কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা.
সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যেই হবে
মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই নির্বাচনে কে জিতবেন আর কে হারবেন সেটা নিয়ে আছে
নানা হিসাব-নিকাশ।
তবে দুই দলের সমর্থকরা মনে করছেন নির্বাচনের আগেই এই দুই প্রার্থী এ নির্বাচনের মাধ্যমে লাভবান হয়ে গেছেন। দুইজনই নিজ নিজ দলীয় প্রধানের আরও বেশি আস্থাভাজন হয়েছেন। কেউ নির্বাচনের আগমুহূর্তে দলীয় পদ পেয়েছেন, কারও ক্ষেত্রে দলীয় পদ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আইভীর পক্ষের একাধিক নেতা বলেছেন, গত নির্বাচনে আইভী প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এবারও তিনি একই ধরনের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে তারা আশা করছেন। তবে এবার নির্বাচনের আগেই তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাভবান হয়েছেন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়।
গত নির্বাচনের সময় আইভী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রায় তিন বছর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি হয়, আর এক বছর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না আইভী। তাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও তিনি যদি আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থেকে নির্বাচন করতেন তাহলে এ নিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে হেয় হতে হতো। বিষয়টি অসম্মানজনক হতো। তাই নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আগে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়। যেটি অত্যন্ত সম্মানজনক হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বিশেষ করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি যে আইভীর দিকে রয়েছে তা এই মনোনয়নের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় আইভীর গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আইভীর প্রতিপক্ষ এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দলীয় প্রার্থী করার চেষ্টা করেন। তৃণমূলের কেউ আইভীর পক্ষে প্রস্তাব করেননি। তবুও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আইভীকেই দলীয় মনোনয়ন দেন। আইভীর বিরুদ্ধে এমপি শামীম ওসমান ও তার সমর্থক নেতারা দলীয় সভানেত্রীর কাছে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরলেও দলীয় সভানেত্রী সেসবকে পাত্তা দেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমান তার এক সময়ের পিএস ও বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীলকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুরু থেকেই চন্দন শীলের বিপক্ষে ছিলেন ডা. আইভী, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, এমপি গাজী গোলাম দস্তগীরসহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা পরিষদের প্রার্থীর ব্যাপারে মতামত নেয়া হলে আইভীসহ শামীমবিরোধী নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেনের নাম সুপারিশ করেন। ফলে আনোয়ার হোসেনকে জেলা পরিষদে মনোনীত করা হয়। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটিকে উপমন্ত্রী মর্যাদা দেয়া হয়। এসব কিছু মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন এমপি শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে শামীম ওসমানের ভাবি পারভীন ওসমানের দাঁড়ানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি দাঁড়াননি।
ধারণা করা হয়, ওসমান পরিবারের এ কোণঠাসা অবস্থার কারণেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়াননি। ফলে নির্বাচনের আগেই আইভী নির্বাচনকে ঘিরে দলে বেশ লাভবান হয়েছেন বলে মনে করেন আইভী সমর্থক এই নেতারা।
একইভাবে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াতও নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকে ঘিরে লাভবান হয়েছেন বলে মনে করছেন নেতারা। এমনকি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও নির্বাচনকে ঘিরে তার এই ‘লাভ’ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, এ নির্বাচনে লাভ হয়েছে সাখাওয়াতের আর ক্ষতি হয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত নারায়ণগঞ্জ জেলা এমনকি মহানগর বিএনপিরও কোনো পদে ছিলেন না। তিনি একটি পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির তিনি দুইবার সভাপতি, দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাত খুনের ঘটনায় তার ভূমিকা আলোচিত থাকলেও দলের স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নেতাই তাকে চিনতেন না।
এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনকে দাঁড়াতে অনুরোধ করা হলেও তারা সম্মত হননি। শেষে নির্বাচনে বিএনপির কাণ্ডারী হয়ে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দলীয় সভানেত্রীর গুডবুকে চলে গেছেন। যে সাখাওয়াতকে এতদিন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় নেতাকর্মীরা চিনতেন না, সেই সাখাওয়াতকে এখন সারা দেশের বিএনপি নেতারা চিনেন।
