কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ক্যান্সারে ভুগে যখন স্বামী মারা গেলেন, হঠাৎ এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি
হলেন তনুজা রহমান মায়া। দুটি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে। কী করবেন, কোথায় যাবেন,
কীভাবে সংসার চালাবেন। কিন্তু কারও ওপর নির্ভর না করে নিজের পায়ে
দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আগে শখের বশে হস্তশিল্পের কাজ করতেন,
সেটাকেই ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টায় নামলেন। তার হস্তশিল্পের
কারখানায় এখন কাজ করেন দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক।
বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানমালা 'শত নারী'তে তার জীবন সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন তিনি:
"১৯৯৮ সালে আমার স্বামী মারা যান ক্যান্সারে। তখন আমার দুটি বাচ্চাই ছোট। তখন এদের নিয়ে কোথায় যাব, কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। ভাইবোন ছিল। তাদের কাছে যেতে পারতাম। আমার আসলে কারও দয়ায় বাঁচতে ইচ্ছে করলো না। তখন থেকেই কাজ শুরু করি।
শখের বশে হাতের কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। কিন্তু যখন এটি আমার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ালো তখন পুরোপুরি এ কাজেই নেমে পড়ি। বাসায় বসেই নিজের আত্মীয়-স্বজন পরিচিত জনদের কাছে বিক্রি করতাম।
মেয়েদের জন্য আসলে কোন কাজই সহজ নয়। এখন দেশ অনেক এগিয়েছে। এখন অনেকের সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু সেই সময়, শুরুর সময়, তখন কিন্তু কোন সহযোগিতা ছিল না। পারিবারিকভাবেও সহযোগিতা পাইনি।
আমি পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করি ২০০০ সালে। দোকান দিলাম, ট্রেড লাইসেন্স নিলাম, কারখানা খুললাম। মানে একটা বিজনেস করতে যা যা লাগে। সেটা আমি ২০০০ সালেই শুরু করলাম।
তখন সবাই সহজভাবে নিত না। আমার বাড়ির লোকজনও না। আমার প্রতিবেশিরাও না, আত্মীয়-স্বজনরাও না। সারাদিন বাইরে কাজ করি, সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়াই। তাদের ধারণা ছিল বাউন্ডুলে টাইপের হয়ে গেছি।
তারপর যখন গ্রামের মেয়েদের কাজ শেখাতে যেতাম, তাদের স্বামীরাও মেনে নিত না। আমার সামনেই অনেক সময় ওদেরকে মারধোর করতো। আমার সামনেই মুখের ওপর বলতো, আর আসবেন না।
কতদিন নিজেরই মনে হয়েছে, এসব আর করবো না।
এখন তো সবাই গর্ব করে। সামনে অনেক ভালো কথা বলে। আমার সাফল্য নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু একটা সময় একরকম একঘরেই ছিলাম।
আমি এসব কথা শুনতাম না। কারও কথা শুনতাম না বলে নিজেই কারও কাছে যেতাম না, কারও সাথে মিশতাম না।
কিন্তু এখন আমার বন্ধুরা সবাই ফিরে এসেছে, আত্মীয়-স্বজনরা ফিরে এসেছে। এখন আমি অনেক ভালো একটা পজিশনে। আমাকে নিয়ে তারা এখন গর্ব করে।
তখন আমার বাচ্চারা ছিল ছোট। অনেকে মনে করতো আমি আমার বাচ্চাদের বড় করতে পারবো না। কিন্তু এই কাজ করেই তো আমি আমার বাচ্চাদের মানুষ করেছি।
আমার ছেলে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছে। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এখন আইবিএ থেকে এমবিএ করছে। আমার মেয়ে ঢাকা সিটি কলেজে বিবিএ পড়ছে। আমি আসলে এই কাজ করেই কিন্তু আমার মেয়েদের এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।
আমি কাজ না করলে আমার বাচ্চাদের কতদূর নিতে পারতাম আমি জানি না। কিন্তু তখন আমাকে নিয়ে কথা হতো, আমি কাজ করি বলে আমার বাচ্চারা মানুষ হবে না।
এখন বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপারে বলেন, আমার কাজের ব্যাপারে বলেন, আমার পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে বলেন, সমাজে একটা গ্রহণযোগ্যতা এসেছে।
