কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন
করতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় দু’বছর। ২০১৮ সালের ১০
অক্টোবর থেকে নির্বাচনের সাংবিধানিক ক্ষণ গণনা শুরু হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের সদস্যরা শপথ নেন। সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতেই হবে। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিন তথা ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে বলেন, সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে সরকারের কোনো মেয়াদ নেই। কারণ অনাস্থা প্রস্তাব এলে সরকার ভেঙে যেতে পারে। তবে সংসদের মেয়াদ হবে ৫ বছর। আর এ ৫ বছর গণনা শুরু হবে যেদিন সবাই (নির্বাচিত সংসদ সদস্য) শপথ গ্রহণ করেন সেদিন থেকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাংবিধানিক এ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তির ৯০ দিন আগে ‘নির্বাচনকালীন’ সরকারের যাত্রা শুরু হবে। সাধারণত এ সরকার (নির্বাচনকালীন) গঠনের কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা নির্বাচন কমিশনের। এ হিসাবে ২০১৮ সালের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই ৯০ দিন একটি নির্বাচনকালীন সরকার কাজ করবে। ওই সময়ে সরকার কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে ওই সময়ে সরকারের কার্যক্রম সীমিত থাকে।
উল্লিখিত হিসাব অনুযায়ী, একাদশ সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় দু’বছর বাকি। কিন্তু এখন থেকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যেভাবে ডামাডোল শুরু হয়েছে তাতে আগাম নির্বাচন না হলেও ২০১৮ সালে নির্বাচন হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো রাখঢাক না রেখে এখন থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্মেলনের পর তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকেও তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেন।
দু’দিন আগে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্য সমাবেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তারা নেতাকর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন, বসে থাকার আর সময় নেই। এখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে প্রায় দু’মাস আগে।
তাই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর এই যখন অবস্থা তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একটু আপগ্রেড থাকতে চান। তাদের মতে, সরকারি দল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না বললেও সার্বিক পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। কেননা অতীতে কোনো সরকারের সময় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি কখনও এত আগে এভাবে শুরু হতে দেখা যায়নি। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে চারদিকে যেভাবে হাঁকডাক চলছে তাতে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। আগাম নির্বাচন না হলেও সংবিধানের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ২০১৮ সালেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, তারা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করেছে। সরকারের একাধিক সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠ জরিপের কাজ চলছে। বর্তমান এমপিদের অবস্থান, অন্য নেতাদের কার কেমন জনপ্রিয়তা, বিএনপি নির্বাচনে এলে জয়ের সম্ভাবনা কার কতটুকু ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মুখোমুখি হচ্ছেন জরিপকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন- এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেই। গতবার যে ভুল তারা করেছে এবার কোনোভাবেই সে ভুল আর করবে না। তাই তীব্র নির্বাচনী লড়াইয়ের আশংকাও তাদের মধ্যে রয়েছে। এ আশংকা থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে সরকারি দল।
অপরদিকে দলের কাউন্সিল শেষ করে বিএনপি ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজও চলছে। ডিসেম্বর নাগাদ কমপক্ষে ৫০ জেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্য রয়েছে দলটির। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগির তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকারের মধ্যে একটা অস্বস্তি আছে। আরেকটা অস্বস্তি হল- গণতন্ত্রহীনতার কারণে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জঙ্গিবাদের কারণ হিসেবে গণতন্ত্রহীনতাকেই দেখছে বিভিন্ন দেশ। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। তাই সরকার যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়েও দিতে পারে। তাছাড়া দশ টাকায় চাল দিয়ে সরকার জনতুষ্টির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সে দেশ সফর করে এসে নির্বাচনের কথা বলছেন। কাজেই নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কিছুই উড়িয়ে দেয়া যায় না। যে কোনো সময় নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে।
এ ব্যাপারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সরকার জানে মানুষের মধ্যে তাদের সমর্থন নেই। তাই তারা এখন (দু’বছর আগে) থেকেই নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের আগে নয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সে ক্ষেত্রে সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নব্বই দিনের মধ্যেও এ নির্বাচন হতে পারে। সূত্র: যুগান্তর
