কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গত
মঙ্গলবার পাকিস্তানের দৈনিক এক্সপ্রেক্স ট্রিবিউনের এক খবরে স্টেট ব্যাংক
অব পাকিস্তানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, পাকিস্তান অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের
মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি টাকার পাওনা নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে
ভারতের কাছে ৬০০ কোটি রুপি পাওনা নির্ধারণ করেছে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে
বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে পাকিস্তান পাওনা দাবির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের এ ধরণের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে পাকিস্তানের কাছে পাওনা ৩৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন তারা।
মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৪৫ বছর পর ইসলামাবাদ হঠাৎ করে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি টাকা পাওনার দাবি জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম যে খবর দিয়েছে, সে ব্যাপারেও সরকারের কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। ধারণা করা হচ্ছে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান এ ধরনের দাবি সামনে আনার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, পাকিস্তানের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাদের কাছে বাংলাদেশের যে পাওনা আছে তা না দেয়ার জন্যই তারা উল্টো দাবি তুলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব দেশের বাইরে থাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পাকিস্তানের কাছ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো দাবি পাওয়া যায়নি।
গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তান একটি বেইমান রাষ্ট্র। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার দেশে নিয়ে বিচার করবে বলে চুক্তি করেও তারা সেটা করেনি। এমনকি গণহত্যার জন্য তারা এখনও ক্ষমাও চায়নি। অথচ নতুন করে বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরামর্শ বা চিঠি দেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা নির্ধারণ করা হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে পাওনা নির্ধারণ করে। খাতগুলো হচ্ছে, সে সময়ে পাট বিক্রির টাকা, যা পাকিস্তান নিয়ে চলে গেছে, তখনকার পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের হিসেবে অনুযায়ী মোট সম্পদের ৫৬ শতাংশ (পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বিবেচনায়), বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৫৪ শতাংশ এবং ১৯৭০ সালে দক্ষিনাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আসা প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা। এই সহায়তার টাকাও তখনকার পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের নায্য পাওনা দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান বাজারমূল্যে যার পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ যাবৎকালে পাকিস্তানের সঙ্গে যতবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে, ততবারই বাংলাদেশ এ সম্পদের হিসাব দিয়ে পাওনা অর্থ পরিশোধের দাবি জানিয়েছে। প্রতিবারই পাকিস্তান এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেই পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে কোনো পাওনা দাবি করেনি। এ কারণে হঠাৎ এই সময়ে তাদের এমন দাবি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, পাকিস্তানের কাছে সম্পদের হিস্যা বাবদ এই ৩৪ হাজার কোটি টাকা শুধু নয়, গণহত্যার জন্যও এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণের দাবি রাখে বাংলাদেশ। এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গণহত্যার জন্য জার্মানি ও জাপান ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এ কারণে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা এবং দুই লাখ নারীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালানোর জন্য পাকিস্তান অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নায্য পাওনা বুঝে নিতে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই পাকিস্তান এখন উল্টো বাংলাদেশের কাছে পাওনা দাবি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বলেন, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের যে পাওনা রয়েছে, তা কোনো মনগড়া হিসাব নয়। আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বস্বীকৃত পদ্ধতিতেই সে হিসাব করা হয়। ফলে বাংলাদেশের নায্য পাওনা পরিশোধের বিষয়টি পাকিস্তানের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, আসলে পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই এ ধরনের উদ্ভট দাবি তুলেছে। এ কূটনীতিক বলেন, এখন বাংলাদেশের উচিত একটি 'নোট ভারবাল' তৈরি করে সেখানে পাকিস্তানের অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বাংলাদেশকে কীভাবে নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে সে বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা।
পাকিস্তানের দাবি প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই। কারণ একাত্তরে পাকিস্তানের রাজধানী ছিল ইসলামাবাদে। সেখান থেকেই পূর্ব বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হতো; তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল সবকিছু। এ কারণে বঙ্গবন্ধু সরকার '৭৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের কাছে ন্যায্য হিস্যা চেয়েছিলেন। এখন ন্যায্য হিস্যা চেয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া উচিত। যুদ্ধাপরাধের কয়েকটি মামলায় চূড়ান্ত রায় প্রদানকারী অন্যতম এই বিচারপতি আরও বলেন, ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে তারা বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ ও গণহত্যা চালিয়েছে, সেজন্যও আমরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারি। এটিকে হালকা করে দেখার কেনো সুযোগ নেই। সূত্র: সমকাল
