ফেরদৌস আল হাসান : জিডি কি? জিডি
শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি
ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে
পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।
ফৌযদারি কার্যবিধি মোতাবেক যে কেউ কোনো শঙ্কা, ভয় অথবা ভীতির ব্যাপারে তার
নিকটতম কোনো থানা বা পুলিশ ফাঁড়িতে রিপোর্ট করতে পারে।
এফআইআর ও জিডির মধ্যে পার্থক্য কি?
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করাকে এফআইআর বলা হয় আর ঘটনা এখনো ঘটে নি তবে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিষয়ে রিপোর্ট করাই হল জিডি।
কখন এবং কেন জিডি করবেন?
অনেক বিষয়ে জিডি করা যায়। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সচরাচার জিডি করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে যখন আপনার ভোটার আইডি, অফিসের পরিচয় পত্র, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, মোটর বাইক, গাড়ির লাইসেন্স বা অন্য কোনো কাগজপত্র হারিয়ে গেলে। এছাড়াও যখন অজ্ঞাতনামা কেউ আপনাকে উত্তক্ত করছে। বেনামি চিঠিতে আপনাকে হুমকি দিচ্ছে। মোটের উপর যখন অপরাধ ঘটেনি তবে ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তখনই আপনি পার্শ্ববর্তী কোনো থানায় গিয়ে ডিজি করুন।
জিডি করতে টাকা লাগে কি না?
অনেকে হয়ত ভেবে থাকে জিডি করতে টাকা লাগে। আবার অনেকে হয়ত না জানার কারণে জিডি করতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন কিন্ত জিডি করতে আদৌ কোনো টাকা লাগে না। বিনামূল্যে জিডি নিবন্ধন করা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এটা নাগরিক সেবাও বটে।
কিভাবে জিডি করবেন?
শুরুতে সাদা লিগাল সাইজের দুইটি সাদা পেজ নিন। পেজ দুইটির মাঝখানে একটি কার্বন কাগজ রাখুন। এরপর শুরু করুন এভাবে- ‘বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’। এরাপর সংশ্লিষ্ট থানার নাম ও ঠিকানা লিখুন। তারপর বিষয় লিখুন। বিষয়ে সাধারণত কোন বিষয়ে আপনি জিডি করতে চান সে বিষয় লিখতে হয়। তারপর ‘জনাব’ লিখে আপনার ঘটনার বর্ণনা শুরু করুন। শেষে গিয়ে নরমাল দরখাস্তের মতই ‘বিনীত নিবেদক’ লিখে শেষ করুন। লেখা শেষ হলে জিডির কপি দুইটি থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে দিন। তিনি স্বাক্ষর সিল দিয়ে জিডির একটি নম্বর দিবে। এরপর একটি কপি থানায় সংরক্ষণ করা হবে আর অন্য কপিটি আপনাকে দিয়ে দিবে।
ডিজিটাল জিডি করার পদ্ধতি:
পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এ জাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ই-মেইল: bangladesh@police.gov.bd ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮ অনলাইনে জিডি করার জন্য http://www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।
জিডির সাক্ষ্যগত মূল্য কতটুকু?
সাক্ষ্য আইন মোতাবেক জিডি একটি পাবলিক ডক্যুমেন্ট। জিডি আদালতে দাখিল করলে আদালত অরিজিনাল এবং জেনুইন ডক্যুমেন্ট হিসেবে ধরে নিতে বাধ্য। তাছাড়া আপনি যখন গাড়ির কাগজ পত্র হারিয়ে ফেলেছেন যতদিন নতুন করে কাগজ পত্র না পাচ্ণে ততদিন এই জিডির কপি আপনার লাইসেন্স হিসেবে কাজ করবে।
এফআইআর ও জিডির মধ্যে পার্থক্য কি?
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করাকে এফআইআর বলা হয় আর ঘটনা এখনো ঘটে নি তবে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিষয়ে রিপোর্ট করাই হল জিডি।
কখন এবং কেন জিডি করবেন?
অনেক বিষয়ে জিডি করা যায়। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সচরাচার জিডি করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে যখন আপনার ভোটার আইডি, অফিসের পরিচয় পত্র, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, মোটর বাইক, গাড়ির লাইসেন্স বা অন্য কোনো কাগজপত্র হারিয়ে গেলে। এছাড়াও যখন অজ্ঞাতনামা কেউ আপনাকে উত্তক্ত করছে। বেনামি চিঠিতে আপনাকে হুমকি দিচ্ছে। মোটের উপর যখন অপরাধ ঘটেনি তবে ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তখনই আপনি পার্শ্ববর্তী কোনো থানায় গিয়ে ডিজি করুন।
জিডি করতে টাকা লাগে কি না?
অনেকে হয়ত ভেবে থাকে জিডি করতে টাকা লাগে। আবার অনেকে হয়ত না জানার কারণে জিডি করতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন কিন্ত জিডি করতে আদৌ কোনো টাকা লাগে না। বিনামূল্যে জিডি নিবন্ধন করা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এটা নাগরিক সেবাও বটে।
কিভাবে জিডি করবেন?
শুরুতে সাদা লিগাল সাইজের দুইটি সাদা পেজ নিন। পেজ দুইটির মাঝখানে একটি কার্বন কাগজ রাখুন। এরপর শুরু করুন এভাবে- ‘বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’। এরাপর সংশ্লিষ্ট থানার নাম ও ঠিকানা লিখুন। তারপর বিষয় লিখুন। বিষয়ে সাধারণত কোন বিষয়ে আপনি জিডি করতে চান সে বিষয় লিখতে হয়। তারপর ‘জনাব’ লিখে আপনার ঘটনার বর্ণনা শুরু করুন। শেষে গিয়ে নরমাল দরখাস্তের মতই ‘বিনীত নিবেদক’ লিখে শেষ করুন। লেখা শেষ হলে জিডির কপি দুইটি থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে দিন। তিনি স্বাক্ষর সিল দিয়ে জিডির একটি নম্বর দিবে। এরপর একটি কপি থানায় সংরক্ষণ করা হবে আর অন্য কপিটি আপনাকে দিয়ে দিবে।
ডিজিটাল জিডি করার পদ্ধতি:
পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এ জাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ই-মেইল: bangladesh@police.gov.bd ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮ অনলাইনে জিডি করার জন্য http://www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।
জিডির সাক্ষ্যগত মূল্য কতটুকু?
সাক্ষ্য আইন মোতাবেক জিডি একটি পাবলিক ডক্যুমেন্ট। জিডি আদালতে দাখিল করলে আদালত অরিজিনাল এবং জেনুইন ডক্যুমেন্ট হিসেবে ধরে নিতে বাধ্য। তাছাড়া আপনি যখন গাড়ির কাগজ পত্র হারিয়ে ফেলেছেন যতদিন নতুন করে কাগজ পত্র না পাচ্ণে ততদিন এই জিডির কপি আপনার লাইসেন্স হিসেবে কাজ করবে।
--বিডিলাইভ২৪
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়