Wednesday, December 7

কী হবে জয়ললিতার বিপুল অর্থ-সম্পত্তির?

কী হবে জয়ললিতার বিপুল অর্থ-সম্পত্তির?

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা সোমবার রাতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। ভারতের এই মুখ্যমন্ত্রী মারা যাওয়ার আগে তার অর্থ-সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে কাউকে রেখে যাননি।

তার এই বিশাল পরিমাণের সম্পত্তির কী হবে- তা নিয়ে এরই মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। চেন্নাইয়ের পোয়েস গার্ডেনে ৮১ নম্বর আলিশান ‘বেদ নিলায়ম’ বাড়ির উত্তরাধিকার কে হবেন- এটি এখন সবার প্রশ্ন।

২৪ হাজার বর্গফুটের চোখ ধাঁধানো বেদা নিলায়ম জয়ললিতার প্রিয় বাঙলো। এর কোনো আইনি উত্তরাধিকার নেই। সম্পত্তিবিষয়ক অভিজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমান বাজার দরে এ বাঙলোর মূল্য ৯০ কোটি রুপি।

কাউকে উইল করে দিয়ে না গেলেও কে বা কারা তারা এ অর্থ-সম্পত্তি দাবি করতে পারেন, তাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। আলোচনায় যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে, তিনি হলেন শশীকালা নটরাজন। রাজনৈতিক সহচর হিসেবে তিনি জয়ললিতার সবচেয়ে ঘনিষ্ট। জয়ললিতার শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তিনি।

শশীকালা নামের এই নারীর সঙ্গে ১৯৮০-এর দশকে দেখা হয় জয়ললিতার। পরে জয়ললিতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জয়ার সঙ্গে পর্দার সামনে ও আড়ালে একান্ত সহচর ছিলেন শশীকালা। বেদা নিলায়ম বাঙলোয় থাকেন তিনিও। মঙ্গলবার জয়াকে সমাহিত  করে সোজা বেদা নিলায়মে ফেরেন তিনি। শশীকালা বাঙলোর মালিকানা দাবি করতে পারনে।

এ ছাড়া জয়ললিতার ভাইয়ের মেয়ে দীপা জয়কুমার ও ছেলে দীপক জয়কুমারও একই দাবি করতে পারেন। কিন্তু ন্যায্য প্রাপ্য কার? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হয়তো সময় লাগবে।

অথবা জয়ললিতার অর্থ-সম্পত্তি তার রাজনৈতিক গুরু এমজি রাজেন্দ্রনের রামাপুরামের বাড়ির মতো হতে পারে। ওই বাড়ি নিয়ে কয়েক দশক বাড়ির মালিকানা নিয়ে মামলা ঝুলছে আদালতে।

১৯৬৭ সালে ১ লাখ ১৫ হাজার রুপি দিয়ে জয়ার মা পোয়েস গার্ডেনের বাঙলোটি কেনেন। সেই সূত্রে জয়ার ভাইয়ের ছেলে-মেয়ে এর মালিকানার অংশ দাবি করতে পারেন। কারণ বাঙলোটি তাদের দাদির কেনা।

বাঙলো ছাড়া জয়ললিতার ব্যাংকে গচ্ছিত ও বিনিয়োগ মিলে আরো প্রায় ৮০ কোটি রুপি রয়েছে। জমি আছে ১৪ দশমিক ৫ একর। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর মিলে ১১৮ দশমিক ৫৮ কোটি রুপির মালিক ঘোষণা করেন নিজেকে।

এ ছাড়া ১০ কোটি ৬৩ লাখ রুপি বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। আরো আছে ১ হাজার ২৫০ কেজি রুপা, যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি রুপি।

এসব অর্থ-সম্পদের বাইরে আরো অর্থকড়ির মালিক ছিলেন জয়ললিতা। অবৈধ সহায়-সম্পত্তি লাভের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়, যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়