Thursday, November 3

বন্ধুত্বের জন্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি দুই তরুণীর লড়াই

বন্ধুত্বের জন্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি দুই তরুণীর লড়াই
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক বৈরিতা বেড়েই চলেছে। আর সেই দ্বন্দ্ব এখন বিনোদন, খেলা থেকে শুরু করে সর্বস্তরে প্রভাব ফেলছে। এবার কাঁটাতার বাঁধ সাধল বন্ধুত্বেও।

২০১১ সালে নিউইয়র্কে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে দেখা পূরবী থ্যাকার ও সারাহ মুনিরের। সেই থেকে দুজনের সখ্য। পূরবী থ্যাকার ভারতীয় এবং সারাহ মুনির পাকিস্তানি।

আগামী মাসে মুম্বাইয়ে পূরবীর বিয়ে। সেখানে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রিয় বান্ধবী সারাহকে। কিন্তু পাকিস্তানি হয়ায় ভারতীয় কনস্যুলেট তাকে ভিসা দেয়নি। এ খবর পাওয়ার পর মন ভেঙে যায় পূরবীর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত পূরবী নিউইয়র্কে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ব্লগ লেখেন। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এএফপি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

পূরবী তার পোস্টে লেখেন ‘যুদ্ধ, ধর্ম, অভিন্ন ইতিহাস, জাতীয়তা, এমনকি ক্রিকেট খেলাও আমাদের বন্ধুত্বের মাঝে আসেনি। এই ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের আগে আমার মাথাতেই আসেনি যে ঘৃণ্য ও ভয়ের এই রাজনীতি আমাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করতে পারে!’

পূরবী প্রশ্ন রাখেন, ‘দুই দেশে জন্ম বলে আমাদের বন্ধুত্বে এত প্রতিবন্ধকতা কেন?’

পূরবী গেটসারাহইন্ডিয়া হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে প্রচার চালিয়েছেন। এরই মধ্যে এটি কয়েক হাজার শেয়ার হয়েছে ও লাইক পড়েছে। এমনকি সীমান্তের দুই পাশে এ নিয়ে প্রতিবেদনও হয়েছে। পূরবী এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টুইটারে ট্যাগ করেন। দ্রুত তাকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান।

ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা শশী থারুরও এই বন্ধুত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি সুষমা স্বরাজকে এ ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে অনুরোধ জানান। বলেন, ‘যিনি (সারাহ) এরই মধ্যে দুইবার ভারত সফর করেছেন, তিনি কোনো হুমকি হতে পারেন না।’ কংগ্রেসের এই নেতা পূরবীকে বিয়ের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

পূরবী আশা করেন, ঘৃণাকে হারিয়ে ভালোবাসার জয় হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটি খুব সাধারণ চাওয়া। আমরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আশা করি, আমাদের সরকারও তা বুঝবে।’ সূত্র: প্রথমআলো।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়