তবে দুই দলের সমর্থকরা মনে করছেন নির্বাচনের আগেই এই দুই প্রার্থী এ নির্বাচনের মাধ্যমে লাভবান হয়ে গেছেন। দুইজনই নিজ নিজ দলীয় প্রধানের আরও বেশি আস্থাভাজন হয়েছেন। কেউ নির্বাচনের আগমুহূর্তে দলীয় পদ পেয়েছেন, কারও ক্ষেত্রে দলীয় পদ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আইভীর পক্ষের একাধিক নেতা বলেছেন, গত নির্বাচনে আইভী প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এবারও তিনি একই ধরনের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে তারা আশা করছেন। তবে এবার নির্বাচনের আগেই তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাভবান হয়েছেন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়।
গত নির্বাচনের সময় আইভী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রায় তিন বছর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি হয়, আর এক বছর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না আইভী। তাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও তিনি যদি আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থেকে নির্বাচন করতেন তাহলে এ নিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে হেয় হতে হতো। বিষয়টি অসম্মানজনক হতো। তাই নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আগে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়। যেটি অত্যন্ত সম্মানজনক হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বিশেষ করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি যে আইভীর দিকে রয়েছে তা এই মনোনয়নের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় আইভীর গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আইভীর প্রতিপক্ষ এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দলীয় প্রার্থী করার চেষ্টা করেন। তৃণমূলের কেউ আইভীর পক্ষে প্রস্তাব করেননি। তবুও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আইভীকেই দলীয় মনোনয়ন দেন। আইভীর বিরুদ্ধে এমপি শামীম ওসমান ও তার সমর্থক নেতারা দলীয় সভানেত্রীর কাছে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরলেও দলীয় সভানেত্রী সেসবকে পাত্তা দেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমান তার এক সময়ের পিএস ও বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীলকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুরু থেকেই চন্দন শীলের বিপক্ষে ছিলেন ডা. আইভী, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, এমপি গাজী গোলাম দস্তগীরসহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা পরিষদের প্রার্থীর ব্যাপারে মতামত নেয়া হলে আইভীসহ শামীমবিরোধী নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেনের নাম সুপারিশ করেন। ফলে আনোয়ার হোসেনকে জেলা পরিষদে মনোনীত করা হয়। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটিকে উপমন্ত্রী মর্যাদা দেয়া হয়। এসব কিছু মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন এমপি শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে শামীম ওসমানের ভাবি পারভীন ওসমানের দাঁড়ানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি দাঁড়াননি।
ধারণা করা হয়, ওসমান পরিবারের এ কোণঠাসা অবস্থার কারণেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়াননি। ফলে নির্বাচনের আগেই আইভী নির্বাচনকে ঘিরে দলে বেশ লাভবান হয়েছেন বলে মনে করেন আইভী সমর্থক এই নেতারা।
একইভাবে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াতও নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকে ঘিরে লাভবান হয়েছেন বলে মনে করছেন নেতারা। এমনকি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেও নির্বাচনকে ঘিরে তার এই ‘লাভ’ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, এ নির্বাচনে লাভ হয়েছে সাখাওয়াতের আর ক্ষতি হয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত নারায়ণগঞ্জ জেলা এমনকি মহানগর বিএনপিরও কোনো পদে ছিলেন না। তিনি একটি পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির তিনি দুইবার সভাপতি, দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাত খুনের ঘটনায় তার ভূমিকা আলোচিত থাকলেও দলের স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নেতাই তাকে চিনতেন না।
এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনকে দাঁড়াতে অনুরোধ করা হলেও তারা সম্মত হননি। শেষে নির্বাচনে বিএনপির কাণ্ডারী হয়ে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দলীয় সভানেত্রীর গুডবুকে চলে গেছেন। যে সাখাওয়াতকে এতদিন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় নেতাকর্মীরা চিনতেন না, সেই সাখাওয়াতকে এখন সারা দেশের বিএনপি নেতারা চিনেন।
--বিডিলাইভ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়