কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তরা ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জন অবৈধ অস্ত্র
ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় তাদের
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রুবেল শেখ (২৪), মো. সোহেল
মোল্লা (২৪), মো. বাহেস শেখ (৩২), আব্বাস মিয়া (২৫) এবং মো. আরিফুল ইসলাম
আরিফ ওরফে পানি আরিফ (২৫)। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি নতুন বিদেশী পিস্তল
৭.৬৫ মিলিমিটার, ৩৮ রাউন্ড তাজা গুলি, আটটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাওরান বাজারের বিএসইসি ভবনের দশম তলায় অবস্থিত র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।
র্যাব জানায়, গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় আশুলিয়ায় ল্যান্ডিং পয়েন্টে একটি চেকপোষ্টে সন্দেহভাজন ট্রাক ও পিক্যাপ তল্লাশি করা হয়। চেকপোষ্টে তল্লাশির সময়ে একটি নীল রংয়ের পিক্যাপ(ঢাকা মেট্রো ন-১৮৭৯১৬) চেকপোষ্টের তল্লাশি অমান্য করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তখন র্যাবের গাড়ি তাদের ধাওয়া করে আবদুল্লাহপুরের খন্দকার পেট্রোল পাম্পের কাছে গাড়িটিকে থামানো হয়। তখন গাড়ির ভিতর থেকে রুবেল, সোহেল ও বাহেসকে আটক করা হয়েছে।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি নতুন বিদেশী পিস্তল ৭.৬৫ মিলিমিটার, ৩৮ রাউন্ড তাজা গুলি, আটটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এই চালানটি উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনে তারেক আহমেদ অনিক এবং তার সহযোগি আব্বাস মিয়ার কাছে হস্তান্তর করার কথা। গ্রেপ্তারকৃত এই তিনজনকে নিয়ে র্যাব উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্বাস মিয়া ও তার সহযোগি পানি আরিফকে গ্রেপ্তার করেন।
তাদের কাছ থেকে একটি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত চালানের মূল নায়ক তারেক আহমেদ অনিক এবং তার অন্যতম সহযোগি বাদশা পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তারকৃত পানি আরিফের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অস্ত্র চালানের মূল পলাতক অনিক উত্তর বাড্ডার জিএম বাড়ির স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। সে ঢাকার মানারত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এবং পেশায় একজন ডিজে (ডিস্কোজকি)। এই পেশায় জড়ানোর পরে সে মাদক ও বিভিন্ন নারীর সান্নিধ্যে আসে। মাদকাসক্ত হওয়ার পরে সে নিজেই মাদক ব্যবসা শুরু করে।
অল্প সময়ের মধ্যে সে বাড্ডা এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা আয় করে। এক পর্যায়ে মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা শুরু করে। এই অবৈধ অস্ত্র কেনার কারণে তার সাথে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পরিচয় ঘটে।
ধীরে ধীরে অবৈধ মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ও জাড়িয়ে পড়ে এবং ঢাকাসহ আশে পাশের এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকে। তার অন্যতম সহযোগি পলাতক বাদশা পেশায় নামমাত্র ইলেকট্রিশিয়ান হলেও মূলত সে অনিকের অবৈধ অস্ত্রের চালান সংগ্রহ এবং ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত। পলাতক বাদশা অবৈধ অস্ত্রের চালানগুলো সংগ্রহ করে পানি আরিফের বাসায় লুকিয়ে রাখত। আর পানি আরিফ মূলত অনিকের পানির ব্যবসার কাজে নিয়োজিত ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল পেশায় একজন গাড়ি চালক, কিন্তু সে দুই তিন বছর ধরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সে রাজশাহীর প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করত। এ কাজে তার সহযোগি ছিল সোহেল মোল্লা ও বাহেস শেখ। তারা তাদের মহাজনদের খালি পিক্যাপভ্যান রাজশাহী নিয়ে যেত এবং সেখান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকাসহ আশে পাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। বিভিন্ন সময়ে গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় নিত্য নতুন উপায়ে লুকিয়ে এই অস্ত্রগুলো তারা দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- র্যাব-১ লে. কমান্ডার শোয়াইব ও অপারেশর অফিসার মুহিত কবির সেরনিয়াবাত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাওরান বাজারের বিএসইসি ভবনের দশম তলায় অবস্থিত র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।
