকা ও ভারী গোল্ড প্লেটসহ লম্বা ধরনের গহনা।
প্লেইন চোকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ডিজাইনের চোকার ৩০০-১৫৫০ টাকা। মেটালের ট্র্যাডিশনাল ভারী গলার গহনা ৪০০-১ হাজার ৫০০ টাকা, মেটালের ছড়ানো লম্বা নেকলেস ৪৫০-১ হাজার ২০০, স্টোন বসানো ইমিটেশনের ২০০-৪ হাজার, গোল্ড পেল্গটেড ১ হাজার ৫০০-১৫ হাজার, কপার ১ হাজার-৩ হাজার, এথনিক ৪০০-৮০০ টাকা।
হাল ফ্যাশনে স্বর্ণের পাশাপাশি গোল্ড প্লেটেড, মেটাল, স্টোন, পুঁতির তৈরি বিভিন্ন ধরনের গহনার জনপ্রিয়তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ট্রেন্ড।
ভারী, লম্বা ও গোলাকার রঙিন নেকলেস এখনকার ফ্যাশন ট্রেন্ডে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গোল্ড প্লেটেড, তামা, অ্যান্টিক, পিতল, পার্ল, ব্রাসো নানা উপাদানে তৈরি করা হচ্ছে এ সময়ের গলার গহনাগুলো। বোল্ড, চাংকি, চোকার, বিব, কলার, এথনিক, লহরি চিক, বোহেমিয়ান বা হিপ্পি ধাঁচের দু-তিন ছড়ার নেকলেস নানা নামে ও ডিজাইনে গলার গহনাগুলো এখন ফুটিয়ে তুলছে স্টাইলিশ লুক।
রঙের ক্ষেত্রে তামা, গোল্ডেন, অক্সিডাইজড, সাদা, অফ হোয়াইট, বটল গ্রিন, মেরিগোল্ডসহ বিভিন্ন রঙের পাওয়া যাচ্ছে।
মেটাল ও অ্যান্টিকের লম্বা গহনাগুলোর ডিজাইনে ফুটে উঠেছে নান্দনিকতা। ফুল, পাতা, কলকা, পয়সা, জ্যামিতিকসহ নানা নকশা ব্যবহার হয়েছে। এগুলো চাইলে সোনা দিয়েও তৈরি করতে পারেন। এথনিক গহনাগুলো অক্সিডাইজড রঙের। ছড়ানো এবং ভারী এক থেকে তিন ছড়ায় তৈরি হচ্ছে এই গহনাগুলো। এগুলো দেখতে ভারী, তবে ওজনে হালকা। ভারী গলার হার আর নেকলেসগুলোর কোনোটিতে ফুটে উঠছে ট্রাইবাল লুকও।
বিশেষ করে তরুণীদের প্রিয় টপস কিংবা গাউনের সঙ্গী এখন রঙবেরঙের, আকৃতিতে বড় ও বাহারি নকশার নেকলেস। ছিমছাম পোশাকের সঙ্গে কিংবা সাদামাটা পোশাকের সঙ্গে একটি নেকলস কিংবা দুই-তিন ছড়ার চিকই আপনাকে করে তুলবে রঙিন। একসময় কানে বড় গহনা পরলে গলার গহনা হতো তার উল্টোটি। এখনকার গলার গহনাগুলো বদলে দিয়েছে এই ফ্যাশন ট্রেন্ড। এখন শুধু একটি গলার গহনাই যথেষ্ট। এর সঙ্গে কানে দুল না পরলেও ভালো লাগে।
চোকারে নানা ধরন
চোকারের জনপ্রিয় কয়েকটি ধরনই এসেছে বর্তমান ট্রেন্ডে। যার মধ্যে নানা রঙের তামা, পিতল আর ব্রাসের মতো মেটালে তৈরি বেসিক পেল্গইন চোকারগুলো বেশি চলছে। মূলত মেটালের সিঙ্গেল ব্যান্ড, ট্যাটু কিংবা সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয় এবং কোনোটা ভেলভেটের চিকন স্ট্রিং কিংবা রিবনে তৈরি করা হয় ফ্যাব্রিকের পেল্গইন চোকার। এ জন্য যে কোনো ধরনের গলায় খুব সহজেই তা বসে যায়। দেখতে সাধারণ হলেও সাজকে অভিজাত করে তুলে এ গহনাটি। এ ছাড়া মিক্সড আপ চোকারে থাকে কাপড়, লেদার অথবা মেটালের মিশ্রণ। কখনও সিঙ্গেল স্ট্যান্ড