নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট সাব-রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা সাব-রেজিস্টার মীর হাসানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সময় মতো তিনি অফিসে না আসার কারনে সাব-রেজিস্টার অফিসে দলিল করতে আসা দলিল গ্রহীতা ও বিক্রেতারা চরম ভোগান্তির স্বীকার হন। এছাড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রারের জন্য সরকারী ব্যাংকে পে-অর্ডার চালান দেওয়ার পরও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় দলিল গ্রহীতাদের। সাব-রেজিস্টার মীর হাসান অফিসে সঠিক সময়ে আসেন না এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। রবিবার উপজেলার দূর দূরান্ত থেকে আসা দলিল ক্রেতা ও বিক্রেতা দলিল সম্পাদন করার জন্য সাব-রেজিস্টার অফিসে আসলেও বিকেল ২টা পর্যন্ত অফিসে উপস্থিত হননি। অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। উক্ত অফিসের অফিস সহকারী বিধু ভূষন চৌধুরী একবার বলেন স্যার অফিসের কাজে সিলেটে আছেন, আবার বলেন স্যার বাসা থেকে অফিসে আসার পথে রয়েছেন। দূর দূরান্ত থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গনে নারী পুরুষদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এসময় দলিল ক্রেতা ও বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা সকালবেলা অফিস টাইমে দলিল সম্পাদনা করার জন্য আসলেও ২টা বেজে যাচ্ছে কিন্তু সাব রেজিষ্ট্রার সাহেব অফিসে আসছেন না। এছাড়া সপ্তাহে ছুটি ব্যাতীত ৫ দিন সাব-রেজিস্টার মীর হাসান অফিস করার কথা থাকলেও তিনি রবি ও সোম মঙ্গলবার অফিস করেন। অন্যান্য দিন অফিস না করে ঢাকার বাসায় থাকেন তিনি। তিন দিন অফিস করলেও তিনি কোনদিন দুপুর ১২টা, আবার ১টার দিকে অফিসে আসেন। অফিসে আসার পর দলিল সম্পাদনের কাজে গুরুত্ব না দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে অথবা তার স্টাফদের নিয়ে গল্প-গুজবে মেথে থাকেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া তিনি সামান্য ভুল হলে ভূমির কাগজপত্র ছিঁড়ে ও ছুড়ে ফেলে দেন। প্রায় সময় দলিল লিখক এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে রূঢ় আচরন করে থাকেন। সম্প্রতি কানাইঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসেনের ভূমির কাগজপত্র অফিসে ছিড়ে ফেলেন সাব-রেজিষ্ট্রার। নন্দিরাই গ্রামের মাসুদ আহমদের সাথে রূঢ় আচরন করেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের দলিল সম্পাদন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগও দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় তিনি ভূমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে দুরব্যবহার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে থাকেন। এ নিয়ে প্রায়ই সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটির ঘটনা লেগে থাকে। এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্টার মীর হাসানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে বিকেল অনুমান আড়াইটার দিকে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান, সঠিক ভাবে দলিল সম্পাদন করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় সঠিক সিন্ধান্ত নেওয়ার কারনে তার উপর অনেকের ক্ষোভ থাকতে পারে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়