কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: 'আমার
চোখের সামনে বাবা-চাচা-স্বামীকে হত্যা করা হয়, আমাকে ধর্ষণ করা হয়' -
বলছিলেন রাখাইনের জাম্বুনিয়া থেকে পালিয়ে আসা মোহসিনা। টেকনাফের
শরণার্থীদের থাকার জায়গা লেদা ক্যাম্পে মোহসিনার দেখা মেলে।
মোহসিনা বেগমের কোলে ছোট একটি শিশু, বয়স চার বছর। শিশুটি খালি গায়ে মায়ের কোলে খেলা করছে। মিয়ানমারের আরাকান স্টেটের নামে তিনি শিশুটির নাম রেখেছেন আরকান। মলিন পোশাক আর বিধ্বস্ত চেহারার মোহসিনা বলছিলেন নভেম্বরের ১২ তারিখ ঠিক কি ঘটেছিল তদের ভাগ্যে।
সকাল বেলা হঠাত করেই একদল লোক অস্ত্র হাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাংচুর আর আগুন। বাড়ির পুরুষ, মহিলা শিশু সবাইকে আলাদা করে দাঁড় করানো হয়। মিয়ানমারের রাখাইনের জাম্বুনিয়া এলাকায় বাড়ি মোহসিনার।
মোহসিনা বলেন, 'পুরুষদের আলাদা করে দাঁড় করায়, সেখানে আমার স্বামী, চাচা, আর বাবা ছিল। সাথে ছিল আরো ২৫ থেকে ২৭ জন ঐ এলাকার পুরুষ। আর মেয়েদের বলা হয় আলাদা লাইনে দাঁড়াতে'।
এর পর তার চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তার পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্যকে। এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মধ্যে যাদের বয়স অল্প তাদের কে ধরে নিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতন, ধর্ষণ।
মোহসিনা বলছিলেন, 'আমাকে পালাক্রমে সাতজন ধর্ষণ করে। এখন চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে, কান্দনও আর আসে না'। জ্ঞান হারান মোহসিনা। চেতনা ফিরে আসার পর পালিয়ে আসেন সেখান থেকে, কোলের শিশু আরকানের খোঁজে।
বাড়ি ফিরে শুধু আরকানকে পান। এরপর নাফ নদী পাড়ি দিয়ে যারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছেন তাদের দেখা পাওয়ার আসায় নদীর উপকুলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি অসুস্ত হয়ে পড়েন। হার মোহাম্মদ নামে জাম্বুনিয়ার আরেক ব্যক্তি উদ্ধার করেন মোহসিনাকে।
হার মোহাম্মদ বলছিলেন "সেদিন রাতে নৌকায় করে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অনেকেই টেকনাফের আসার চেষ্টা করছিলেন। সেই দলেই মোহসিনাকে নিয়ে তিনি উঠে পড়েন"। নৌকা পাড়ি দিয়ে টেকনাফের আসার জন্য অবশ্য তাদের গুনতে হয়েছে অর্থ। হার মোহাম্মদ বলছিলেন মিয়ানমারে তার ভাষায় দালালদের টাকা দিয়ে তারা নৌকায় উঠে পড়েন।
মোহসিনার মত আরো অনেকেই টেকনাফে এসেছেন নদী পাড়ি দিয়ে। তাদের সবার কাছে কম-বেশি একই ধরণের নির্যাতনের কথা শোনা গেল। তবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কোন সংবাদদাতা বা মানবাধিকার কর্মী প্রবেশ করতে না পারায় এই সব নির্যাতনের কথা কতটা সত্য সেটা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি।
মোহসিনা বেগমের কোলে ছোট একটি শিশু, বয়স চার বছর। শিশুটি খালি গায়ে মায়ের কোলে খেলা করছে। মিয়ানমারের আরাকান স্টেটের নামে তিনি শিশুটির নাম রেখেছেন আরকান। মলিন পোশাক আর বিধ্বস্ত চেহারার মোহসিনা বলছিলেন নভেম্বরের ১২ তারিখ ঠিক কি ঘটেছিল তদের ভাগ্যে।
সকাল বেলা হঠাত করেই একদল লোক অস্ত্র হাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাংচুর আর আগুন। বাড়ির পুরুষ, মহিলা শিশু সবাইকে আলাদা করে দাঁড় করানো হয়। মিয়ানমারের রাখাইনের জাম্বুনিয়া এলাকায় বাড়ি মোহসিনার।
মোহসিনা বলেন, 'পুরুষদের আলাদা করে দাঁড় করায়, সেখানে আমার স্বামী, চাচা, আর বাবা ছিল। সাথে ছিল আরো ২৫ থেকে ২৭ জন ঐ এলাকার পুরুষ। আর মেয়েদের বলা হয় আলাদা লাইনে দাঁড়াতে'।
এর পর তার চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তার পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্যকে। এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মধ্যে যাদের বয়স অল্প তাদের কে ধরে নিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতন, ধর্ষণ।
মোহসিনা বলছিলেন, 'আমাকে পালাক্রমে সাতজন ধর্ষণ করে। এখন চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে, কান্দনও আর আসে না'। জ্ঞান হারান মোহসিনা। চেতনা ফিরে আসার পর পালিয়ে আসেন সেখান থেকে, কোলের শিশু আরকানের খোঁজে।
বাড়ি ফিরে শুধু আরকানকে পান। এরপর নাফ নদী পাড়ি দিয়ে যারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছেন তাদের দেখা পাওয়ার আসায় নদীর উপকুলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি অসুস্ত হয়ে পড়েন। হার মোহাম্মদ নামে জাম্বুনিয়ার আরেক ব্যক্তি উদ্ধার করেন মোহসিনাকে।
হার মোহাম্মদ বলছিলেন "সেদিন রাতে নৌকায় করে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অনেকেই টেকনাফের আসার চেষ্টা করছিলেন। সেই দলেই মোহসিনাকে নিয়ে তিনি উঠে পড়েন"। নৌকা পাড়ি দিয়ে টেকনাফের আসার জন্য অবশ্য তাদের গুনতে হয়েছে অর্থ। হার মোহাম্মদ বলছিলেন মিয়ানমারে তার ভাষায় দালালদের টাকা দিয়ে তারা নৌকায় উঠে পড়েন।
মোহসিনার মত আরো অনেকেই টেকনাফে এসেছেন নদী পাড়ি দিয়ে। তাদের সবার কাছে কম-বেশি একই ধরণের নির্যাতনের কথা শোনা গেল। তবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কোন সংবাদদাতা বা মানবাধিকার কর্মী প্রবেশ করতে না পারায় এই সব নির্যাতনের কথা কতটা সত্য সেটা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়