Monday, November 28

পরীক্ষার সময় শিশুকে চাপ নয় সাহস দিন

পরীক্ষার সময় শিশুকে চাপ নয় সাহস দিন
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ দিকে প্রায় সব স্কুলেই চলে বার্ষিক পরীক্ষা। কোথাও আবার শুরু হয়েছে যায় নভেম্বরেই। চলছে নতুন স্কুলে ভর্তি পরীক্ষাও। সব মিলিয়ে মা-বাবার চিন্তারও শেষ নেই। সারা বছরের প্রস্তুতির এটাই শেষ পরীক্ষা। এরপরই পরই উত্তির্ণ হয়ে নতুন ক্লাসে পা রাখতে যাচ্ছে তাদের শিশুটি। পরীক্ষায় সন্তান সন্তোষজনক ফলাফল করতে পারল কিনা তা নিয়ে মা-বাবা উদ্বিগ্ন থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।

পরীক্ষার এসময়টা শিশুকে রাখাতে হবে ধীরস্থির। এর পাশাপাশি তার অস্থিরতাও কাটানো জরুরী।

এ ব্যপারে শিশু বিশেষজ্ঞের কিছু পরামর্শ:

* পরীক্ষার সময়টায় শিশুকে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে নয় বরং আগ্রহ সৃষ্টি করুন। আগ্রহ সৃষ্টি করতে সারাক্ষণ পড়তে না বসিয়ে বরং মাঝে মাঝে বিরতি দিন।

* পরীক্ষার সময়টাতে রিভিশনের ক্ষেত্রে শুধু পড়ার ওপর গুরুত্ব না দিয়ে পাশাপাশি লিখাটাকেও সমান গুরুত্ব দিন। কারণ পড়া মুখস্থ থাকলেও অনেক সময় লিখতে গেলে শিশুরা ভুল করে। তাই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা লিখে ফেললে অনেক ভুল ধরা পড়ে।

* সারা বছর নিয়মিত পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করলে পরীক্ষার আগে আর অতিরিক্ত টেনশন থাকবে না।

* এ সময়টা শিশুকে  শুধু পড়ার মধ্যে না রেখে গল্প-গুজব, খেলাধুলা, টিভি দেখা কিংবা শিশুর পছন্দমতো কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ দিন। এতে শিশুরা একঘেয়েমি দূর করে নতুন উদ্যমে পড়তে পারবে।

* কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিশুর পড়া ধরা, উত্তর চেক করে দেয়া বা কিছুক্ষণ বসে মজার কোনো টপিক নিয়ে আলোচনা করলে শিশুরা বুঝতে পারবে যে আপনি সব সময় তার পাশাপাশি আছেন। যা তার পরীক্ষাভীতি দূর করতে অনেকটাই সহায়তা করবে।

* পরীক্ষা চলে এসেছে দেখে সব সময় অনেক পড়া আছে, তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করতে হবে, এসব বলে ভয় দেখিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে পরীক্ষা নিয়ে তার ভিতরে ভীতি কাজ করে। যা তাকে পরীক্ষা দিতে নার্ভাস করে তোলে।

* অনেক অভিভাবকই পরীক্ষার সময় পড়া নিয়ে এতটাই চাপ দেন যে, শিশু তার মানসিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েও পড়তে বাধ্য হয়। এটি তার মানসিক সুস্থতার জন্য একদমই উচিত নয়।

* কোনো একটি পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেলে তা নিয়ে বকাঝকা করলে পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে আরও বেশি ভীত হয়ে পড়ে। ফলে পরবর্তী পরীক্ষাটিও খারাপ হতে পারে।

* পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়লে পরীক্ষার দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করে। বরং পরীক্ষার আগের দিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো নার্ভকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

* সন্তানকে আশ্বস্ত করুন যে ফলই করুক, আপনি কোনোরকম অসন্তুষ্ট হবেন না। আর ওর যতটুকু শেখা আছে তাই ভালোমতো লিখলেই যথেষ্ট।

* পরীক্ষার আগের রাতেই পেন্সিল বক্সটি গুছিয়ে রাখুন। পরীক্ষার দিন তাড়াহুড়ো করলে কোনো কিছু বাদ পড়ে যেতে পারে।

* পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় শিশুকে 'বেস্ট অব লাক' বলুন। এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়