কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সোমবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা বরাবর নাফ নদীর মোহনাতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় রেহেনা আকতার (২৫) নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মংডু থানার বড় গওজবিল এলাকার মৌলভী সলিমের স্ত্রী তিনি।
রেহেনা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মগদের হাতে নির্যাতনের শিকার মংডুর বিভিন্ন গ্রামের ৩০-৩২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছিলেন। একটি নৌকায় করে রাতে নাফ নদী পার হতে গিয়ে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের আর্তচিৎকারে জেলেরা এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তবে বাকিরা কে কোথায় গেছে, কিছুই বলা যাচ্ছে না। নৌকায় তার মা, ভাবী এবং ভাইয়ের ২ শিশু সন্তান ছিল।
প্রাণ বাঁচাতে এসে নদীতে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেহেনা।
উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়া হ্নীলা নাটমুরা পাড়ার জেলে পল্লীর বাসিন্দা আশিষ ও সুমন্ত্র দাশ জানান, নদীর মাঝ পথ থেকে হঠাৎ নারী-শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে যাই আমরা। রাতের আবছা আঁধারে তেমন কিছুই দেখতে পায়নি। সামনে একজনকে পেয়ে নৌকায় তুলে নিয়েছিলাম। বাকিদের অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারিনি। বিজিপির ভয় থাকায় বেশি খোঁজ করাও সম্ভব হয়নি।
সকালে তারা নাফ নদীতে তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারণা, ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাদীমুরা গ্রামে অবস্থানরত কতিপয় রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের পারাপারে জড়িত।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে হ্নীলা এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর
সোমবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা বরাবর নাফ নদীর মোহনাতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় রেহেনা আকতার (২৫) নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মংডু থানার বড় গওজবিল এলাকার মৌলভী সলিমের স্ত্রী তিনি।
রেহেনা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মগদের হাতে নির্যাতনের শিকার মংডুর বিভিন্ন গ্রামের ৩০-৩২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছিলেন। একটি নৌকায় করে রাতে নাফ নদী পার হতে গিয়ে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের আর্তচিৎকারে জেলেরা এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তবে বাকিরা কে কোথায় গেছে, কিছুই বলা যাচ্ছে না। নৌকায় তার মা, ভাবী এবং ভাইয়ের ২ শিশু সন্তান ছিল।
প্রাণ বাঁচাতে এসে নদীতে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেহেনা।
উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়া হ্নীলা নাটমুরা পাড়ার জেলে পল্লীর বাসিন্দা আশিষ ও সুমন্ত্র দাশ জানান, নদীর মাঝ পথ থেকে হঠাৎ নারী-শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে যাই আমরা। রাতের আবছা আঁধারে তেমন কিছুই দেখতে পায়নি। সামনে একজনকে পেয়ে নৌকায় তুলে নিয়েছিলাম। বাকিদের অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারিনি। বিজিপির ভয় থাকায় বেশি খোঁজ করাও সম্ভব হয়নি।
সকালে তারা নাফ নদীতে তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারণা, ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাদীমুরা গ্রামে অবস্থানরত কতিপয় রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের পারাপারে জড়িত।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে হ্নীলা এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়