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের সদস্যরা শপথ নেন। সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতেই হবে। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিন তথা ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে বলেন, সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে সরকারের কোনো মেয়াদ নেই। কারণ অনাস্থা প্রস্তাব এলে সরকার ভেঙে যেতে পারে। তবে সংসদের মেয়াদ হবে ৫ বছর। আর এ ৫ বছর গণনা শুরু হবে যেদিন সবাই (নির্বাচিত সংসদ সদস্য) শপথ গ্রহণ করেন সেদিন থেকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাংবিধানিক এ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তির ৯০ দিন আগে ‘নির্বাচনকালীন’ সরকারের যাত্রা শুরু হবে। সাধারণত এ সরকার (নির্বাচনকালীন) গঠনের কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা নির্বাচন কমিশনের। এ হিসাবে ২০১৮ সালের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই ৯০ দিন একটি নির্বাচনকালীন সরকার কাজ করবে। ওই সময়ে সরকার কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে ওই সময়ে সরকারের কার্যক্রম সীমিত থাকে।
উল্লিখিত হিসাব অনুযায়ী, একাদশ সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় দু’বছর বাকি। কিন্তু এখন থেকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যেভাবে ডামাডোল শুরু হয়েছে তাতে আগাম নির্বাচন না হলেও ২০১৮ সালে নির্বাচন হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো রাখঢাক না রেখে এখন থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্মেলনের পর তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকেও তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেন।
দু’দিন আগে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্য সমাবেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তারা নেতাকর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন, বসে থাকার আর সময় নেই। এখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে প্রায় দু’মাস আগে।
তাই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর এই যখন অবস্থা তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একটু আপগ্রেড থাকতে চান। তাদের মতে, সরকারি দল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না বললেও সার্বিক পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। কেননা অতীতে কোনো সরকারের সময় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি কখনও এত আগে এভাবে শুরু হতে দেখা যায়নি। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে চারদিকে যেভাবে হাঁকডাক চলছে তাতে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। আগাম নির্বাচন না হলেও সংবিধানের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ২০১৮ সালেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, তারা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করেছে। সরকারের একাধিক সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাঠ জরিপের কাজ চলছে। বর্তমান এমপিদের অবস্থান, অন্য নেতাদের কার কেমন জনপ্রিয়তা, বিএনপি নির্বাচনে এলে জয়ের সম্ভাবনা কার কতটুকু ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মুখোমুখি হচ্ছেন জরিপকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন- এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেই। গতবার যে ভুল তারা করেছে এবার কোনোভাবেই সে ভুল আর করবে না। তাই তীব্র নির্বাচনী লড়াইয়ের আশংকাও তাদের মধ্যে রয়েছে। এ আশংকা থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে সরকারি দল।
অপরদিকে দলের কাউন্সিল শেষ করে বিএনপি ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজও চলছে। ডিসেম্বর নাগাদ কমপক্ষে ৫০ জেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্য রয়েছে দলটির। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগির তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকারের মধ্যে একটা অস্বস্তি আছে। আরেকটা অস্বস্তি হল- গণতন্ত্রহীনতার কারণে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জঙ্গিবাদের কারণ হিসেবে গণতন্ত্রহীনতাকেই দেখছে বিভিন্ন দেশ। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। তাই সরকার যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়েও দিতে পারে। তাছাড়া দশ টাকায় চাল দিয়ে সরকার জনতুষ্টির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সে দেশ সফর করে এসে নির্বাচনের কথা বলছেন। কাজেই নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কিছুই উড়িয়ে দেয়া যায় না। যে কোনো সময় নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে।
এ ব্যাপারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সরকার জানে মানুষের মধ্যে তাদের সমর্থন নেই। তাই তারা এখন (দু’বছর আগে) থেকেই নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের আগে নয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সে ক্ষেত্রে সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নব্বই দিনের মধ্যেও এ নির্বাচন হতে পারে। সূত্র: যুগান্তর
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়