কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ঘটনাটি ঘটেছে ২১ নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া রেলগেইটে দিনের বেলায় ডিউটি
করছিলেন বেলাল। এ সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেন। রেল
লাইনের ওপর থাকা সব মানুষকে সরিয়ে দিতে ছুটাছুটি করছিলেন বেলাল। এর মধ্যে
একজন মানুষ হঠাৎ শুয়ে পড়েন রেললাইনে। তিনি মরে যেতে চান।
কিন্তু বেলাল তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টারত একজন মানুষকে টেনে তুলে বাঁচিয়েছেন। ঘটনাটি সব মিলিয়ে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যেতে পারতো তারও। কিন্তু কী অদ্ভুত-এ নিয়ে কোনো চিন্তাও ছিল না বেলালের।
ভিডিওটি থেকে দেখা যায় রেল লাইনের ওপর থাকা সব মানুষকে সরিয়ে দিতে ছুটাছুটি করছিলেন বেলাল। এর মধ্যে একজন মানুষ হঠাৎ শুয়ে পড়েন রেললাইনে। কিন্তু চোখে পড়ে যায় বেলালের। তিনি ছুটে গিয়ে হ্যাঁচকা টানে মামুনকে নিয়ে গেলেন নিরাপদ দূরত্বে।
এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে ঝড়ের বেগে। ঘটনাটি পুরোটাই দেখা হয়ে গেছে। খুব বেশি সময় ছিল না। কিন্তু ছুটে গেলেন বেলাল।
বেলাল বলেন ‘ওই সময় বেশি হলে ২০-৩০ হাত দূরে ট্রেন। এসময় ফ্লাগ ধরলে কাম হবে না। এখন আমি কী করি, লোকটাকে আমি বাঁচামু এইটাই আমার উদ্দেশ্য, জীবনও যদি চলে যায় তাও আমি বাঁচামু।’
কিন্তু আপনার জীবনও তো ঝুঁকিতে ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল বলেন, ‘আমি দেখতাছি আমার সামনে একটা তাজা রক্ত চিরদিনের মতো শেষ হয়ে যাইতেছে। ফ্লাগ তুললাম, কিন্তু ওই সময় কি আর ট্রেন থামে? যদি দূরে থাকতো লাল ফ্লাগ তুললে থামতো, কিন্তু ৫০ হাজার লোক থাকলেও এই সময় থামে না। এই সময় আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। তারপর লোকটারে টান দিলাম। ট্রেইনটা আমার শরীর ঘেইষা বাইর হয়া গেলো।’
দেখতে দেখতে পাঁচটি দশক পার করে ফেলেছেন বেলাল। এক পুত্র আর তিন কন্যা সন্তানের জনক তিনি। ছেলে মোস্তার হোসেন মজুমদার এবার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েছেন। বড় মেয়ে জীবন্নাহার মজুমদার ঢাকার তিতুমীর কলেজে অনার্সে পড়ছেন। মেঝো মেয়ে নাজমুন্নাহার এবার এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ছোটো মেয়ে শামসুন্নাহার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী সাজেদা বেগম গৃহবধূ। সন্তান লালন পালন করার পাশাপাশি ঘর সামলান।
এই অবস্থায় অচেনা এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সন্তান বা স্ত্রীর কথা কি একবারও ভাবেননি বেলাল?
