Saturday, December 3

গুগল বসেরও জানা নেই উত্তর!

গুগল বসেরও জানা নেই উত্তর!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নিজেরা এতদিন আজগুবি সব প্রশ্ন করে করে চাকরিপ্রার্থীদের মাথা নষ্ট করেছেন। এবার বস নিজেই খেলেন ধরা। গুগলে চাকরির সাক্ষাৎকার নিয়ে অনেক হাস্যকর গল্প প্রচলিত আছে। গোটা এক স্কুলবাসে কয়টি গলফ বল আঁটবে, ম্যানহোলের ঢাকনা গোল কেন, এমন আরও কত-কী প্রশ্ন! যারা সে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারতেন না, তাদের পড়তে হতো অস্বস্তিতে। এবার এমনই এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক স্মিট।

নভেম্বরের শুরুর দিকে ‘সামিট অ্যাট সি’ সম্মেলন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি থেকে বাহামা পর্যন্ত চার দিনের সমুদ্র ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। সেখানে এরিককে একটি ধাঁধা জিজ্ঞেস করেন উপস্থাপক। প্রশ্নটা অনেকটা এ রকম, ‘আপনি একটি জলদস্যু জাহাজের কাপ্তান। মনে করুন একটি স্বর্ণভর্তি সিন্দুক খুঁজে পেলেন আপনি। স্বর্ণ কীভাবে ভাগাভাগি হবে সে ব্যাপারে আপনার নাবিকদের ভোট দিতে বলা হলো। আপনার পক্ষে যদি অর্ধেকের কম জলদস্যু ভোট দেয় তবে আপনাকে মরতে হবে। এই সমস্যার সমাধান আপনি কীভাবে করবেন, যাতে আপনি জীবিত থাকেন আবার স্বর্ণের ভাগও ভালো পান?’

প্রশ্ন শুনে এরিক স্মিট কিছু সময়ের জন্য থমকে দাঁড়ান। ধাঁধাটি আবারও ‘পরিষ্কার করে’ করতে বলেন। স্বীকার করেন যে সত্যি খুব খারাপ একটি প্রশ্ন ছিল। কিছুক্ষণ ভেবে অবশ্য একটি উত্তর দাঁড় করান তিনি, ‘আমার মনে হচ্ছে অর্ধেকের বেশি দস্যুকে যদি খুশি করা যায় তবে আমি বেঁচে যাব। আমি তাদের প্রস্তাব দেব, ৪৯ শতাংশ জলদস্যু পাবে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং বাকি ৫১ শতাংশ দস্যু পাবে স্বর্ণ।’

গুগলের বসের কাছে এই প্রশ্ন খারাপ বা কঠিন মনে হয়েছে। অথচ প্রতিবছর গুগলে চাকরির সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্ন প্রায়ই করা হতো। এবার নিজেরা না পারাতে তা খারাপ মনে হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, ভাইভাতে এ ধরনের প্রশ্ন করা মানে সময় নষ্ট করা। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়