ফ্যাব্রিকের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় মেটালের চেইন, সঙ্গে থাকে পার্ল কিংবা টারসেলের এমবেলিশমেন্ট। কখনও লেদার স্ট্র্যাপে জুড়ে দেওয়া হয় মেটাল কিংবা স্টোন। সনাতনী ভাবনার সঙ্গে আধুনিকতার জুতসই ফুটে ওঠে ভিনটেজ স্টাইল চোকারগুলোতে। ফেদার, পার্ল, শামুকের সঙ্গে লেস দিয়ে তৈরি চোকারগুলো বেশ জনপ্রিয়। আবার নিউএজ বোহেমিয়ান স্টাইল চোকারের কদর রয়েছে ফ্যাশন-সচেতনদের কাছে। গথ স্টাইলের চোকারগুলোতে কালোর প্রাধান্য বেশি সেটা কাপড়, মেটাল কিংবা স্টোন, যা দিয়েই তৈরি হোক না কেন। হাতের বুননে তৈরি এসব চোকার ডেস্ক টু ডিনার-যে কোনো সময়ের জন্য মানানসই। ওজনে পলকা নেকপিসগুলো মিনিম্যালিস্টিক লুকের জন্য পারফেক্ট অপশন এবং আভিজাত্য প্রকাশে অনবদ্য।
চোকার বাছাইয়ের সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেই বিশেষ কয়টি বিষয়, স্ট্যান্ডার্ড সাইজের চোকার ১৪ থেকে ১৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে কেনার আগে গলার মাপ নিলে ফিটিংয়ের ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়তে হয় না। লম্বা ও সরু গলায় অনেক ডিটেইল ডিজাইন এবং স্টোন দেওয়া চোকার ভালো মানায়। গলা চওড়া হলে সিম্পল চোকারই বেশি মানানসই। ওভাল আর হার্ট শেপের চেহারায় এ নেকপিসগুলো সুন্দর দেখায়। তবে চেহারা গোলগাল হলে চোকার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। পোশাকের সঙ্গেও এটি মানানসই থাকা জরুরি। হার্ট, স্কুপ, স্কয়ার, ভি-নেক, স্ট্র্যাপলেস আর অফ শোল্ডার গলার পোশাকের সঙ্গে চোকারের জম্পেশ জুটি হয়। ক্যাজুয়াল আর ফরমাল ওয়্যারের সঙ্গে সিম্পল স্ট্র্যান্ডের চোকার জুঁতসই। তবে গাউন বা পার্টিওয়্যারের সঙ্গে গল্গাস বিডস ক্রিস্টাল আর রত্নখচিত চোকার দারুণ লাগে দেখতে।
কোথায় ও কেমন দাম
বিভিন্ন শফিংমলে এখন সোনালি রঙা ব্রাসো, মেটাল, অ্যান্টিকের ছড়ানো লম্বা ও চোকার গহনা পাওয়া যাবে। জেমস, লা বেলা স্টুডিও, আরবান ট্রুথ এবং জেড গ্যালারিতেও পাবেন পাথর ও ধাতুর তৈরি ভারী নেকলেস। গাউসিয়া, চাঁদনীচক, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার, বেইলি স্টার শপিংমল থেকেও কিনতে পারেন সোনা, মেটাল, ব্রাসো, এথনিকসহ বিভিন্ন ধরনের চোকা ও ভারী গোল্ড প্লেটসহ লম্বা ধরনের গহনা।
প্লেইন চোকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ডিজাইনের চোকার ৩০০-১৫৫০ টাকা। মেটালের ট্র্যাডিশনাল ভারী গলার গহনা ৪০০-১ হাজার ৫০০ টাকা, মেটালের ছড়ানো লম্বা নেকলেস ৪৫০-১ হাজার ২০০, স্টোন বসানো ইমিটেশনের ২০০-৪ হাজার, গোল্ড পেল্গটেড ১ হাজার ৫০০-১৫ হাজার, কপার ১ হাজার-৩ হাজার, এথনিক ৪০০-৮০০ টাকা।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়