Saturday, November 12

শেষ ওভারে ৩ উইকেট; ফের খুলনাকে জেতালেন মাহমুদুল্লাহ

শেষ ওভারে ৩ উইকেট; ফের খুলনাকে জেতালেন মাহমুদুল্লাহ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শেষ ওভারে আরো একবার মাহমুদুল্লাহ চমক। শেষ ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিলো ৬ রান। হতে ছিলো ৪ উইকেট। মাঠে সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী। তারপরও আপন মহিমায় ম্যাচ নিজের করে নিলেন মাহমুদুল্লাহ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসকে ৪ রানে হারালো খুলনা টাইটান্স।

শনিবার মিরপুরে দিনের প্রথম এই ম্যাচে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছে খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগান তারকা মোহাম্মদ নবীর ঝড়ো ইনিংসে জয়ের খুব কাছে পৌছে যায় চিটাগং। কিন্তু শেষ মূহর্তে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লার নাটকীয়তায় জয় ৪ রানে জয় পেয়েছে খুলনা টাইটান্স।

টস হেরে খুলনা টাইটান্স ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত বেশি দূর এগোতে পারিনি। ৩৪ রানে খুলনার প্রথম উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ নবি। ওপেনার হাসানুজ্জামানকে ব্যাক্তিগত ৮ রানে ফেরানোর পর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ না হতেই নবির বলেই শুভাশীস রায়ের হাতে ধরা পড়েন শুভাগত হোম।

ব্যাটিংয়ে যথারীতি তিনি ব্যর্থ। ৪ বল খেলে করেছেন মাত্র ৩ রান। এরপর আবারও ৪ রানের ব্যবধানে আঘাত হানেন আব্দুর রাজ্জাক। তার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান আরেক ওপেনার রিকি ওয়েসেলস। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৭ বলে ৪টি চারের মাধ্যমে করেন ২৭ রান।

অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং অভিজ্ঞ অলক কাপালি মিলে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৫২ রানে তাসকিন আহমদের বলে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদ উল্লাহ। ১০ বল খেলে তার রান মাত্র ৬। অধিনায়কের বিদায়ের পর হাল ধরার চেষ্টা করেন অলক। কিন্তু ৩৫ বলে ১টি চারের সাহায্যে ২৩ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। বোলার আবারও সেই নবি। ভূমিকা আছে তাসকিনেরও। ক্যাচটি তিনিই ধরেছেন।

এই ধসের পর জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান এবং আরিফুল হক। এই দুজন মিলে দলের রান ৭৭ থেকে নিয়ে যান ১২৫ পর্যন্ত। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ার পথে পুরান করেন ৩০ বলে ২৯ রান। এরপর তিনি দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন। বেশ মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকা আরিফুল ১৫ বলে ১ চার এবং ২ ছক্কায় ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

চিটাগংয়ের বোলারদের মধ্যে নবি ৩ উইকেট এবং তাসকিন ২ উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। দলীয় ২০ রানের মধ্যেই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ডোয়াইন স্মিথকে হারায় তারা। ওয়ানডাউনে নামা এনামুল হক বিজয় কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও বেশিক্ষন পিচে থাকতে পারেননি।

আফগান তারকা মোহাম্মদ নবীর ঝড়ো ইনিংসে জয়ের খুব কাছে পৌছে যায় চিটাগং। কিন্তু শেষ মূহর্তে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লার নাটকীয়তায় জয় ৪ রানে জয় পেয়েছে খুলনা টাইটান্স।

চিটাগংয়ের হয়ে তামিম (৩), স্মিথ (৩), বিজয় (১৪), মালিক (৪), জাকির হাসান (৮), জহুরুল ইসলাম (২৫) রানে আউট হয়েছেন। চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্ছ রান করেন মোহাম্মদ নবী (৩৯)। শেষের দিকে উল্লেখ যোগ্য সিলভা করেন ১৯ রান।

তবে শেষ ওভারে চিটাগং ভাইকিংসকে কাদিয়ে মাহমুদুল্লাহ চমকে ৪ রানের জয় তুলে নেয় খুলনা টাইটান্স।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়