কানাইঘাট নিউজ
ডেস্ক:
ডোনাল্ড ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকদের ব্যাপক সমর্থনের কারণে ইলেকটোরাল
কলেেজ (সাধারণের ভোটে নয়) জিতে গেলেন, যে শ্রমিকেরা মনে করছিলেন,
পরিবর্তনশীল অর্থনীতি ও সমাজের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে তাঁরা পেছনে পড়ে
গেছেন। আর তাঁরা এর পুরস্কারও পেতে যাচ্ছেন, যে পুরস্কার ট্রাম্পের ওপর
আস্থা রেখে অন্য লোকেরা এত দিন পেয়েছেন, ট্রাম্পের ক্যারিয়ারজুড়েই এমনটা
দেখা গেছে। ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরুন না কেন।
হ্যাঁ, এই শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকশ্রেণি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে যাচ্ছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ট্রাম্প যে করপোরেট ও শ্রমিকবিরোধী ঘরানার মানুষদের বসাবেন বলে ঠিক করেছেন, তা থেকেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। বিশেষ করে গত সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে (লোকে এখন ট্রাম্পের টুইট দেখা বন্ধ করে দিয়েছে), ট্রাম্প টম প্রাইস নামের এক ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য ও মানবীয় সেবা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যিনি ওবামাকেয়ারবিরোধী ও স্বাস্থ্যসেবার বেসরকারীকরণের পক্ষের মানুষ। সম্ভবত এই সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে, অ্যাফর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্টের মৃত্যু অনিবার্য। আর যাঁরা ট্রাম্পের সবচেয়ে উৎসাহী সমর্থক ছিলেন, তাঁরাই এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রথমত, যে ব্যাপারটা আপনাকে বুঝতে হবে তা হলো, রিপাবলিকানরা যে ‘রিপিল অ্যান্ড রিপ্লেস’-এর (প্রত্যাহার ও প্রতিস্থাপন) কথা বলে, তা সব সময়ই প্রবঞ্চনা। রিপাবলিকান পার্টি ছয় বছর ধরে এই দাবি করেছে যে তারা যেকোনো দিন ওবামাকেয়ারের বিকল্প কিছু পেশ করল বলে। কিন্তু তারা যে সেটা দিতে পারেনি তার কারণ হচ্ছে, তারা স্রেফ এটা করতে পারেনি।
কিন্তু কথা হচ্ছে, নতুন যা-ই করা হোক না কেন, তা অনেকটা ওবামাকেয়ারের মতোই হবে। আর তা না হলে কোটি কোটি মানুষ বিমাবঞ্চিত হবে, যাদের এটা খুব বেশি করে দরকার। প্রাইসকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন এটা দেখতে প্রস্তুত যে কোটি কোটি মানুষ বিমার আওতার বাইরে চলে গিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্পের সমর্থক।
কথা হচ্ছে, ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির পরিসংখ্যান খেয়াল করলে দেখবেন, ওবামাকেয়ারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ফলাফল কেমন ছিল। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিমাহীন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ কমে গিয়েছিল। এঁরা ছিল শ্বেতাঙ্গ, যাঁদের কলেজ ডিগ্রি ছিল না, যাঁদের অর্ধেকই এবার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। এইমাত্র যে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের কথা বললাম, তাঁদের
মধ্যে ৮০ লাখই ছিলেন এঁরা। এই মানুষের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছেন, যাঁরা সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় এসেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে জীবনকে আরও কষ্টকর করে ফেললেন, তাঁদের জীবনের সুখ দূরীভূত হলো। এতে তাঁদের আয়ুও কমে যাবে।
তাঁরা কেন এটা করলেন? তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি, তাঁদের স্বাস্থ্যবিমা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণার সময় গণমাধ্যমও এ ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দেয়নি। অথবা এমনও হতে পারে, তাঁরা বিশ্বাস করেছিলেন, ট্রাম্প ওবামাকেয়ারের চেয়ে ভালো কিছু দেবেন।
যা হোক, খুব রূঢ় বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে তাঁদের বোধোদয় হবে। রিপাবলিকানরা যখন মেডিকেয়ার বন্ধ করার কাজ শুরু করবে, তখন ব্যাপারটা আরও খারাপ হবে, যদিও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি তেমন কিছু করবেন না। আর মানুষ যেটা ভাবছিল সেটা হবে না, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, কয়েক দশক ধরে যেগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়েছে। মূলত প্রাযুক্তিক কারণে এই কারখানাগুলো অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে, সরকারের আমদানি নীতির কারণে নয়। এগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে না।