পাকিস্তানের এ ধরণের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে পাকিস্তানের কাছে পাওনা ৩৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন তারা।
মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৪৫ বছর পর ইসলামাবাদ হঠাৎ করে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি টাকা পাওনার দাবি জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম যে খবর দিয়েছে, সে ব্যাপারেও সরকারের কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। ধারণা করা হচ্ছে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান এ ধরনের দাবি সামনে আনার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, পাকিস্তানের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাদের কাছে বাংলাদেশের যে পাওনা আছে তা না দেয়ার জন্যই তারা উল্টো দাবি তুলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব দেশের বাইরে থাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পাকিস্তানের কাছ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো দাবি পাওয়া যায়নি।
গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তান একটি বেইমান রাষ্ট্র। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার দেশে নিয়ে বিচার করবে বলে চুক্তি করেও তারা সেটা করেনি। এমনকি গণহত্যার জন্য তারা এখনও ক্ষমাও চায়নি। অথচ নতুন করে বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরামর্শ বা চিঠি দেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা নির্ধারণ করা হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে পাওনা নির্ধারণ করে। খাতগুলো হচ্ছে, সে সময়ে পাট বিক্রির টাকা, যা পাকিস্তান নিয়ে চলে গেছে, তখনকার পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের হিসেবে অনুযায়ী মোট সম্পদের ৫৬ শতাংশ (পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বিবেচনায়), বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৫৪ শতাংশ এবং ১৯৭০ সালে দক্ষিনাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আসা প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা। এই সহায়তার টাকাও তখনকার পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের নায্য পাওনা দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান বাজারমূল্যে যার পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ যাবৎকালে পাকিস্তানের সঙ্গে যতবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে, ততবারই বাংলাদেশ এ সম্পদের হিসাব দিয়ে পাওনা অর্থ পরিশোধের দাবি জানিয়েছে। প্রতিবারই পাকিস্তান এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেই পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে কোনো পাওনা দাবি করেনি। এ কারণে হঠাৎ এই সময়ে তাদের এমন দাবি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, পাকিস্তানের কাছে সম্পদের হিস্যা বাবদ এই ৩৪ হাজার কোটি টাকা শুধু নয়, গণহত্যার জন্যও এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণের দাবি রাখে বাংলাদেশ। এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গণহত্যার জন্য জার্মানি ও জাপান ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এ কারণে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা এবং দুই লাখ নারীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালানোর জন্য পাকিস্তান অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নায্য পাওনা বুঝে নিতে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই পাকিস্তান এখন উল্টো বাংলাদেশের কাছে পাওনা দাবি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বলেন, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের যে পাওনা রয়েছে, তা কোনো মনগড়া হিসাব নয়। আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বস্বীকৃত পদ্ধতিতেই সে হিসাব করা হয়। ফলে বাংলাদেশের নায্য পাওনা পরিশোধের বিষয়টি পাকিস্তানের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, আসলে পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই এ ধরনের উদ্ভট দাবি তুলেছে। এ কূটনীতিক বলেন, এখন বাংলাদেশের উচিত একটি 'নোট ভারবাল' তৈরি করে সেখানে পাকিস্তানের অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বাংলাদেশকে কীভাবে নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে সে বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা।
পাকিস্তানের দাবি প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই। কারণ একাত্তরে পাকিস্তানের রাজধানী ছিল ইসলামাবাদে। সেখান থেকেই পূর্ব বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হতো; তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল সবকিছু। এ কারণে বঙ্গবন্ধু সরকার '৭৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের কাছে ন্যায্য হিস্যা চেয়েছিলেন। এখন ন্যায্য হিস্যা চেয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া উচিত। যুদ্ধাপরাধের কয়েকটি মামলায় চূড়ান্ত রায় প্রদানকারী অন্যতম এই বিচারপতি আরও বলেন, ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে তারা বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ ও গণহত্যা চালিয়েছে, সেজন্যও আমরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারি। এটিকে হালকা করে দেখার কেনো সুযোগ নেই। সূত্র: সমকাল
খবর বিভাগঃ
অন্যরকম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়