যে মানুষটিকে তিনি বাঁচালেন সেই মামুন কিন্তু বেলালের পুরোপুরি অচেনা ছিলেন। এত বড় ঝুঁকি নিলেন, তাকে অবশ্য চিনতেন না বেলাল।
মামুনকে কেবল ট্রেন লাইন থেকে সরিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি। রেলের সিগন্যাল কক্ষে তাকে নিয়ে বসিয়েছেন। এরপর মামুনের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের নম্বর বের করে তাকে কল করেছেন। ডেকে এনে সন্তানকে তার হাতে তুলে দিয়ে পরে ফিরেছেন।
কেবল পরিবার নয়, চেনা পরিচিতজনরাও তার এই কাজের প্রশংসা করে ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে বেলালকে। আপনিও তো মরে যেতে পারতেন এমন প্রশ্নে বেলাল বলেন, ‘আমার সামনে একটা মানুষ মরে যাচ্ছে, আমি কীভাবে সহ্য করি।’
মামুনকে উদ্ধার করার পর তিনি বলেন, ‘মাস্টার সাহেবের রুমে নিয়া গেছি। বাসায় ফোন দিয়েছি। তার মা আসছে, তারপর হাতে তুলে দিছি।’
মামুনের মাও বেলালের জন্য মন ভরে দোয়া করেছেন। মামুনের মা বলেন, আপনি আমার ছেলেটাকে বাঁচিয়ে দিলেন, আমি আপনার জন্য দোয়া করবো। চির কৃতজ্ঞ থাকবো।’
কিন্তু বেলাল তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টারত একজন মানুষকে টেনে তুলে বাঁচিয়েছেন। ঘটনাটি সব মিলিয়ে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যেতে পারতো তারও। কিন্তু কী অদ্ভুত-এ নিয়ে কোনো চিন্তাও ছিল না বেলালের।
ভিডিওটি থেকে দেখা যায় রেল লাইনের ওপর থাকা সব মানুষকে সরিয়ে দিতে ছুটাছুটি করছিলেন বেলাল। এর মধ্যে একজন মানুষ হঠাৎ শুয়ে পড়েন রেললাইনে। কিন্তু চোখে পড়ে যায় বেলালের। তিনি ছুটে গিয়ে হ্যাঁচকা টানে মামুনকে নিয়ে গেলেন নিরাপদ দূরত্বে।
এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে ঝড়ের বেগে। ঘটনাটি পুরোটাই দেখা হয়ে গেছে। খুব বেশি সময় ছিল না। কিন্তু ছুটে গেলেন বেলাল।
বেলাল বলেন ‘ওই সময় বেশি হলে ২০-৩০ হাত দূরে ট্রেন। এসময় ফ্লাগ ধরলে কাম হবে না। এখন আমি কী করি, লোকটাকে আমি বাঁচামু এইটাই আমার উদ্দেশ্য, জীবনও যদি চলে যায় তাও আমি বাঁচামু।’
কিন্তু আপনার জীবনও তো ঝুঁকিতে ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল বলেন, ‘আমি দেখতাছি আমার সামনে একটা তাজা রক্ত চিরদিনের মতো শেষ হয়ে যাইতেছে। ফ্লাগ তুললাম, কিন্তু ওই সময় কি আর ট্রেন থামে? যদি দূরে থাকতো লাল ফ্লাগ তুললে থামতো, কিন্তু ৫০ হাজার লোক থাকলেও এই সময় থামে না। এই সময় আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। তারপর লোকটারে টান দিলাম। ট্রেইনটা আমার শরীর ঘেইষা বাইর হয়া গেলো।’
দেখতে দেখতে পাঁচটি দশক পার করে ফেলেছেন বেলাল। এক পুত্র আর তিন কন্যা সন্তানের জনক তিনি। ছেলে মোস্তার হোসেন মজুমদার এবার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েছেন। বড় মেয়ে জীবন্নাহার মজুমদার ঢাকার তিতুমীর কলেজে অনার্সে পড়ছেন। মেঝো মেয়ে নাজমুন্নাহার এবার এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ছোটো মেয়ে শামসুন্নাহার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী সাজেদা বেগম গৃহবধূ। সন্তান লালন পালন করার পাশাপাশি ঘর সামলান।
এই অবস্থায় অচেনা এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সন্তান বা স্ত্রীর কথা কি একবারও ভাবেননি বেলাল?
যে মানুষটিকে তিনি বাঁচালেন সেই মামুন কিন্তু বেলালের পুরোপুরি অচেনা ছিলেন। এত বড় ঝুঁকি নিলেন, তাকে অবশ্য চিনতেন না বেলাল।
মামুনকে কেবল ট্রেন লাইন থেকে সরিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি। রেলের সিগন্যাল কক্ষে তাকে নিয়ে বসিয়েছেন। এরপর মামুনের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের নম্বর বের করে তাকে কল করেছেন। ডেকে এনে সন্তানকে তার হাতে তুলে দিয়ে পরে ফিরেছেন।
কেবল পরিবার নয়, চেনা পরিচিতজনরাও তার এই কাজের প্রশংসা করে ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে বেলালকে। আপনিও তো মরে যেতে পারতেন এমন প্রশ্নে বেলাল বলেন, ‘আমার সামনে একটা মানুষ মরে যাচ্ছে, আমি কীভাবে সহ্য করি।’
মামুনকে উদ্ধার করার পর তিনি বলেন, ‘মাস্টার সাহেবের রুমে নিয়া গেছি। বাসায় ফোন দিয়েছি। তার মা আসছে, তারপর হাতে তুলে দিছি।’
মামুনের মাও বেলালের জন্য মন ভরে দোয়া করেছেন। মামুনের মা বলেন, আপনি আমার ছেলেটাকে বাঁচিয়ে দিলেন, আমি আপনার জন্য দোয়া করবো। চির কৃতজ্ঞ থাকবো।’
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়