ফলে রিপাবলিকানরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা জাল ছিঁড়ে ফেলবে, তখন শ্রমিকদের ক্ষতি পোষানোর উপায় আর থাকবে না। তখন কি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হবে? ক্রেতাদের অনুশোচনার মাত্রা তীব্র হবে? হয়তোবা। হ্যাঁ, ডেমোক্র্যাটদের এই উপদেশ দেওয়া যেতেই পারে, যাতে তাঁরা ট্রাম্পের এই বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি সব সময় প্রচার করেন। কিন্তু তিনি কোন কৌশলে নিজের
এই বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপকতা আড়াল করার চেষ্টা করবেন, সেটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এই সপ্তাহে আমরা একটি কৌশল দেখেছি। সম্প্রতি বেশ আড়ম্বরে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যারিয়ার কোম্পানির কাজ ধরে রাখার লক্ষ্যে চুক্তি হয়েছে। এটা হচ্ছে কিছু চকচকে ও তুচ্ছ জিনিস দিয়ে জাতির দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার কৌশল।
তবে ট্রাম্প এই ক্যারিয়ার কোম্পানিটির কাজের পক্ষে ‘দাঁড়াননি’, মনে হয়েছে, এটা অনেকটা ঘুষ সাধার মতো ব্যাপার। আর আমরা এই বিশাল দেশে কয়েক হাজার চাকরির কথা বলছি। প্রতি সপ্তাহে এই উল্লিখিত চুক্তির হারে যদি চাকরি সৃষ্টি হয়, তাহলে ওবামা অটো বেইল আউট দিয়ে যত মানুষের চাকরি বাঁচিয়েছিলেন, সেই পরিমাণ চাকরি সৃষ্টি করতে ট্রাম্পের ৩০ বছর লাগবে। আর ২০০০ সালের পর থেকে উৎপাদনশীল খাতে যত মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তা পূরণ করতে ট্রাম্পের এক শতাব্দীকাল লেগে যাবে।
ওই চুক্তির যে রকম প্রচারণা দেওয়া হয়েছে, তাতে এই বাজি ধরা খুব একটা খারাপ হবে না যে গণমাধ্যম অঙ্কে কাঁচা। যেটা বলছিলাম, অর্থাৎ শ্রমিকদের অবস্থা যখন খারাপ হতে শুরু করবে, আমার আশঙ্কা, তখন ট্রাম্প সরকার তাদের খারাপ পারফরম্যান্স থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে অন্য কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলোর মতোই শত্রু খুঁজতে শুরু করবে।
ট্রাম্পের টুইটার সম্পর্কে যা বলেছিলাম, তা ভুলে যাবেন না পাঠক। তিনি যেমন কোটি কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যবিমাবঞ্চিত করার পথে এগোচ্ছেন, তেমনি যারা জাতীয় পতাকা পোড়ায়, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই যোগটা আকস্মিক নয়।
কথা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চোখ রাখতে হবে। কোটি কোটি মার্কিন নাগরিক এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেয়েছেন, যেটা তাঁরা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না।
লেখক: নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
সূত্র: প্রথম আলো
হ্যাঁ, এই শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকশ্রেণি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে যাচ্ছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ট্রাম্প যে করপোরেট ও শ্রমিকবিরোধী ঘরানার মানুষদের বসাবেন বলে ঠিক করেছেন, তা থেকেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। বিশেষ করে গত সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে (লোকে এখন ট্রাম্পের টুইট দেখা বন্ধ করে দিয়েছে), ট্রাম্প টম প্রাইস নামের এক ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য ও মানবীয় সেবা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যিনি ওবামাকেয়ারবিরোধী ও স্বাস্থ্যসেবার বেসরকারীকরণের পক্ষের মানুষ। সম্ভবত এই সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে, অ্যাফর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্টের মৃত্যু অনিবার্য। আর যাঁরা ট্রাম্পের সবচেয়ে উৎসাহী সমর্থক ছিলেন, তাঁরাই এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রথমত, যে ব্যাপারটা আপনাকে বুঝতে হবে তা হলো, রিপাবলিকানরা যে ‘রিপিল অ্যান্ড রিপ্লেস’-এর (প্রত্যাহার ও প্রতিস্থাপন) কথা বলে, তা সব সময়ই প্রবঞ্চনা। রিপাবলিকান পার্টি ছয় বছর ধরে এই দাবি করেছে যে তারা যেকোনো দিন ওবামাকেয়ারের বিকল্প কিছু পেশ করল বলে। কিন্তু তারা যে সেটা দিতে পারেনি তার কারণ হচ্ছে, তারা স্রেফ এটা করতে পারেনি।
কিন্তু কথা হচ্ছে, নতুন যা-ই করা হোক না কেন, তা অনেকটা ওবামাকেয়ারের মতোই হবে। আর তা না হলে কোটি কোটি মানুষ বিমাবঞ্চিত হবে, যাদের এটা খুব বেশি করে দরকার। প্রাইসকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন এটা দেখতে প্রস্তুত যে কোটি কোটি মানুষ বিমার আওতার বাইরে চলে গিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্পের সমর্থক।
