কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১
সালের ডিসেম্বর মাসের প্রতিটি দিন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের
ইতিহাসে পরাধীনতার গ্লানি মুছে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্নপ্রকাশের মাস এই
ডিসেম্বর। এ মাসের শুরু থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে একে একে দেশের
বিভিন্ন জেলা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসতে থাকে।
ভারত সরকারের স্বীকৃতি দেওয়ার পরের দিন ৭ ডিসেম্বর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান। অন্যদিকে, ভারতকে অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো ধরনের বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভ।
৭ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় বাহিনী সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দর শালুটিকরে চারদিক থেকে পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালায়। মিত্রবাহিনীর আক্রমণে দুপুরের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। এমনকি পালানোর সময় পাকিস্তানি বাহিনী বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, রেশন এবং কন্ট্রোল রুমের সামরিক মানচিত্রও ফেলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় যশোরের কেশবপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও মধুপুর।
এদিন নোয়াখালীর মাইজদী পিটিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয় যৌথ বাহিনী। বিকেলের দিকে মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে বগুড়া-রংপুর সড়কের করতোয়া সেতু। আত্মসমর্পণ করে সেখানে থাকা রাজাকার ও আলবদর। এদিন ভারতীয় বেতার কেন্দ্র থেকে হিন্দি, উর্দু ও পশতু ভাষায় বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান ভারতের জেনারেল মানেকশ।
রাত ১০টায় আকাশবাণী থেকে তিনি বলেন, ‘তোমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য তোমাদের ঘিরে রেখেছে। তোমরা যে নিষ্ঠুর আচরণ করেছ, তারা তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই তোমরা আত্মসমর্পণ কর।’
ভারত সরকারের স্বীকৃতি দেওয়ার পরের দিন ৭ ডিসেম্বর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান। অন্যদিকে, ভারতকে অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো ধরনের বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভ।
৭ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় বাহিনী সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দর শালুটিকরে চারদিক থেকে পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালায়। মিত্রবাহিনীর আক্রমণে দুপুরের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। এমনকি পালানোর সময় পাকিস্তানি বাহিনী বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, রেশন এবং কন্ট্রোল রুমের সামরিক মানচিত্রও ফেলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় যশোরের কেশবপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও মধুপুর।
এদিন নোয়াখালীর মাইজদী পিটিআইয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয় যৌথ বাহিনী। বিকেলের দিকে মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে বগুড়া-রংপুর সড়কের করতোয়া সেতু। আত্মসমর্পণ করে সেখানে থাকা রাজাকার ও আলবদর। এদিন ভারতীয় বেতার কেন্দ্র থেকে হিন্দি, উর্দু ও পশতু ভাষায় বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান ভারতের জেনারেল মানেকশ।
রাত ১০টায় আকাশবাণী থেকে তিনি বলেন, ‘তোমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য তোমাদের ঘিরে রেখেছে। তোমরা যে নিষ্ঠুর আচরণ করেছ, তারা তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই তোমরা আত্মসমর্পণ কর।’
খবর বিভাগঃ
মুক্তিযুদ্ধ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়