নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করা হলেও বাল্য বিবাহ চলছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন বাল্য বিবাহের সাথে জড়িতদের কোন ধরনের লঘু দন্ড না দেওয়া বাল্য বিবাহে উৎসাহিত হচ্ছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি কয়েকটি বাল্য বিবাহের পর গত শুক্রবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায় কানাইঘাট সদর ইউপির বীরদল আগফৌদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহাব উদ্দিনের কিশোরী মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রোকশানা বেগম (১৩) এর বাল্য বিবাহ একই উপজেলার ছত্রপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র প্রবাসী বাবুল আহমদের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
উক্ত বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে সদর ইউপির স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান শুক্রবার রোকশানা বেগমের বাড়ীতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে গেলে বাড়ীর লোকজন ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানকে বলেন, রোকশানার বিয়ের আখদ্ হচ্ছে, তার স্বামী প্রবাসে রয়েছে। দুই বছর পর স্বামীর বাড়ীতে তাকে পাঠানো হবে। ইউপি সদস্য রোকশানার বাড়ী থেকে চলে আসার পর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার স্বজনরা রোকশানা বেগমকে কনে সেজে প্রবাসী স্বামীর বাড়ীতে ধুমধামের মাধ্যমে পাঠায়। বর্তমানে স্বামীর বাড়ীতে কিশোরী রোকশানা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উক্ত বাল্য বিবাহের সাথে রোকশানার চাচা নিজাম উদ্দিন গ্রামের মাতব্বর সিরাজ উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, কিশোরী রোকশানা বেগমের বাল্য বিবাহের সংবাদ শুনে তিনি তার বাড়ীতে ছুটে যান এবং তার অভিভাবকদের বাল্য বিবাহ দিতে নিষেধ করেন। তারা জানায় রোকশানার আখদ্ হচ্ছে কিন্তু তাকে ঐদিন স্বামীর বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বাল্য বিবাহের বিষয়টি তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মামুন রশিদকে জানিয়েছেন। কোন ধরনের জন্ম সনদ ছাড়াই স্থানীয় একজন ইমামের মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ বাল্য বিবাহের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসী আহ্বান জানিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়