কথা হচ্ছে, ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির পরিসংখ্যান খেয়াল করলে দেখবেন, ওবামাকেয়ারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ফলাফল কেমন ছিল। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিমাহীন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ কমে গিয়েছিল। এঁরা ছিল শ্বেতাঙ্গ, যাঁদের কলেজ ডিগ্রি ছিল না, যাঁদের অর্ধেকই এবার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। এইমাত্র যে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের কথা বললাম, তাঁদের
মধ্যে ৮০ লাখই ছিলেন এঁরা। এই মানুষের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছেন, যাঁরা সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় এসেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে জীবনকে আরও কষ্টকর করে ফেললেন, তাঁদের জীবনের সুখ দূরীভূত হলো। এতে তাঁদের আয়ুও কমে যাবে।
তাঁরা কেন এটা করলেন? তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি, তাঁদের স্বাস্থ্যবিমা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণার সময় গণমাধ্যমও এ ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দেয়নি। অথবা এমনও হতে পারে, তাঁরা বিশ্বাস করেছিলেন, ট্রাম্প ওবামাকেয়ারের চেয়ে ভালো কিছু দেবেন।
যা হোক, খুব রূঢ় বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে তাঁদের বোধোদয় হবে। রিপাবলিকানরা যখন মেডিকেয়ার বন্ধ করার কাজ শুরু করবে, তখন ব্যাপারটা আরও খারাপ হবে, যদিও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি তেমন কিছু করবেন না। আর মানুষ যেটা ভাবছিল সেটা হবে না, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, কয়েক দশক ধরে যেগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়েছে। মূলত প্রাযুক্তিক কারণে এই কারখানাগুলো অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে, সরকারের আমদানি নীতির কারণে নয়। এগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে না।
ফলে রিপাবলিকানরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা জাল ছিঁড়ে ফেলবে, তখন শ্রমিকদের ক্ষতি পোষানোর উপায় আর থাকবে না। তখন কি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হবে? ক্রেতাদের অনুশোচনার মাত্রা তীব্র হবে? হয়তোবা। হ্যাঁ, ডেমোক্র্যাটদের এই উপদেশ দেওয়া যেতেই পারে, যাতে তাঁরা ট্রাম্পের এই বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি সব সময় প্রচার করেন। কিন্তু তিনি কোন কৌশলে নিজের
এই বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপকতা আড়াল করার চেষ্টা করবেন, সেটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এই সপ্তাহে আমরা একটি কৌশল দেখেছি। সম্প্রতি বেশ আড়ম্বরে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যারিয়ার কোম্পানির কাজ ধরে রাখার লক্ষ্যে চুক্তি হয়েছে। এটা হচ্ছে কিছু চকচকে ও তুচ্ছ জিনিস দিয়ে জাতির দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার কৌশল।
তবে ট্রাম্প এই ক্যারিয়ার কোম্পানিটির কাজের পক্ষে ‘দাঁড়াননি’, মনে হয়েছে, এটা অনেকটা ঘুষ সাধার মতো ব্যাপার। আর আমরা এই বিশাল দেশে কয়েক হাজার চাকরির কথা বলছি। প্রতি সপ্তাহে এই উল্লিখিত চুক্তির হারে যদি চাকরি সৃষ্টি হয়, তাহলে ওবামা অটো বেইল আউট দিয়ে যত মানুষের চাকরি বাঁচিয়েছিলেন, সেই পরিমাণ চাকরি সৃষ্টি করতে ট্রাম্পের ৩০ বছর লাগবে। আর ২০০০ সালের পর থেকে উৎপাদনশীল খাতে যত মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তা পূরণ করতে ট্রাম্পের এক শতাব্দীকাল লেগে যাবে।
ওই চুক্তির যে রকম প্রচারণা দেওয়া হয়েছে, তাতে এই বাজি ধরা খুব একটা খারাপ হবে না যে গণমাধ্যম অঙ্কে কাঁচা। যেটা বলছিলাম, অর্থাৎ শ্রমিকদের অবস্থা যখন খারাপ হতে শুরু করবে, আমার আশঙ্কা, তখন ট্রাম্প সরকার তাদের খারাপ পারফরম্যান্স থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে অন্য কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলোর মতোই শত্রু খুঁজতে শুরু করবে।
ট্রাম্পের টুইটার সম্পর্কে যা বলেছিলাম, তা ভুলে যাবেন না পাঠক। তিনি যেমন কোটি কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যবিমাবঞ্চিত করার পথে এগোচ্ছেন, তেমনি যারা জাতীয় পতাকা পোড়ায়, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই যোগটা আকস্মিক নয়।
কথা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চোখ রাখতে হবে। কোটি কোটি মার্কিন নাগরিক এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেয়েছেন, যেটা তাঁরা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না।
লেখক: নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
সূত্র: প্রথম আলো
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়