এখন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন, সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করেন। আমার উদাহরণ টানেন, আমাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন।"
বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানমালা 'শত নারী'তে তার জীবন সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন তিনি:
"১৯৯৮ সালে আমার স্বামী মারা যান ক্যান্সারে। তখন আমার দুটি বাচ্চাই ছোট। তখন এদের নিয়ে কোথায় যাব, কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। ভাইবোন ছিল। তাদের কাছে যেতে পারতাম। আমার আসলে কারও দয়ায় বাঁচতে ইচ্ছে করলো না। তখন থেকেই কাজ শুরু করি।
শখের বশে হাতের কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। কিন্তু যখন এটি আমার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ালো তখন পুরোপুরি এ কাজেই নেমে পড়ি। বাসায় বসেই নিজের আত্মীয়-স্বজন পরিচিত জনদের কাছে বিক্রি করতাম।
মেয়েদের জন্য আসলে কোন কাজই সহজ নয়। এখন দেশ অনেক এগিয়েছে। এখন অনেকের সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু সেই সময়, শুরুর সময়, তখন কিন্তু কোন সহযোগিতা ছিল না। পারিবারিকভাবেও সহযোগিতা পাইনি।
আমি পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করি ২০০০ সালে। দোকান দিলাম, ট্রেড লাইসেন্স নিলাম, কারখানা খুললাম। মানে একটা বিজনেস করতে যা যা লাগে। সেটা আমি ২০০০ সালেই শুরু করলাম।
তখন সবাই সহজভাবে নিত না। আমার বাড়ির লোকজনও না। আমার প্রতিবেশিরাও না, আত্মীয়-স্বজনরাও না। সারাদিন বাইরে কাজ করি, সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়াই। তাদের ধারণা ছিল বাউন্ডুলে টাইপের হয়ে গেছি।
তারপর যখন গ্রামের মেয়েদের কাজ শেখাতে যেতাম, তাদের স্বামীরাও মেনে নিত না। আমার সামনেই অনেক সময় ওদেরকে মারধোর করতো। আমার সামনেই মুখের ওপর বলতো, আর আসবেন না।
কতদিন নিজেরই মনে হয়েছে, এসব আর করবো না।
এখন তো সবাই গর্ব করে। সামনে অনেক ভালো কথা বলে। আমার সাফল্য নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু একটা সময় একরকম একঘরেই ছিলাম।
আমি এসব কথা শুনতাম না। কারও কথা শুনতাম না বলে নিজেই কারও কাছে যেতাম না, কারও সাথে মিশতাম না।
কিন্তু এখন আমার বন্ধুরা সবাই ফিরে এসেছে, আত্মীয়-স্বজনরা ফিরে এসেছে। এখন আমি অনেক ভালো একটা পজিশনে। আমাকে নিয়ে তারা এখন গর্ব করে।
তখন আমার বাচ্চারা ছিল ছোট। অনেকে মনে করতো আমি আমার বাচ্চাদের বড় করতে পারবো না। কিন্তু এই কাজ করেই তো আমি আমার বাচ্চাদের মানুষ করেছি।
আমার ছেলে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছে। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এখন আইবিএ থেকে এমবিএ করছে। আমার মেয়ে ঢাকা সিটি কলেজে বিবিএ পড়ছে। আমি আসলে এই কাজ করেই কিন্তু আমার মেয়েদের এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।
আমি কাজ না করলে আমার বাচ্চাদের কতদূর নিতে পারতাম আমি জানি না। কিন্তু তখন আমাকে নিয়ে কথা হতো, আমি কাজ করি বলে আমার বাচ্চারা মানুষ হবে না।
এখন বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপারে বলেন, আমার কাজের ব্যাপারে বলেন, আমার পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে বলেন, সমাজে একটা গ্রহণযোগ্যতা এসেছে।
এখন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন, সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করেন। আমার উদাহরণ টানেন, আমাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন।"
খবর বিভাগঃ
অন্যরকম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়