র্যাব জানায়, গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় আশুলিয়ায় ল্যান্ডিং পয়েন্টে একটি চেকপোষ্টে সন্দেহভাজন ট্রাক ও পিক্যাপ তল্লাশি করা হয়। চেকপোষ্টে তল্লাশির সময়ে একটি নীল রংয়ের পিক্যাপ(ঢাকা মেট্রো ন-১৮৭৯১৬) চেকপোষ্টের তল্লাশি অমান্য করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তখন র্যাবের গাড়ি তাদের ধাওয়া করে আবদুল্লাহপুরের খন্দকার পেট্রোল পাম্পের কাছে গাড়িটিকে থামানো হয়। তখন গাড়ির ভিতর থেকে রুবেল, সোহেল ও বাহেসকে আটক করা হয়েছে।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি নতুন বিদেশী পিস্তল ৭.৬৫ মিলিমিটার, ৩৮ রাউন্ড তাজা গুলি, আটটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এই চালানটি উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনে তারেক আহমেদ অনিক এবং তার সহযোগি আব্বাস মিয়ার কাছে হস্তান্তর করার কথা। গ্রেপ্তারকৃত এই তিনজনকে নিয়ে র্যাব উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্বাস মিয়া ও তার সহযোগি পানি আরিফকে গ্রেপ্তার করেন।
তাদের কাছ থেকে একটি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত চালানের মূল নায়ক তারেক আহমেদ অনিক এবং তার অন্যতম সহযোগি বাদশা পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তারকৃত পানি আরিফের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অস্ত্র চালানের মূল পলাতক অনিক উত্তর বাড্ডার জিএম বাড়ির স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। সে ঢাকার মানারত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এবং পেশায় একজন ডিজে (ডিস্কোজকি)। এই পেশায় জড়ানোর পরে সে মাদক ও বিভিন্ন নারীর সান্নিধ্যে আসে। মাদকাসক্ত হওয়ার পরে সে নিজেই মাদক ব্যবসা শুরু করে।
অল্প সময়ের মধ্যে সে বাড্ডা এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা আয় করে। এক পর্যায়ে মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা শুরু করে। এই অবৈধ অস্ত্র কেনার কারণে তার সাথে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পরিচয় ঘটে।
ধীরে ধীরে অবৈধ মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ও জাড়িয়ে পড়ে এবং ঢাকাসহ আশে পাশের এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকে। তার অন্যতম সহযোগি পলাতক বাদশা পেশায় নামমাত্র ইলেকট্রিশিয়ান হলেও মূলত সে অনিকের অবৈধ অস্ত্রের চালান সংগ্রহ এবং ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত। পলাতক বাদশা অবৈধ অস্ত্রের চালানগুলো সংগ্রহ করে পানি আরিফের বাসায় লুকিয়ে রাখত। আর পানি আরিফ মূলত অনিকের পানির ব্যবসার কাজে নিয়োজিত ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল পেশায় একজন গাড়ি চালক, কিন্তু সে দুই তিন বছর ধরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সে রাজশাহীর প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করত। এ কাজে তার সহযোগি ছিল সোহেল মোল্লা ও বাহেস শেখ। তারা তাদের মহাজনদের খালি পিক্যাপভ্যান রাজশাহী নিয়ে যেত এবং সেখান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকাসহ আশে পাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। বিভিন্ন সময়ে গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় নিত্য নতুন উপায়ে লুকিয়ে এই অস্ত্রগুলো তারা দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- র্যাব-১ লে. কমান্ডার শোয়াইব ও অপারেশর অফিসার মুহিত কবির সেরনিয়াবাত।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়